সোনাপাতা বা কেতুরী হলদি-এর সাতটি ভেষজ প্রয়োগ

সোনাপাতা বা কেতুরী হলদি (Curcuma angustifolia ) তিক্ত, মূত্রকারক, বিরেচক, অস্ত্রের কৃমি গতিবর্ধক, পিত্ত নিঃসারক; চর্মরোগ, বাতব্যাধি, উদরকৃমি, অর্শ, শোথ, মেহ প্রভৃতি নাশক; রসায়ন ও শুক্রবর্ধক। লোকায়তিক ব্যবহার ১. কোষ্ঠবদ্ধতায়: নানা প্রকারের জ্বর, অজীর্ণ, অম্লপিত্ত, প্রদাহ, রাতব্যাধি প্রভৃতি রোগের ক্ষেত্রে কোষ্ঠবদ্ধতা এলে কিংবা যাঁরা সাধারণতঃ কোষ্ঠবদ্ধতায় ভোগেন, এসব ক্ষেত্রেই সোনাপাতা বা সোনাফল ব্যবহার করা যেতে … Read more

সোনাপাতা বা কেতুরী হলদি-এর গুণাগুণ

Curcuma angustifolia প্রজাতিটির গাছ সাধারণতঃ ২ থেকে ৩ ফুট লম্বা হয়। পত্রদণ্ডের উভয় দিকে ৭ থেকে ৮ জোড়া পাতা থাকে। পাতাগুলি ১২ ইঞ্চি লম্বা, সরু, দেখতে অনেকটা শণগাছের পাতার মতো, তবে বর্ণ হরিদ্রাভ সবুজ ও প্রায় মসৃণ। পাতা শুকিয়ে গেলে অতি সহজে ভেঙ্গে যায়। পত্রদণ্ডের গোড়া থেকে পুষ্পদণ্ড বেরোয়। পুষ্পদণ্ডের উভয় দিকে ফুল থাকে, দেখতে … Read more

নীল টেংরাকাঁটা ভেষজ গুণাগুণের বিবরণ

নোনা জলের ধারে সুন্দরবন অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে জন্মে। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের খালের ধারে বিক্ষিপ্তভাবে জন্মে থাকে। এটি অযত্নে জন্মাতে পারে। তবে কোথাও কোথাও নদীর ধারে মাটির ভাঙ্গন রোধ করার জন্য লাগানো হয়। গাছ ২ থেকে ৫ ফুট লম্বা, চিরহরিৎ। গাছের গোড়ার দিকটা বেশ শক্ত, কাঠাল। পাতা আয়তাকার, মসৃণ, কিনারা ঢেউ খেলানো এবং ডগায় কাঁটা থাকে। ফুল … Read more

ছায়া গুল্ম-এর নানা গুণাগুণের বিবরণ

ছায়া মাটিতে সামান্য গড়িয়ে পড়ে বা শক্ত খাড়া কাণ্ডযুক্ত, অত্যন্ত রোমশ গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। এটি সাধারণতঃ বর্ষজীবী, তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে গাছ মরে যাবার পর মূলটা তাজা থাকতে থাকতে জল পেলে তা থেকেই গাছ বেরোয়। বহু শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট এক থেকে দেড় ফুট লম্বা এই উদ্ভিদটি যখন ফুলে ভরে ওঠে, তখন সত্যিই অপূর্ব লাগে। ছোট বোঁটাযুক্ত প্রায় … Read more

মায়াফল বৃক্ষ এশিয়ায় জন্মানো উপকারী প্রজাতি

মায়াফল বৃক্ষ দেখতে ঝোপালো ও ছোট। সাধারণত ১০ থেকে ১ ফুট উঁচু হয়। কাণ্ডের ছাল ধূসর। পাতা ৪-৬ সে.মি. লম্বা, শক্ত। পাতার নিচের দিকটা সামান্য রোম আছে, কিনারা অসমান কাটা কাটা। ফুল একলিঙ্গ বিশিষ্ট। ফল গোলাকা অথবা সিলিণ্ডার আকৃতির, হালকা হলুদ রঙের। Adleria gallae tinctoriae নামক এক প্রকার পতঙ্গের স্ত্রী পতঙ্গগুলি Quercus infcctoria গাছের কচি … Read more

