পিতৃতন্ত্র বা পুরুষতন্ত্র হচ্ছে মানুষের সামাজিক বিকাশের একটি ঐতিহাসিক পর্যায়

পিতৃতন্ত্র

মানুষের সামাজিক বিকাশের একটি ঐতিহাসিক পর্যায় হচ্ছে পিতৃতন্ত্র বা পুরুষতন্ত্র (ইংরেজি: Patriarchy)। মানুষের আদিম সামাজিক সংগঠন ছিল সাম্যবাদী ও মাতৃতান্ত্রিক। পশু শিকারের পরবর্তী পর্যায়ে পশুপালন ও কৃষিকাজ যখন জীবিকার প্রধান উপায় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে তখন মানুষের সামাজিক সংগঠনেও একটা পরিবর্তন সূচিত হয়। ইতিপূর্বে জীবিকার অধিকতর দুর্বল অবস্থার জন্য এবং পারিবারিক জীবনের অস্থিরতা এবং অসংবদ্ধতার কারণে সন্তানের জননী ছিল বংশের পরিচয় সূচক। এই পর্যায়কে বলা হয় মাতৃতন্ত্র। আরো পড়ুন

নারী মুক্তি আন্দোলন প্রসঙ্গে

পুরুষতন্ত্রের বা  পিতৃশাসনের অবসান ঘটিয়ে এবং নারীদের পুরুষদের মতো সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাজে অংশ গ্রহণ ও সুবিধা ভোগ করার অধিকার নিয়ে যে আন্দোলন হয় তাই নারী-মুক্তি আন্দোলন। আরো পড়ুন

নারী

একটা মহান সমাজতান্ত্রিক সমাজ গঠনের জন্য উৎপাদন কাজে যোগদান করতে ব্যাপক নারী-সাধারণকে জাগ্রত করার গুরুত্বটা খুবই বিরাট। উৎপাদনে পুরুষ ও নারীর সমান শ্রমের জন্য সমান বেতন দিতে হবে। আরো পড়ুন

স্টাটগার্ট আন্তর্জাতিক সোসালিস্ট কংগ্রেস থেকে

নারীর ভোটাধিকারের উপর প্রস্তাবটিও সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হলো। শুধু আধা-বুর্জোয়া ফেবিয়ান সোসাইটির একজন ইংরাজ মহিলা নারীদের সকলের ভোটাধিকারের পরিবর্তে কেবলমাত্র সম্পত্তি সম্পন্ন নারীদের ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রামের পক্ষে বললেন। কিন্তু ঐ কংগ্রেস সে প্রস্তাব একেবারেই নাকচ করে দিল এবং ঘোষণা করল যে, নারী শ্রমিকদের এই ভোটাধিকারের জন্য প্রচার করতে হবে তবে নারীরা অধিকারের জন্য বুর্জোয়া সমর্থকদের সঙ্গে নয়, সর্বহারা শ্রেণিপার্টির সঙ্গে প্রচার করবে। আরো পড়ুন

জন্মনিয়ন্ত্রণ

পিরগভ ডাক্তার সম্মেলনে (১৯১৩) গর্ভপাতের প্রশ্নের উপর, মানে কৃত্রিম উপায়ে ভ্রণহত্যার বিষয়ে বিশেষ উৎসাহ দেখা গিয়েছিল এবং এ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। বক্তা লুচকুচ অনেক ঘটনার উল্লেখ করে দেখিয়েছেন যে, সমসাময়িক তথাকথিত সভ্য রাষ্ট্রগুলিতে কত ব্যাপকভাবে গর্ভপাত করানো চলেছে। আরো পড়ুন

