একটি যুদ্ধবিরোধী আন্দোলন (ইংরেজি: Antiwar movement) হচ্ছে এমন একটি সামাজিক আন্দোলন, যাতে হয়তোবা যুদ্ধের যথাযথ শর্তহীন কারণ বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও সাধারণত কোনও নির্দিষ্ট দেশের সশস্ত্র সংঘাত শুরু করার বা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা হয়। যুদ্ধবিরোধী শব্দটি শান্তিবাদকেও বোঝাতে পারে, যা বিরোধের সময় সামরিক শক্তির সমস্ত রকমের ব্যবহারের বিরোধিতা অথবা যুদ্ধবিরোধী বই, চিত্রকর্ম এবং অন্যান্য শিল্পকর্মের মাধ্যমে যুদ্ধের বিরোধিতা। অনেক কর্মী যুদ্ধবিরোধী আন্দোলন এবং শান্তি আন্দোলনের মধ্যে পার্থক্য করেন। যুদ্ধবিরোধী কর্মীরা প্রতিবাদ এবং অন্যান্য বুনিয়াদি উপায়ের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট যুদ্ধ বা সংঘাতের অবসান ঘটাতে কোনও সরকার বা সরকারসমূহকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করে।
যুদ্ধ সমস্যার সমাধান সম্বন্ধে বিভিন্ন মত
যুদ্ধের হাত থেকে মানব সভ্যতাকে যে রক্ষা করা উচিত সেই বিষয়ে বর্তমানে প্রায় সকলেই একমত। প্রত্যেক দেশেই শান্তির জন্য আন্দোলন গড়ে উঠেছে এবং প্রত্যেক সরকারই নিজের নীতিকে শান্তির পক্ষে সহায়ক রপ বর্ণনা করে থাকে। কিন্তু যুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কি সেই সম্বন্ধে কোন ঐক্যমত গড়ে উঠে নি। এই বিষয়ে যে সব বিভিন্ন মতের সন্টি হয়েছে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নে দেওয়া হল। যুদ্ধের কারণ যেখানে আলােচনা করা হয়েছে সেখানেই সমস্যা সমাধানের কিছু ইংগিত দেওয়া আছে। যুদ্ধের কারণগুলি দূর করতে পারলেই সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। প্রশ্ন হলো সেই কারণগুলি কি ভাবে দূর করা সম্ভব?[১]
একদল মনে করেন যে বিশ্বরাষ্ট্র (World Government অথবা World Federation) স্থাপন করাই যুদ্ধ সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায়। তাঁরা। মনে করেন যে রাষ্ট্রীয় সাবভৌমত্ব বজায় রেখে বিরশান্তি স্থাপন করা সম্ভব নয়। বিবরাষ্ট্রের অধীনে বতমান জাতীয় রাষ্ট্রগুলি যুদ্ধ করার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে এবং বিশবরাষ্ট্র বিভিন্ন জাতির মধ্যে সমস্ত বিরােধ শান্তিপণ উপায়ে দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এই দল মনে করে যে আন্তর্জাতিক আইনকে বাস্তবে প্রয়ােগ করার এবং আইনভঙ্গকারীকে শাস্তি দেওয়ার ব্যস্থা না করতে পারলে বিশ্বশান্তির আদর্শকে বাস্তবরূপ দেওয়া সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক আইনকে কার্যকরী ভাবে প্রয়ােগ করার জন্যই তাঁরা বিশ্বরাষ্ট্র স্থাপন করার প্রস্তাব করেছেন।