বন চালতা গাছের ভেষজ গুণাগুণ

এশিয়া মহাদেশের উষ্ণ ও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল সমূহে এই গণের (genus) গাছগুলি জন্মে, তন্মধ্যে গোটা কুড়ি গাছ ভারতে পাওয়া যায়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়, সিকিম, দাক্ষিণাত্যের কোথাও কোথাও এই গাছটি অযত্নসম্ভূত হয়েই জন্মে। যদিও চালতা গাছের পাতা একক পত্র আর বন চালতার পাতা যৌগিক পত্র, তথাপি উপপত্রগুলির এক-একটি দেখতে অনেকটা চালতা পাতারই মতো। তার উপর … Read more

সিনামোমান গণের প্রজাতিগুলোর বৈশিষ্ট্য

Litsea গণের দু’টি প্রজাতি আমাদের কাছে অতি পরিচিত। সে দু’টি হলো—(১) Litsea glutinosa (Lour.) Robinson, (২) Litsea monopetala (Roxb.) Pers. এবং এ দু’টি গাছের বাংলা নাম যথাক্রমে কুকুর চিতা ও বড় কুকুর চিতা। উভয় গাছের ছালই মেদা লকড়ী নামে বাজারে পাওয়া গেলেও প্রথমটির ছালকেই সাধারণতঃ মেদা পকড়ী বলা হয়। এ ছালটি বড়ই পিচ্ছিল এবং নালুকার … Read more

নলিকা-এর নানাবিধ ভেষজ প্রয়োগ

বাজারে প্রাপ্ত মোটা আকারের সুগন্ধযুক্ত গোলাকৃতি বা নলিকাকৃতি নালুকা বা তেজপাতা (প্রজাতি) ঔষধার্থে ব্যবহার করতে পারলে উপকার অধিক হয়। যদিও এটাকে মসলা হিসাবে খাওয়া যায়। নলিকা-এর ভেষজ ব্যবহার ১. আগন্তুক শোথ: হঠাৎ সামান্য ধাক্কা লেগে ফুলে গেছে, যন্ত্রণা হচ্ছে, এক্ষেত্রে নালুকা জলে বেঁটে সামান্য গরম করে ঈষদুষ্ণ অবস্থায় ফোলার উপর লাগিয়ে দিন। ঘণ্টা দুই রাখার … Read more

কুকুরচিতা বা মেন্দা সুগন্ধি ও ভেষজ বৃক্ষ

ভারতের প্রায় সর্বত্র, বিশেষতঃ উষ্ণপ্রধান অঞ্চলে মেদা লকড়ীর গাছ জন্মে। চির সবুজ পত্রাচ্ছাদিত গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ, সাধারণতঃ ২০। ২৫ ফুটের মতো উঁচু হয়, তবে কোনো কোনো স্থানের গাছ আরো লম্বা হতে দেখা যায়। পশ্চিম বাংলার কোথাও কোথাও ঝোপঝাড়যুক্ত বেশ লম্বা, আবার কোথাও-বা ছোট আকারের গাছ পরিলক্ষিত হয়। পাতার কোনটি লম্বাটে, কোনটি ডিম্বাকৃতি, ডালের দু’পাশে একটির … Read more

কুকুরচিতা বা মেন্দা গাছ-এর নয়টি ভেষজ গুণ

কুকুরচিতা বা মেন্দা গাছ-এর কাঠ হরিদ্রাভ-ধূসর কিংবা ধূসর-বাদামী রঙের, বেশ শক্ত, নানাবিধ গৃহকর্মাদির কাজে ব্যবহৃত হয়। পাতার কোল থেকে পুষ্পদণ্ড বেরোয়, সেটি খুবই ছোট এবং পুষ্পদণ্ডের মাথায় ছাতার মতো ছোট ছোট হরিদ্রাভ বর্ণের ফুল ফোটে। এর অনেক ভেষজ উপকারিতা আছে। কুকুরচিতা বা মেন্দা গাছ-এর ভেষজ ব্যবহার ১. অতিসারে: প্রতিদিন ২/৩ বার পাতলা দাস্ত, তবে জলের … Read more

error: Content is protected !!