শ্রমিকদের ঐক্য সত্যই আবশ্যক। এবং সবচেয়ে আবশ্যক এইটে বোঝা যে শ্রমিকেরা নিজেরা ছাড়া আর কেউ তাদের ঐক্য ‘দান করতে’ পারে না, তাদের ঐক্যে সাহায্য করার ক্ষমতা আর কারো নেই। ঐক্য ‘প্রতিশ্রুতির’ ব্যাপার নয়—সেটা হবে ফাঁকা বড়াই, আত্মপ্রতারণা। বুদ্ধিজীবি গোষ্ঠীগুলির ‘সম্মতি’ থেকে ঐক্য সৃষ্টি করা যায় না—এটা হলো সবচেয়ে শোচনীয়, সবচেয়ে বাতুল, সবচেয়ে অজ্ঞ একটা বিভ্রান্তি।
ঐক্য জয় করতে হবে এবং একরোখা, অধ্যবসায়ী পরিশ্রমে কেবল শ্রমিকেরা নিজেরা, সচেতন শ্রমিকেরা নিজেরাই সেটা সাধন করতে সক্ষম।
প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড অক্ষরে ‘ঐক্য’ কথাটা লেখা, তার আশ্বাস দেয়া, নিজেকে ঐক্যের পক্ষপাতী বলে ‘ঘোষণা করা’ — এর চেয়ে সহজ আর কিছু নেই। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে ঐক্যকে অগ্রসর করা সম্ভব কেবল পরিশ্রম করে এবং অগ্রণী শ্রমিকদের, সমস্ত সচেতন শ্রমিকদের সংগঠন দিয়ে।
সংগঠন ছাড়া ঐক্য অসম্ভব। সংখ্যাগরিষ্ঠের কাছে সংখ্যালঘিষ্ঠের নতি স্বীকার ছাড়া সংগঠন অসম্ভব।
‘ত্রুদোভায়া প্রাভদা’, ২নং; ৩০ মে, ১৯১৪; ২৫ খণ্ড, পৃঃ ১৭৭
ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ লেনিন (এপ্রিল ২২, ১৮৭০ – জানুয়ারি ২১, ১৯২৪) ছিলেন লেনিনবাদের প্রতিষ্ঠাতা, একজন মার্কসবাদী রুশ বিপ্লবী এবং সাম্যবাদী রাজনীতিবিদ। লেনিন ১৯১৭ সালে সংঘটিত মহান অক্টোবর বিপ্লবে বলশেভিকদের প্রধান নেতা ছিলেন। তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান।