হঠাত দুপুরে বৃষ্টির নূপুরে নেমে আসে সজল করুণা ধারা। হলুদ জন্ডিস, শ্বাসকষ্ট ছেড়ে জেগে উঠে ঘাসপাড়া। আয়না হয়ে যায় ভাঙ্গা রাস্তার নয়ানজুলি; আনন্দ ধ্বনিতে নেচে উঠে বস্তির কমলাফুলি; সজল সোহাগে নাচতে থাকে অনাবৃত শিশুগুলি; আরো পড়ুন
Tag: প্রকৃতির কবিতা
হাওর
জলজ বিস্তারে কেঁপে উঠে হাওর পাহাড়ী ঢলের তোরে ধুয়ে যায় বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো খাসিকোণা গ্রাম। প্রবল ঢেউয়ের মাঝে দোলে, সংগ্রামী কেরায়ার দেহ, বিল থেকে উঠে আসে ইজারার মাছ, ইজারার হাতগুলো ছিনিয়ে আনে অপুষ্ট শরীরগুলোর গ্রাস। এখানে হানা দেয় বন্যা ও মহামারী আরো পড়ুন
কুকুর ইদুর মাছি ফুলের গাছ
পর্দাটা উসখুস করছে হাওয়ায় যেন কেউ আসবে কি আসবে না ভাবছে। নিচে কারো চেনে-বাঁধা কুকুর ঘেউ ঘেউ করছে। মশারির দড়িতে কয়েকটা মাছি, ইঁদুরগুলো আলমারির আড়ালে অদৃশ্য, বারান্দায় সারবন্দী টবে ফুলের গাছ। ইলেকট্রিক পাম্পে ঝিঁঝি-লাগা ফ্ল্যাটবাড়িটা যেন মহাশূন্যে ঝুলছে। দেয়ালে ঘড়ির কাঁটায় বিদ্ধ সময়; সমস্ত ভার হারিয়ে ফেলে আমি যেন ভাসছি। পাম্পের শব্দ হঠাৎ থেমে গেলে বাইরে এসে দাঁড়ালাম। আমাদের এই শুকনো খটখটে রাস্তায় কয়েকটা গাড়ি ভিজে পায়ে জলের
দিনান্তে
পশ্চিমের আকাশে রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়ে/ যেন কোনো দুর্ধর্ষ ডাকাতের মতো/ রাস্তার মানুষদের চোখ রাঙাতে রাঙাতে/ নিজের ডেরায় ফিরে গেল/ সূর্য।/ তার অনেকক্ষণ পরে/ রজমিন তদন্তে/ দিনকে রাত করতে/ যেন পুলিশের/ কালো গাড়িতে এল/ সন্ধ্যা।আরো পড়ুন
আরও একটা দিন
দুপায়ে রাস্তার কাদা ঘুঁটে ঘুঁটে/ ধ’রে ধ’রে পার হয়ে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোটা/ এই মাত্র চলে গেল/ আরও একটা দিন।/ মাথার ওপরে টিন/ শব্দ ক’রে/ মাঝে মাঝে চমকে চমকে ওঠে।আরো পড়ুন
রোদে দেব
আমরা বড়রা কেন বার বার পালিয়ে এ-ঘরে এসে চোখ মুছি? মেয়েটা অবাক হয়, ভাবে— আমরা নিশ্চয় কাঁদছি! তা যদি না হবে— আমাদের চোখে কেন জল? বোকা মেয়ে! কী করে বোঝাই— কখনও কখনও চোখের কুয়োয় জল তোলে কান্না নয় —জ্বালা! বোকা মেয়ে! ভিজে কাঠে যখনই ফুঁ দিই— কিছুতে ধরে না আঁচ, ধোঁয়ায় ধোঁয়ায় চোখে ধরে জ্বালা; যেদিকে তাকাই দেখি সমস্ত ধোঁয়ায় ধোঁয়াকার। চোখের জ্বালায় আমরা বাইরে আসি চোখ মুছি চোখে আমাদের তাই জল। জীবনের এই হাল তা
স্বাগত
গ্রাম উঠে গিয়েছে শহরে— শূন্য ঘর, শূন্য গোলা, ধান-বোনা জমি আছে পড়ে। শুকনো তুলসীর মঞ্চে নিষ্প্রদীপ অন্ধকার নামে, আগাছায় ভরেছে উঠোন। সূর্য পাটে বসেছে কখন। রাখালের দেখা নেই – কোথাও গরুর পাল ওড়ায় না ধুলো; ঢেঁকিতে ওঠে না পাড়, একটি কলসীও জল ওঠায় না ঘাটে। বুনো ঘাসে পথ ঢাকে, বিনা শাঁখে সন্ধ্যা হয়, সূর্য বসে পাটে। তাঁতি বোনে না কো তাঁত, কলু আর
যত দূরেই যাই
অরণ্যের মিছিল
রাত নিদ্রালু শরীর এলিয়েছে পাহাড়ের অরণ্যের ঢালে
ঐখানে জোনাকি, পেঁচা আর বাদুড়ের মিলন মেলা,
এই অশান্তিতে শুধু তাদের মাঝে অস্ত্র আর যুদ্ধ নেই, আরো পড়ুন
নিরালা দুপুর
নিরালা দুপুরে একদিন টুপ টুপ বৃষ্টি ঝরবে
সেদিন তোমায় নিয়ে হারিয়ে যাব স্মৃতি জড়িত পথে,
যেখানে পথের ধুলো জড়িয়ে রাখে অজানা ধ্বনি
মৃদু হাওয়ায় আমিও রাখব তোমায় হৃদমাঝারে। আরো পড়ুন<