আমাদের দেশে বর্তমানে যে-সব ছবি হচ্ছে, তার মধ্যে কিছু কিছু প্রশংসনীয় ব্যাপার নিশ্চয়ই আছে। তারা মোটামুটি ছবির মাধ্যমটাকে ধরতে পেরেছেন। কিন্তু তাই বলে এই নয় যে পৃথিবীর চলচ্চিত্র প্রগতির সঙ্গে এরা হাত মেলাতে পেরেছেন। বিশেষ করে সমাজ চেতনার দিকটা। আরো পড়ুন
Tag: সিনেমা
চলচ্চিত্র সাহিত্য ও আমার ছবি
বাংলা ছবির ক্ষেত্রে বাংলা সাহিত্য যেভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে সেটাকে সম্পূর্ণভাবে সাহায্যকারী জিনিস বলে মনে করা উচিত হবে না। বাংলা সাহিত্যের অসীম প্রভাবে ছবিটা “বই”-ই হয়ে দাড়িয়েছে। এবং আমাদের ছবি-করিয়েদের প্রথম এবং প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে বইটাকে ছবিতে কতখানি বিশ্বস্তভাবে রূপান্তরিত করা যায়।আরো পড়ুন
ছবিতে ডায়লেকটিকস
ডি. ডবলিউ, গ্রিফিথ যখন ‘ইনটলারেন্স’ আর ‘দি বার্থ অব নেশন’ করেছিলেন, তখনই সত্যি সিনেমা জন্মগ্রহণ করেছিল। সে হলাে ১৯১৮-২০ সালের ব্যাপার। তার আগেই অবশ্য ‘গ্রেট ট্রেন রবারি’তে প্রথম ক্লোজ-আপ ব্যবহৃত হয়েছিল। সেটা ১৯০৩ সালে।আরো পড়ুন
নগ্নতা এবং চলচ্চিত্র
আমাদের দেশের চলচ্চিত্র জগতে ‘চুম্বনের’ ব্যাপারটা একটি বিরাট প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। এই বিষয়ে নানান ধরনের আলােড়ন-আলােচনা ইত্যাদি চলেছে। যারাই এই প্রসঙ্গটা উত্থাপন করেছে তাদের বিরুদ্ধে যেভাবে একদল বিশেষ ধরনের চিত্রনির্মাতা দল বেঁধেছে,আরো পড়ুন
আমাদের দৃষ্টিতে বাস্তববাদী ধারা
সর্বজনগ্রাহ্য কতকগুলো কথা প্রচলিত আছে আমাদের মধ্যে– যেমন চিত্রই হচ্ছে সবচেয়ে বেশি বাস্তবমুখী শিল্প; সবচেয়ে শক্তিশালী বাস্তবতার মাধ্যম; বস্তুমুখী জীবনকে তার সর্ববৈচিত্র্য সমেত ধরতে পারে একমাত্র চলচ্চিত্রই,– ইত্যাদি ইত্যাদি। কথাগুলো তলিয়ে দেখা বিশেষ হয় নি এতদিন, অবকাশও তার বিশেষ ছিল না। গণনাট্যের নতুন জোয়ারের মধ্যে ছবিটা কোনো সময়ই এসে পড়ে নি। আরো পড়ুন
যুক্তি তক্কো আর গপ্পো চলচ্চিত্রে সমাজের দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক ফুটে উঠেছে
ঋত্বিক ঘটক ছিলেন সত্য, সুন্দর, বাস্তববাদী শিল্পী। তাই মনে করতেন জনগণের কাছে থেকে যেমন শিখতে হবে তেমনি জনগণের চিন্তার মানকেও উন্নত করা আমাদেরই দায়িত্ব। এটা না করতে পারলে দেখা যাবে নিজেদের অজ্ঞতায় নিজেরা যেমন মরছে তেমনি অন্যকেও মারছে। ব্যক্তি প্রতি মুহুর্তে রাজনীতি, অর্থনীতি সম্পর্কে সচেতন হলেই সমাজের সংকটগুলো বুঝতে পারবে। আরো পড়ুন
অযান্ত্রিক চলচ্চিত্র মানুষ ও যন্ত্রের মধ্যকার দ্বান্দ্বিক সম্পর্কের প্রকাশ
চলচ্চিত্র জগৎতে ঋত্বিক ঘটক মানেই গতানুগতিক চিন্তাধারার উর্ধ্বের ব্যক্তিত্ব। তিনি বলতেন শিল্প হতে হবে সত্য, সুন্দর, বস্তুনিষ্ঠ। নাগরিক ছিলো তার প্রথম চলচ্চিত্র। যা মুক্তি পেয়েছে মৃত্যুর দেড় বছর পড়ে। বিষয়টা খুবই পীড়াদায়ক ছিলো তার জন্য। সমাজের এমন কিছু বাস্তবতাকে সেলুলয়েডে বন্দি করতে চেয়েছে ও করেছে যা সমসাময়িক শাসকদের জন্য হুমকির ছিলো। সেই কারণে নানা বাঁধার মুখোমুখি হতে হয়েছে। আরো পড়ুন
কোমল গান্ধার চলচ্চিত্রে দুই বাংলার সাংকৃতিক মেলবন্ধনের আকুতি
আজকের সমস্ত অর্থনীতিটা যে চুরমার হয়ে গেছে তার বেসিক ফ্যাক্টর ছিল ঐ বাংলাভাগ। বাংলাভাগটাকে আমি কিছুতেই গ্রহণ করতে পারিনি। আজও পারি না। আর ঐ তিনটে ছবিতে আমি ওকথাই বলতে চেয়েছি। ইচ্ছেনা-থাকা সত্ত্বেও হয়ে গেল একটা ট্রিলজি :‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘কোমল গান্ধার’ আর সুবর্ণরেখা। আরো পড়ুন
নাগরিক: যুদ্ধোত্তর ও বাংলাভাগ পরবর্তি মধ্যবিত্তের জীবন চিত্র
ঋত্বিকের ছবিতে নগর কলকাতার সমস্ত চিহ্ন নিয়ে উপস্থিত। ছবির ভৌগােলিক পটভূমিকে বাস্তব, নিখাত, সুক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর করে তুলে আনার চেষ্টা করেছেন; ঋত্বিকের ক্যামেরা কলকাতার বাহির ও ভিতর উভয়কে তুলে ধরেছে নিপুণভাবে। আরো পড়ুন
বাড়ি থেকে পালিয়ে: কলকাতার ভঙ্গুর অর্থনীতি ও উদ্বাস্তুর করুণ চিত্র
ঋত্বিক ঘটকের ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’ ছিলো বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র। যদিও সেটা সফল ছিলো না। শিবরাম চক্রবর্তীর গল্প অবলম্বনে ঋত্বিকের এই চলচ্চিত্র মুক্তি পায় ১৯৫৯ সালে। তিনি চলচ্চিত্রের বেশ কিছু অংশ পরিবর্তন করে নিজের চিন্তা ও সমাজের বাস্তবতাকে ফুটিয়ে তুলেছেন। বাস্তববাদী চিন্তার কারণে কাল্পনিকতার কোনো আশ্রয় দিতেন না। আরো পড়ুন