এই অতিমারী একটি সিংহদ্বার — অরুন্ধতী রায়

অরুন্ধতী রায়

“ভাইরাল হয়ে গেছে” এই শব্দবন্ধটি এখন উচ্চারণ করার সাথে সাথেই একটু হলেও আতংকিত হয়ে উঠি না আমাদের মধ্য এমন কে আছেন? যে কোন জিনিসের দিকে তাকালেই – সেটা একটা দরজার হাতল, কার্ডবোর্ড কার্টন, একব্যাগ সব্জি যাই হোক – এগুলিতে কিলবিল করছে এমন অসংখ্য বস্তু যারা মৃতও নয় আর জীবিতও নয় এরকম গোলকাকার চোষক অঙ্গযুক্ত অদৃশ্য বস্তু যারা আমাদের ফুসফুসে তাদের চোষক অঙ্গগুলি আরো পড়ুন

কার্ল মার্কসের ‘পুঁজি’র প্রথম খন্ডের পর্যালোচনা

উদ্বৃত্ত মূল্য হচ্ছে মাগনা শ্রম

ইতােমধ্যে বিদ্যমান পার্লামেন্টারী পার্টিগুলির সঙ্গে একটা নতুন পার্টি জুড়ে দিয়েছে সর্বজনীন ভােটাধিকার – সেটা হলো সােশ্যাল-ডেমােক্র্যাটিক পার্টি। উত্তর-জার্মান রাইখস্টাগের গত নির্বাচনে এই পার্টি নিজস্ব প্রার্থীদের দাঁড় করিয়েছিল বেশির ভাগ বড় শহরে, সমস্ত কারখানা মহল্লায় এই পার্টির ছয় কিংবা আট জন প্রার্থী ডেপুটি নির্বাচিত হন। এর আগের নির্বাচনে যা ছিল সেটার সঙ্গে তুলনায় এই পার্টি অনেকটা বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠছে, তাই ধরে নেওয়া যেতে পারে এটা এখনও বাড়ছে – অন্তত আপাতত। আরো পড়ুন

পুঁজিবাদের বিকাশের বিশ্লেষণমূলক গ্রন্থের নাম ‘সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ পর্যায়’

পুঁজিবাদের ঊনবিংশ এবং বিংশ শতকের বিকাশের বিশ্লেষণমূলক যে গ্রন্থ ভ্লাদিমির লেনিন ১৯১৬ সনে রচনা করেন, সেই গ্রন্থের নাম ‘ইম্পেরিয়ালিজম, দ্য হাইয়েস্ট স্টেজ অব ক্যাপিটালিজম’ বা ‘সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ পর্যায়’। ১৯১৭ সনের রুশ বিপ্লবের প্রাক্কালে বিপ্লবী আন্দোলনের তাত্ত্বিক নেতৃত্ব দানের জন্য লেনিন আরো পড়ুন

পুঁজিবাদ বা ধনতন্ত্র একটি শোষণমূলক সামাজিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা

পুঁজিবাদ বা ধনতন্ত্র (ইংরেজি: Capitalism) হচ্ছে মানবেতিহাসে পণ্য সম্পর্কের সামাজিক স্তর।[১] এটি একটি সামাজিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিশেষ। ষোড়শ শতাব্দীতে ইউরোপের কয়েকটি দেশে এই সমাজ-ব্যবস্থার প্রথম প্রতিষ্ঠা ঘটে। মানুষের সামাজিক অর্থনৈতিক কাঠামো যে বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্য দিয়ে বিকাশ লাভ করছে এটি আধুনিক চিন্তাধারার একটি স্বীকৃত সত্য।[২] আরো পড়ুন

পুঁজি কাকে বলে?

