অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, সম্পাদক ও আলোকচিত্রী

অনুপ সাদি

অনুপ সাদি (জন্ম: ১৬ জুন, ১৯৭৭) বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, সম্পাদক, প্রকৃতিপ্রেমি, আলোকচিত্রী এবং সাম্যবাদী ধারার চিন্তাবিদ। তিনি সমাজতন্ত্র, সাম্যবাদ, মার্কসবাদ, গণতন্ত্র, সংস্কৃতি, সাহিত্য, পরিবেশ বিষয়ে লেখালেখি করছেন। আরো পড়ুন

বিদেশিরা বাঁচাতে আসে না, মারতেই আসে; বাঁচতে হবে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েই

কেউ বাঁচাবে না

না, কেউ বাঁচাবে না, যদি বাঙালি নিজে না বাঁচায় নিজেকে। ঋণদাতাদের উদ্দেশ্য চিরকালের জন্য ঋণী করে রাখা। এ এক নতুন চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত, আপাত-স্বাধীনকে বাস্তবে পরাধীন করে রাখার। এনজিওদের আসল রাষ্ট্রের পুঁজিবাদী চরিত্র সম্পর্কে জনগণের রাজনৈতিক চেতনা যাতে বিকশিত হতে না পারে তার ব্যবস্থা করা। বিদেশিরা বাঁচাতে আসে না, মারতেই আসে। বাঁচতে হবে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েই। যে দিন থেকে বাঙালি তার পরিচয় সম্পর্কে আত্মসচেতন হয়েছে সেদিন থেকেই এ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে : কে তাকে বাঁচাবে? আরো পড়ুন

বাঙালি কী করে বাঙালি হবে

বাঙালি কী

আমরা আগে বাঙালি, না আগে মুসলমান সে নিয়ে এক সময় একটা বিতর্ক ছিল; বিজ্ঞজনেরা বলতেন যে বিতর্কটি নিতান্তই অহেতুক, কেননা একই সঙ্গে বাঙালি ও মুসলমান হতে কোনো অসুবিধা নেই। বাঙালিত্ব ও মুসলমানত্বের ভেতর বিরোধ যে নেই সেটা সত্য; কিন্তু তবু বিরোধ তো একটা তৈরি করা হয়েছিল এবং সেই বিরোধটা যখন তুঙ্গে উঠলো তখন অখণ্ড বাংলাকে দ্বিখন্ডিত করা ছাড়া উপায় রইলো না। তাতে বাঙালির যে কতো বড় সর্বনাশ ঘটেছে সেটার পরিমাপ করা অসম্ভব। আরো পড়ুন

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী শ্রেণিসংগ্রামের লড়াইয়ের পথের পথিকদের আলোকবর্তিকা

সিরাজুল ইসলাম

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (জন্ম: ২৩ জুন, ১৯৩৬) , আমাদের SIC স্যার, ছিলেন আমাদের কালের শ্রেণিসংগ্রামের লড়াইয়ের পথের পথিকদের এক অগ্রগামী আলোকবর্তিকা। তিনি ২০০১ সালের ৩০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা জীবন থেকে অবসরে গিয়েছিলেন। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক, আরো পড়ুন

আমাদের শক্তি স্থায়ী হয় না কেন? — কাজী নজরুল ইসলাম

আমাদের শক্তি স্থায়ী হয় না কেন? এ প্রশ্নের সর্বপ্রথম উত্তর, আমরা চাকুরিজীবী। মানুষ প্রথম জন্মে তাহার প্রকৃতিদত্ত চঞ্চলতা, স্বাধীনতা ও পবিত্র সরলতা লইয়া। সে চঞ্চলতা চিরমুক্ত, সে স্বাধীনতা অবাধগতি, সে সরলতা উন্মুক্ত উদার। মানুষ ক্রমে যতই পরিবারের গণ্ডি, সমাজের সংকীর্ণতা , জাতির – দেশের ভ্রান্ত গোঁড়ামি প্রভৃতির মধ্য দিয়া বাড়িতে থাকে, আরো পড়ুন

