কার্ল মার্কসের ‘পুঁজি’র প্রথম খন্ডের পর্যালোচনা

উদ্বৃত্ত মূল্য হচ্ছে মাগনা শ্রম

ইতােমধ্যে বিদ্যমান পার্লামেন্টারী পার্টিগুলির সঙ্গে একটা নতুন পার্টি জুড়ে দিয়েছে সর্বজনীন ভােটাধিকার – সেটা হলো সােশ্যাল-ডেমােক্র্যাটিক পার্টি। উত্তর-জার্মান রাইখস্টাগের গত নির্বাচনে এই পার্টি নিজস্ব প্রার্থীদের দাঁড় করিয়েছিল বেশির ভাগ বড় শহরে, সমস্ত কারখানা মহল্লায় এই পার্টির ছয় কিংবা আট জন প্রার্থী ডেপুটি নির্বাচিত হন। এর আগের নির্বাচনে যা ছিল সেটার সঙ্গে তুলনায় এই পার্টি অনেকটা বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠছে, তাই ধরে নেওয়া যেতে পারে এটা এখনও বাড়ছে – অন্তত আপাতত। আরো পড়ুন

পুঁজিবাদের বিকাশের বিশ্লেষণমূলক গ্রন্থের নাম ‘সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ পর্যায়’

পুঁজিবাদের ঊনবিংশ এবং বিংশ শতকের বিকাশের বিশ্লেষণমূলক যে গ্রন্থ ভ্লাদিমির লেনিন ১৯১৬ সনে রচনা করেন, সেই গ্রন্থের নাম ‘ইম্পেরিয়ালিজম, দ্য হাইয়েস্ট স্টেজ অব ক্যাপিটালিজম’ বা ‘সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ পর্যায়’। ১৯১৭ সনের রুশ বিপ্লবের প্রাক্কালে বিপ্লবী আন্দোলনের তাত্ত্বিক নেতৃত্ব দানের জন্য লেনিন আরো পড়ুন

পুঁজিবাদ বা ধনতন্ত্র একটি শোষণমূলক সামাজিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা

পুঁজিবাদ বা ধনতন্ত্র (ইংরেজি: Capitalism) হচ্ছে মানবেতিহাসে পণ্য সম্পর্কের সামাজিক স্তর।[১] এটি একটি সামাজিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিশেষ। ষোড়শ শতাব্দীতে ইউরোপের কয়েকটি দেশে এই সমাজ-ব্যবস্থার প্রথম প্রতিষ্ঠা ঘটে। মানুষের সামাজিক অর্থনৈতিক কাঠামো যে বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্য দিয়ে বিকাশ লাভ করছে এটি আধুনিক চিন্তাধারার একটি স্বীকৃত সত্য।[২] আরো পড়ুন

পুঁজি কাকে বলে?

উৎপাদনের ক্ষেত্রে পুঁজি (ইংরেজি: Capital) হচ্ছে প্রয়োজনীয় উপাদানসমূহের মধ্যে একটি উপাদান। সম্পদ বৃদ্ধির জন্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে জমি, যন্ত্র, শ্রম এবং পুঁজি এই চারটি উপাদান প্রধান। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে ‘পুঁজি’ শব্দ দ্বারা নতুন পণ্য ক্রয়ের আর্থিক সামর্থ্য বুঝায়। এরূপ অর্থ পুঁজি বলতে কেবল টাকা নয়, মালিকের মালিকানাধীন দালানকোঠা, জমি, যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রি বুঝাতে পারে। আরো পড়ুন

বিশ্বে পুঁজিবাদী দেশসমূহের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার স্বরূপ

পুঁজিবাদী দেশ প্রধানত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ফেডারেল প্রজাতন্ত্র, ফ্রান্স, ইতালি এবং কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পশ্চিম ইউরোপীয় দেশ সহ উন্নত পুঁজিবাদী দেশগুলিই পুঁজিবাদী বিশ্বের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তির উৎস। আরো পড়ুন

পুঁজিবাদের সাধারণ সংকট হচ্ছে নির্দিষ্ট সময় অন্তর পুঁজির তেজী ও মন্দার চক্র

পুঁজিবাদ বা ধনতন্ত্রের বর্তমান অবস্থার মার্কসবাদী বিশ্লেষণে ‘পুঁজিবাদের সাধারণ সংকট’ (ইংরেজি: General crisis of Capitalism) একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা। মার্কসীয় বিশ্লেষণের অনুসারীদের মতে পুঁজিবাদের গোড়াকার প্রগতিশীল ভূমিকা আর বজায় নেই। পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা শক্তিহীন হয়ে পড়েছে। পুঁজিবাদী রাষ্ট্র এবং ব্যবস্থা এখনো শক্তিশালী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা বিদ্যমান। আরো পড়ুন