উৎপাদনের ক্ষেত্রে পুঁজি (ইংরেজি: Capital) হচ্ছে প্রয়োজনীয় উপাদানসমূহের মধ্যে একটি উপাদান। সম্পদ বৃদ্ধির জন্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে জমি, যন্ত্র, শ্রম এবং পুঁজি এই চারটি উপাদান প্রধান। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে ‘পুঁজি’ শব্দ দ্বারা নতুন পণ্য ক্রয়ের আর্থিক সামর্থ্য বুঝায়। এরূপ অর্থ পুঁজি বলতে কেবল টাকা নয়, মালিকের মালিকানাধীন দালানকোঠা, জমি, যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রি বুঝাতে পারে। আরো পড়ুন

বিশ্বে পুঁজিবাদী দেশসমূহের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার স্বরূপ

পুঁজিবাদী দেশ প্রধানত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ফেডারেল প্রজাতন্ত্র, ফ্রান্স, ইতালি এবং কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পশ্চিম ইউরোপীয় দেশ সহ উন্নত পুঁজিবাদী দেশগুলিই পুঁজিবাদী বিশ্বের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তির উৎস। আরো পড়ুন

পুঁজিবাদের সাধারণ সংকট হচ্ছে নির্দিষ্ট সময় অন্তর পুঁজির তেজী ও মন্দার চক্র

পুঁজিবাদ বা ধনতন্ত্রের বর্তমান অবস্থার মার্কসবাদী বিশ্লেষণে ‘পুঁজিবাদের সাধারণ সংকট’ (ইংরেজি: General crisis of Capitalism) একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা। মার্কসীয় বিশ্লেষণের অনুসারীদের মতে পুঁজিবাদের গোড়াকার প্রগতিশীল ভূমিকা আর বজায় নেই। পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা শক্তিহীন হয়ে পড়েছে। পুঁজিবাদী রাষ্ট্র এবং ব্যবস্থা এখনো শক্তিশালী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা বিদ্যমান। আরো পড়ুন

পুঁজিবাদ ও নারী শ্রমিক

বর্তমান পুঁজিবাদী সমাজের মধ্যে দারিদ্র্য ও নিপীড়নের অসংখ্য ঘটনা চাপা থাকে যা হামেশা চোখে পড়ে না। সবচেয়ে ভাল সময়েও শহরের বিক্ষিপ্ত গরিব পরিবারগুলি, কারিগর, শ্রমিক, চাকুরিজীবী এবং ছোট ছোট সরকারি কর্মচারীরা অবিশ্বাস্য রকমের শোচনীয় অবস্থার মধ্যে দিন কাটায়। কোনো মতে দু’বেলার আহার সংগ্রহ করে। এই সব পরিবারের লক্ষ লক্ষ নারী পারিবারিক দাসী হিসাবে বেঁচে থাকে আরো পড়ুন

মেহনতি ও শোষিত মানুষের অধিকার ঘোষণা

ক) রাশিয়া এতদ্বারা শ্রমিক, সৈনিক এবং কৃষক প্রতিনিধিদের সোভিয়েতসমূহের প্রজাতন্ত্র বলে ঘোষিত হলো। কেন্দ্রীয় আর স্থানিক সমস্ত ক্ষমতা ন্যস্ত হলো এইসব সোভিয়েতের হাতে। খ) স্বাধীন জাতিসমূহের অবাধ সম্মিলনের নীতি অনুসারে সোভিয়েত জাতীয় প্রজাতন্ত্রগুলির ফেডারেশন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলো রাশিয়া সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র। আরো পড়ুন

হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশে বিরাজিত লুটপাটের অর্থনীতির লাঠিয়াল

হুমায়ূন আহমেদ

১৯৭১ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের পাঁচ প্রতিক্রিয়াশীল জনপ্রিয় লেখকের একজন হুমায়ূন আহমেদ (১৯৪৮-২০১২)। হিমু, মিসির আলীর মতো দায়িত্ব ও কাণ্ডজ্ঞানহীন চরিত্র সৃষ্টি করে তিনি লক্ষ লক্ষ তারুণ্যকে পথভ্রষ্ট করেছিলেন। বাংলাদেশের এক বিশাল সংখ্যার তারুণ্যকে অরাজনৈতিক, দায়িত্বহীন, কাণ্ডজ্ঞানহীন, অবৈজ্ঞানিক, যৌনতাগ্রস্ত, হতাশাগ্রস্ত, অবসাদগ্রস্ত, উন্নাসিক, আত্মভোলা, নিস্ক্রিয়, ব্যধিগ্রস্ত, কর্মবিমুখ ও প্রতিক্রিয়াশীল করতে হুমায়ুন আহমেদের সৃষ্ট চরিত্রগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে গত চার দশকে। আরো পড়ুন

error: Content is protected !!