বিবাহ বিচ্ছেদের অধিকার

যে স্লোগানগুলি রাজনৈতিক অনিষ্টগুলিকে ‘অস্বীকার’ করে বা নিন্দা করে আর। যেগুলি অর্থনৈতিক অনিষ্টগুলিকে নিন্দা করে পি কিয়েভস্কি তাদের মধ্যে তফাত বুঝতে পারেননি। তফাতটা হলো এই যে কতকগুলি অর্থনৈতিক অনিষ্ট পুঁজিবাদের মজ্জাগত, তা রাজনৈতিক কাঠামো যাই হোক না কেন, অর্থাৎ পুঁজিবাদের অবসান ছাড়া এই অর্থনৈতিক অনিষ্টগুলির অবসান অসম্ভব আরো পড়ুন

ইনেসা আরমান্দ সমীপে লেনিন

প্রিয় বন্ধু, তোমার চিঠির উত্তর দিতে দেরি হলো বলে মার্জনা চাই। কালই উত্তর দেব ভেবেছিলাম, কিন্তু ফিরতে দেরি হলো বলে আর লিখবার সময় পাইনি। খসড়া পুস্তিকার বিষয়ে বলি। আমি দেখলাম ‘স্বাধীন প্রেমের দাবি’ কথাটা অস্পষ্ট রয়ে গেছে, এবং তুমি কী চাও বা ইচ্ছা করো তার অপেক্ষা না রেখেই (যা আমি বলেছিলাম যে প্রশ্নটা হলো বাস্তব শ্রেণি সম্পর্কের এবং তোমার আত্মমুখী ইচ্ছা নয়) আরো পড়ুন

ইনেসা আরমান্দ সমীপে লেনিন

প্রিয় বন্ধু, আমার মনে হয় তোমার পুস্তিকার খসড়াটি আরও পরিষ্কার করে লেখা দরকার, নইলে অনেক জিনিস অস্পষ্ট থেকে যাবে। তুমি যে সব বক্তব্য তুলেছ তার একটি বিষয়ের উপরে আমি এখন আমার মতামত বলতে চাই। আমি বলি তুমি তিনের অনুচ্ছেদটি ‘স্বাধীন প্রেমের দাবি (নারীদের)’ একেবারেই তুলে দাও। আরো পড়ুন

গণিকাবৃত্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামের পঞ্চম আন্তর্জাতিক কংগ্রেস

সম্প্রতি লন্ডনে সাদা গোলামদের ব্যবসায় নিরোধকল্পে পঞ্চম আন্তর্জাতিক সম্মেলন হয়ে গিয়েছে। এই কংগ্রেসে অনেক ডিউকের স্ত্রী, কাউন্টের স্ত্রী, বিশপ, পাদ্রী শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত, পুলিস কর্মচারী এবং সমস্ত রকমের বুর্জোয়া বিশ্ব প্রেমিকদেরই আবির্ভাব হয়েছিল। সেখানে আনুষ্ঠানিক ভোজসভা ও সরকারী অভ্যর্থনার অন্ত ছিল না। আর পতিতাবৃত্তি যে কতো ক্ষতিকর ও কতদূর লজ্জাজনক সে সম্বন্ধে গুরু গম্ভীর বক্তৃতারও অন্ত ছিল না। আরো পড়ুন

নারী শ্রমিকদের প্রতি

কমরেডগণ, মস্কো সোভিয়েতের নির্বাচনে শ্রমিক শ্রেণির মধ্যে কমিউনিস্টদের পার্টির শক্তিবৃদ্ধি দেখা গেল। নারী-শ্রমিকরা যাতে নির্বাচনে বেশি ভূমিকা নেয় তা দরকার। যে সব সাবেকী, বুর্জোয়া, জঘন্য আইনে পুরুষের তুলনায় নারীদের সমাধিকারহীন করে রেখেছিল, দৃষ্টান্তস্বরূপ বিবাহ অধিকার বা সন্তানের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে পুরুষদের যা বিশেষ সুবিধা দিত, বিশ্বে প্রথম ও একমাত্র সোভিয়েত সরকার তা সব পুরোপুরি বিলুপ্ত করে। আরো পড়ুন

error: Content is protected !!