বাঙালির যুদ্ধচিন্তা হচ্ছে বঙ্গ অঞ্চলের জনগণের নিজ সম্পদ রক্ষার সাধারণ লড়াই

সিপাহী যুদ্ধ

বাঙালির যুদ্ধ সংক্রান্ত চিন্তা হচ্ছে বঙ্গ অঞ্চলের জনগণের নিজ সম্পদ রক্ষার সাধারণ লড়াই এবং এই লড়াইয়ের সংগে লেখক-বুদ্ধিজীবীদের যোগ সামান্যই ঘটেছে। বঙ্গ অঞ্চলের মানুষ মূলত দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধ বা দীর্ঘ দশ বছর যুদ্ধ করেছিলেন ১৫৭৫ থেকে ১৫৮৫ অবধি। সেই যুদ্ধটিই মনে হয় এই অঞ্চলের দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ এবং মোঘলদের বিরুদ্ধে সেই যুদ্ধটিই এই অঞ্চলের জনগণের শ্রেষ্ঠতম যুদ্ধ। … Read more

অশ্বিনীকুমার দত্ত ছিলেন জমিদারপন্থী বাঙালি রাজনীতিবিদ ও লেখক

অশ্বিনীকুমার দত্ত বা অশ্বীনীকুমার দত্ত (ইংরেজি: Ashwini Kumar Dutta; ২৫ জানুয়ারি ১৮৫৬-৭ নভেম্বর ১৯২৩ খ্রি.) ছিলেন একজন বাঙালি জমিদারপন্থী রাজনীতিবিদ, সমাজ শোষক এবং লেখক। তিনি ছিলেন বর্তমান বাংলাদেশের বরিশাল জেলার অধিবাসী। অশ্বিনীকুমার তত্তের পৈতৃক বাড়ি এই জেলার বাটাজোড় গ্রামে। তিনি জন্মগ্রহণ করেন তাঁর পিতার কর্মস্থল পটুয়াখালীতে। পিতা ব্রজমোহন দত্ত একজন সাবজজ ছিলেন। ঊনবিংশ শতকের শিক্ষিত … Read more

ডিরোজিও ছিলেন একজন ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক

ডিরোজিও (ইংরেজি: Henry Louis Vivian Derozio; ১৮ এপ্রিল ১৮০৯ – ২৬ ডিসেম্বর ১৮৩১) ছিলেন একজন ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক। তিনি হচ্ছেন উনিশ শতকে বঙ্গে ইংরেজী শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে, বিশেষ করে কলকাতায়, জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা এবং মুক্তবুদ্ধির প্রকাশের মধ্য দিয়ে যে নবজাগরণ সূচিত হয় তার অন্যতম প্রাণপুরুষরূপে স্মরণীয়। আরো পড়ুন

এনআরসি অথবা গিলোটিনে অসমের বাঙালি

শুরুতেই শিরোনামে ব্যবহৃত ‘অসম’ সম্পর্কে একটি স্পষ্ট কথা বলি। শৈশব থেকে আমাদের প্রদেশ-নাম আর তার উৎপত্তির ইতিহাস যে ভাবে জেনে এসেছি, হঠাৎই এক দিন তা হাওয়ায় উড়িয়ে দিল প্রাদেশিকতা-বাদী বুদ্ধিজীবীরা। পাল্টে গেল প্রদেশ নাম এবং বিনা বাক্য ব্যয়ে তাকে বৈধতা দিল বাংলা ভাষায় প্রকাশিত সমস্ত সংবাদপত্র। এ সম্পর্কে যাঁরা ভিন্নমত পোষণ করেন, এই নিবন্ধ-লেখক তাঁদের … Read more

আসামে বাঙালি বিতাড়নের মুষল পর্ব

যাঁরা ইতিহাস ও ভূগোলের বিষম সম্পর্ক নিয়ে সচরাচর মাথা ঘামান না, তাঁদের জন্য এ তথ্য জানাচ্ছি, ভারতের উত্তর-পূর্বের সবচেয়ে বড় রাজ্য আসামে যাঁরা থাকেন, তাঁরা সবাই অসমিয়া নন। না, তা আদপেই নয়। এখানে অসমিয়াদের সঙ্গে আছে প্রচুর বাঙালি, হিন্দিভাষী, বড় জনগোষ্ঠী, ডিমাসা-কার্বি-মিশিং-আহোম-মৈতৈ-মণিপুরি-বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি-মারা প্রভৃতি ক্ষুদ্র জনসমাজ। আরো পড়ুন

error: Content is protected !!