ফ্যাসিবাদ হচ্ছে আগ্রাসী জাতীয়তাবাদ, বর্ণবাদ, রাষ্ট্র এবং কর্পোরেট শক্তির একত্রীকৃত রূপ

ফ্যাসিবাদ (ইংরেজি: Fascism) হচ্ছে আগ্রাসী জাতীয়তাবাদ, বর্ণবাদ, রাষ্ট্র এবং কর্পোরেট শক্তির একত্রীকৃত রূপ। ডিকশনারি ডটকম অভিধানটি “ফ্যাসিবাদকে একটি স্বৈরশাসক দ্বারা পরিচালিত একটি সরকারি ব্যবস্থাকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, যেখানে বিরোধীদল ও সমালোচনাকে দমন করা হয়; সমস্ত কারখানা, বাণিজ্য, ইত্যাদিকে নিয়ন্ত্রণ [regimenting] করা হয় এবং আগ্রাসী জাতীয়তাবাদ ও আরো পড়ুন

পুঁজিবাদ ও নারী শ্রমিক

বর্তমান পুঁজিবাদী সমাজের মধ্যে দারিদ্র্য ও নিপীড়নের অসংখ্য ঘটনা চাপা থাকে যা হামেশা চোখে পড়ে না। সবচেয়ে ভাল সময়েও শহরের বিক্ষিপ্ত গরিব পরিবারগুলি, কারিগর, শ্রমিক, চাকুরিজীবী এবং ছোট ছোট সরকারি কর্মচারীরা অবিশ্বাস্য রকমের শোচনীয় অবস্থার মধ্যে দিন কাটায়। কোনো মতে দু’বেলার আহার সংগ্রহ করে। এই সব পরিবারের লক্ষ লক্ষ নারী পারিবারিক দাসী হিসাবে বেঁচে থাকে আরো পড়ুন

কার্ল মার্কস রচিত পুঁজি গ্রন্থ প্রসঙ্গে একটি বিস্তারিত আলোচনা

পুঁজি বা ডাস কাপিটাল (জার্মান: Das Kapital; ইংরেজি: Capital; বাংলা: পুঁজি) কার্ল মার্কসের লেখা পুঁজিবাদের সমালোচনামূলক একটি বই। এই বই সমাজ প্রগতি সম্বন্ধে তৎকালীন প্রচলিত অভিমতে বিপ্লব ঘটিয়েছিল এবং অর্থনীতিকে এক বিজ্ঞানসম্মত ভিত্তির উপরে স্থাপন করেছিল। পুঁজিবাদের অর্থনৈতিক সম্পর্কগুলো, তার দুই বিপরীত প্রধান শ্রেণি প্রলেতারিয়েত ও বুর্জোয়ার অভ্যন্তরীণ বৈরিতা আরো পড়ুন

পুঁজিবাদী দেশগুলিতে রাজনৈতিক পরিস্থিতির ক্ষেত্রে বর্ধমান উত্তেজনা

দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক সঙ্কটের একটি ফল হয়েছে এই যে পুঁজিবাদী দেশগুলির রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে— সেই দেশগুলির অভ্যন্তরে ও সেই দেশগুলির পারস্পরিক সম্পর্কক্ষেত্রে, উভয়তঃই এক অভূতপূর্ব উত্তেজনা বৃদ্ধি হয়েছে। বৈদেশিক বাজারের জন্য তীব্র লড়াই, অবাধ বাণিজ্যের শেষ চিহ্নের অবলুপ্তি, নিবারক শুল্ক, বাণিজ্য যুদ্ধ, বৈদেশিক মুদ্রা যুদ্ধ, ডাম্পিং ও অন্যান্য অনেক অনুরূপ ব্যবস্থা যা অর্থনৈতিক কর্মনীতির ক্ষেত্রে চরম জাতীয়তাবাদের পরিচায়ক ও বিভিন্ন দেশের মধ্যে সম্পর্ককে চূড়ান্তভাবে বিষিয়ে তুলেছে, আরো পড়ুন

error: Content is protected !!