রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উনিশ ও বিশ শতকের বাংলা ভাষার এক প্রতিক্রিয়াশীল জনপ্রিয় কবি, লেখক, গীতিকার, দার্শনিক, চিন্তাবিদ এবং নাট্যকার। প্রতিক্রিয়াশীল এই লেখক গণতান্ত্রিক বিপ্লবে আস্থাশীল নন, কৃষকের সমস্যার ব্যাপারে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল নন, সর্বহারা বিপ্লবের যুগে জাতীয়তাবাদী আবর্জনার ফেরিওয়ালা, ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী হলেও এই দুটিয়ে ঝেটিয়ে বিদায় করার জন্য কাজ করতে অপারগ, চিন্তায় ঋষিসুলভ এবং কর্মে সুবিধাবাদী। আরো পড়ুন
Tag: বাংলা গানের গীতিকার
বাংলা গান রচয়িতাগণ গত হাজার বছর ধরে বাংলা গানকে টিকিয়ে রেখেছেন। বিশ শতকের তিরিশ ও চল্লিশের দশক থেকে রীতিই হয়ে দাড়িয়েছে এই রকম যে, যিনি গান বাঁধেন তিনি সুর দেন না, সুর যোগান অন্য লোক। এ কথা এখনকার কালের কয়েকজন প্রসিদ্ধ গীতিকার আর সুরকারের দৃষ্টান্ত নিলেই বুঝতে পারা যাবে। শৈলেন রায়, বাণীকুমার, সুবোধ পুরকায়স্থ, অজয় ভট্টাচার্য, প্রণব রায়, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, শ্যামল গুপ্ত প্রমুখরা হলেন মুখ্যত গীতিকার; আর কৃষ্ণচন্দ্র দে, হিমাংশুকুমার দত্ত, রাইচাঁদ বড়াল, পঙ্কজকুমার মল্লিক, শচীন দেববর্মণ, কমল দাশগুপ্ত, অনিল বাগচী, রবীন চট্টোপাধ্যায়, হেমন্ত মুখােপাধ্যায়, নচিকেতা ঘােষ প্রমুখরা হলেন মুখ্যত সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ। ব্যতিক্রম দৃষ্টান্তের কথা বলেছি। একাধারে গীতিকার ও সুরকার পর্যায়ের স্রষ্টার তালিকায় প্রথমেই নাম করতে হয় দিলীপকুমার রায়, তারপর একে একে এদের আগমন হয়—নির্মলচন্দ্র বড়াল, হীরেন বসু, জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ, গোপাল দাশগুপ্ত, সলিল চৌধুরী, প্রবীর মজুমদার, সুধীন দাশগুপ্ত প্রমুখ। এদের ভিতর দিলীপকুমারের সৃষ্টির অজস্রতা মনে বিস্ময় জাগায়। দেশী বিদেশী দুই সূত্র থেকেই আহৃত নানা সুরের ঢঙ বাংলা গানে আরোপ করে তিনি আধুনিক বাংলা গানের সুরের ভাণ্ডারটিকে বিচিত্রভাবে ঐশ্বর্যময় করে তোলেন।
আধুনিক বাংলা গানের গীতিকার বাংলা ভাষায় গান লিখে ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছেন
আধুনিক বাংলা গানের গীতিকার (Song-writer of modern Bangla songs) হচ্ছেন বাংলা অঞ্চলের সেসব লেখক যারা আধুনিক বাংলা গান লিখে বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করে বাংলার সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বময়। আধুনিক বাংলা গানের আবির্ভাবের পূর্বে গান লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এছাড়াও অতুলপ্রসাদ সেন, রজনীকান্ত সেন, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় অনেক জনপ্রিয় গান লিখেছেন। আরো পড়ুন
হাসান ফকরী বাংলাদেশের একজন কবি, গীতিকার, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক
হেমেন্দ্রকুমার রায় আধুনিক বাংলা গানের গীতিকার
হেমেন্দ্রকুমার রায় জন্মেছেন কলকাতার পাথুরিয়াঘাটায়। প্রকৃত নাম প্রসাদ রায়। ভারতী’ পত্রিকায় লেখেন হেমেন্দ্রকুমার নামে। প্রথমে লিখতেন কবিতা। প্রথম বই ‘যৌবনের গান’ গান ও কবিতার সংকলন ছিলো এটি। পরে পুরোপুরি গীত-সংকলন ‘সুর-লেখা’ বেরোয় ১৯৩১ সালে। আরো পড়ুন
হীরেন বসু আধুনিক বাংলা গানের গীতকার
হীরেন বসু গীতকার, সঙ্গীতকার, কণ্ঠশিল্পী, গল্পকার ও ঔপন্যাসিক ছিলেন। তাঁর জন্মেছেন ১৯০৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, কলকাতায়। ছোটবেলা থেকেই ভালো গান গাইতে পারতেন। আরো পড়ুন
সলিল চৌধুরী আধুনিক বাংলার বিখ্যাত গীতিকার
সলিল চৌধুরী (নভেম্বর ১৯, ১৯২৫ – সেপ্টেম্বর ৬, ১৯৯৫) একজন ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার এবং গল্পকার। তিনি জন্মেছেন ১৯২৩ সালের ১৯ নভেম্বর সোনারপুরে। সলিল চৌধুরীর বাবা জ্ঞানেন্দ্র চৌধুরী ছিলেন বৃত্তিতে চিকিৎসক কিন্তু তার ধ্যানজ্ঞান ছিল গান। আরো পড়ুন
সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায় আধুনিক বাংলা গানের গীতিকার
সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায় (৯ জানুয়ারি ১৮৮৪ – ১৯ মে ১৯৬৬) ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও অনুবাদক। তিনি জন্মেছেন ১৮৮৪ সালের ৯ জানুয়ারি ২৪ পরগনার ইছাপুর-বারাকপুরে। পিতামহ ছিলেন হাইকোর্টের ব্যবহারজীবী কিন্তু মাতামহ ছিলেন বাংলা রঙ্গমঞ্চের পুরোধাপুরুষ আরো পড়ুন
সুবোধ পুরকায়স্থ আধুনিক বাংলা গানের গীতিকার
সুবোধ পুরকায়স্থ জন্মেছেন ১৯০৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। আদিবাড়ি ও জমিদারি ছিল শ্রীহট্টে। শৈশব থেকেই বাড়িতে পেয়েছিলেন গানের পরিবেশ। লেখাপড়া করেন কুমিল্লা জেলা স্কুল ও কলকাতার সেন্ট পলস কলেজে। আরো পড়ুন
বাণীকুমার আধুনিক গানের বাঙালি গীতিকার ও শিল্পী
বাণীকুমারের জন্ম ১৯০৭ সালের ২৩ নভেম্বর মাতুলালয় হাওড়া জেলার কানপুর গ্রামে। পিতৃদত্ত নাম বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য। হাওড়া জিলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা, প্রেসিডেন্সি কলেজের ইংরেজি সাম্মানিক স্নাতক। আরো পড়ুন
বিনয় রায় রাজনৈতিক কর্মী এবং আধুনিক বাংলা গানের গীতিকার
বিনয় রায় (৮ সেপ্টেম্বর ১৯১৮ – ৩ জুলাই ১৯৭৫) ছিলেন গীতিকার, রচয়িতা, রাজনৈতিক কর্মী। তিনি জন্মেছেন ১৯১৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রংপুরে। তাঁর আদি বাড়ি পাবনা জেলায়। দেশ বিভাগের পরে চলে আসেন কলকাতায়। আরো পড়ুন