অপর একদল মনে করেন যে আইন করে বা কোন কৃত্রিম ও যান্ত্রিক উপায়ে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। মানুষের মন থেকে যুদ্ধের মনােভাব। দুর করা প্রয়ােজন। তারা মনে করেন যে বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে পৃথিবীর সমস্ত দেশের মানুষ পরস্পরের খুব কাছাকাছি এসেছে। কিন্তু সেই অনুসারে তাদের দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন হয় নি। এই দুটিভঙ্গী পরিবতনের জন্য তাঁরা শিক্ষার উপরই জোর দেন। মানুষের দৃষ্টিভঙ্গী ও চিন্তাধারা প্রধানতঃ তার শিক্ষার উপরই নির্ভর করে। তাই মানুষকে এমন ভাবে শিক্ষা দিতে হবে যাতে সে সঙ্কীর্ণ জাতীয়তাবাদ ভুলে গিয়ে বিশ্বমানবতাবােধে উদ্বদ্ধ হয়। বর্তমানে জাতির প্রতি আনুগত্য মানুষকে নানাভাবে শেখানাে হয়। শিক্ষা ব্যবস্থা এমন ভাবে গড়ে তােলা সম্ভব যাতে মানুষ সমস্ত পৃথিবীর সাথে নিজেকে একাত্ম করে ভাবতে শিখবে।[২] UNESCOর উদ্দেশ্য অনেকটা এই রকমের। এই সংগঠনের সংবিধানের প্রস্তাবনায় লেখা আছে যে মানুষের মনেই যুদ্ধের উৎপত্তি হয় এবং তাই মানুষের মনেই শান্তির দুর্গ গড়ে তুলতে হবে।[৩] বিশ্বমানবতার দৃষ্টিভঙ্গী সষ্টি না হওয়া পর্যন্ত বিশ্বরাষ্ট্র গঠন করা সম্ভবই নয়। তাই তাঁরা শিক্ষার উপরই জোর দেন।
মোহনদাস গান্ধী অহিংসার উপর ভিত্তি করে যুদ্ধ সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেন। তিনি প্রচলিত যুদ্ধ নীতির এক অহিংস বিকল্প দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। গান্ধীজী যুদ্ধের ঠিক বিরদ্ধে নয়। তিনি বলেন যে অহিংস পদ্ধতিতে যদি যুদ্ধ পরিচালনা করা যায় তবে তা আরও বেশী কার্যকরী হয় এবং প্রচলিত যুদ্ধের কুফল থেকে তা সম্পূর্ণরুপে মুক্ত থাকে। গান্ধীজীর মতে অহিংসার অর্থ ভীরতা নয়—ভীরতার চেয়ে তিনি হিংসাকেই ভাল মনে করেন কিন্তু হিংসা থেকে অহিংসা আরও ভাল। অহিংসা নীতির উপর ভিত্তি করে গান্ধীজী রণ কৌশলের যে পদ্ধতি গঠন করেন তা সত্যাগ্রহ নামে পরিচিত।
এই প্রসঙ্গে ইউরােপের শান্তিবাদী আন্দোলন বা Pacifism-এর উল্লেখ করা যেতে পারে। এই আন্দোলনের সাথে যাঁরা জড়িত আছেন তাঁরা যুদ্ধের বিরােধী। এদের মধ্যেও বিভিন্ন মত আছে—কেউ বিশেষ অবস্থায় আত্মরক্ষার জন্য যুদ্ধ করতে প্রস্তুত, আবার অনেকে কোন কারণেই যুদ্ধকে সমর্থন করতে প্রস্তুত নন, একদল কেবল যুদ্ধের নয় সমস্ত হিংসাত্মক কার্যকলাপের বিরােধী। অনেকে খ্রীষ্টধর্মের উপর ভিত্তি করে যুদ্ধের বিরোধিতা করেন (এই গােষ্ঠিকে সাধারণতঃ Quaker বলা হয় ), আবার অনেকে ধর্মীয় যুক্তি না দিয়ে সম্পূর্ণ মানবতার নামে যুদ্ধকে বর্জন করা প্রয়ােজন মনে করেন। যাই হােক Pacifist-দের সাথে গান্ধীবাদের অনেক বিষয়ে পার্থক্য থাকলেও যুদ্ধ সম্বন্ধে উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গী প্রায় এক রকম।
যুদ্ধকে যাঁরা সম্পর্ণেরপে বা প্রধানতঃ অর্থনৈতিক কারণ দ্বারা ব্যাখ্যা করেন তাঁরা স্বভাবতঃই যুদ্ধের অর্থনৈতিক সমাধান দিয়া থাকেন। মার্কসবাদীদের বিশবাস যে পজিবাদী সমাজব্যবস্থা ধংস করে সমস্ত পথিবীতে শ্রমিক শ্রেণীর নেতৃত্বে সমাজতন্ত্র স্থাপন করতে পারলেই যুদ্ধ সমস্যার সমাধান সম্ভব। যুদ্ধ সম্বন্ধে মাকসবাদীদের ধারণা পাবেই উল্লেখ করা হয়েছে। তারা মনে করেন যে আধুনিক যুগের যুদ্ধ বিভিন্ন দেশের শিল্পপতিদের মধ্যে স্বার্থের সংঘাতের ফলেই সংঘটিত হয়। পথিবীর সমস্ত দেশের শ্রমিক শ্রেণীর স্বার্থ অভিন্ন বিভিন্ন দেশের শ্রমিকের মধ্যে স্বাথের কোন সংঘাত নেই। তাই পৃথিবীর সব দেশে শ্রমিক রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে যুদ্ধের আর কোন সম্ভাবনা থাকবে না।
শক্তিসাম্যের নীতি মাধ্যমেও যুদ্ধ সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা বহুদিন ধরে চলে আসছে। এই নীতি যুদ্ধের কারণগুলিকে দূর করে যুদ্ধ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে না—বরং যুদ্ধের জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত থেকে। বিরােধী পক্ষ যাতে যুদ্ধ ঘােষণা করতে সাহস না পায় সেই অবস্থার সৃষ্টি করতে চায়। এই পারমাণবিক যুগেও এই নীতি মােটামুটি ভাবে প্রচলিত আছে। মাকিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন উভয়ই এমন ভাবে সামরিক প্রস্তুতি আরম্ভ করে যে কেউ প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করতে সাহসী হয় না। এই নীতি অস্ত্র সজ্জার মাধ্যমেই শান্তি বজায় রাখা সম্ভব বলে মনে করে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে অনেকে এই মত পােষণ করেন যে পারমাণবিক অস্ত্র সজ্জাই শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের সমস্যা সমাধান করে দিতে সক্ষম হবে। বতমান পথিবীর বহৎ দুইটি শক্তির কোনটিই প্রতিপক্ষকে যুদ্ধে পরাজিত করতে পারে না। সােভিয়েত ইউনিয়ন ও মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধ আরম্ভ হলে উভয়ের ধংসই সুনিশ্চিত। এই অবস্থায় কোন পক্ষই যুদ্ধ আরম্ভ করতে পারে না। তাই বলা হয় যে পারমাণবিক অসঞ্জাই যুদ্ধ সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে।
আন্তর্জাতিক সম্পকের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে যাঁরা গবেষণা করেন তাঁর উপরিউক্ত সমাধানগলির মধ্যে শেষটি ছাড়া আর কোনটির উপর বিশেষ গুরত্ব আরােপ করেন না। সমাধানের যৌক্তিকতা তার বাস্তবতার উপরই নির্ভর করে। আধুনিক আন্তর্জাতিক রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে সমাধান যদি বাস্তবসম্মত না হয় তবে তার মুল্যে খুবই সীমিত। বিবরাষ্ট্র যদি স্থাপন করা যায় তবে যুদ্ধের সমস্যা সমাধান হতে পারে, কিন্তু বিশবরাট্র স্থাপন করা সভব কি ? অদর ভবিষ্যতে বিভিন্ন রাষ্ট্র স্বেচ্ছায় তাদের সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিয়ে কোন আন্তর্জাতিক সরকারের কতৃত্ব মেনে নেবে তা মনে করার কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। জাতীয়তাবাদের প্রভাবকে উপেক্ষা বা অস্বীকার করে আন্তর্জাতিক সমস্যার কোন সমাধানই বর্তমান অবস্থায় কার্যকরী হতে পারে না। তা ছাড়া এই মতবাদের সমালোচনা করে বলা যায় যে সরকারী কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ সব সময় যে শান্তি রক্ষায় সমর্থ হয় তা মনে করার কোন কারণ নেই। পথিবীর ইতিহাসে গৃহযুদ্ধের উদাহরণ প্রচুর। একটি দেশের দুইটি বহৎ ও শক্তিশালী গােষ্ঠীর স্বার্থ যদি পরস্পরবিরােধী হয় তবে সরকারের নিয়ন্ত্রণ শান্তি রক্ষায় অনেক সময় ব্যর্থ হয়ে পড়ে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূবে পব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের সম্পর্ক এই সমস্যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। আন্তর্জাতিক সরকারের পক্ষে বিভিন্ন রাগলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা অধিকতর কষ্টসাধ্য হয়ে উঠবে। শিক্ষার ফলে মানুষের জাতীয়তাবাদী দষ্টিভঙ্গীর পরিবতন হবে বলে যারা মনে করে তাঁরা মানব প্রকৃতিকে অত্যন্ত সরলভাবে বিচার করে থাকেন। মানবতাবাদী শিক্ষার প্রয়ােজন নিশ্চয়ই আছে, কিন্তু যুক্তিসঙ্গত একটা সময়ের মধ্যে তা সমস্ত দেশের মানুষকে বিমখীন করে তুলতে পারবে, এই রকম আশাবাদী হওয়ার কোন কারণ নেই। গান্ধীজীর অহিংস নীতিতে তাঁর অত্যন্ত বিশ্বস্ত অনুগামীরাই বিশ্বাস স্থাপন করতে পারেন নি। নিরস্ত্র দেশ রণকৌশল হিসাবে গান্ধীজীর নীতি অনুসরণ করতে পারে কিন্তু পৃথিবীর সমস্ত সাবভৌম রাষ্ট্র এই নীতি গ্রহণ করে চলবে তা কল্পনা করাও কষ্টসাধ্য। অর্থনৈতিক কারণ ছাড়া যুদ্ধের আরও অন্য কারণ আছে বলে যারা বিশ্বাস করেন তাঁদের পক্ষে মার্কসীয় সমাধানকে গ্রহণ করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া বর্তমানে সােভিয়েত ইউনিয়ন এবং চীনের সম্পর্ক অথবা সােভিয়েত ইউনিয়ন ও যুগােস্লাভিয়ার সম্পক মাকসীয় সমাধানকে সমর্থন করে না। পারমাণবিক অস্ত্রসজ্জার ফলে পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনা হ্রাস পেলেও পুরাতন পদ্ধতিতে বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা কিছুই কমে নি। বিবযুদ্ধের সম্ভাবনা হয়ত হ্রাস পেয়েছে কিন্তু আঞ্চলিক যুদ্ধের সম্ভাবনা হ্রাস পায় নি। তা ছাড়া পথিবীর অনেক রাষ্ট্রই যদি পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হয় তবে ভবিষ্যতে পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনাকেও একেবারে উপেক্ষা করা যায় না। এই অবস্থায় যুদ্ধ সমস্যার পরিপণ সমাধানের চেষ্টা না করে যুদ্ধের সম্ভাবনাকে হ্রাস করার চেষ্টাই যুক্তিসঙ্গত। সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ, নিরস্ত্রীকরণ, আন্তর্জাতিক আইন ইত্যাদির সাহায্যেই যুদ্ধের সম্ভাবনাকে হ্রাস করা এবং যুদ্ধকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
তথ্যসূত্র:
১. গৌরীপদ ভট্টাচার্য, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষদ, কলকাতা, পঞ্চম সংস্করণ ডিসেম্বর ১৯৯১, পৃষ্ঠা ১৮৪-১৮৮।
২. “Identification with the nation and loyalty to it are among the thing learned. There is nothing in the nature of man which precludes identification with larger entities, up to and including the world as a whole” Vernon Van Dyke, International Politics.
৩. “Since wars begin in the minds of men, it is in the minds of men that the delences of peace must be constructed.”
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।