খুবানি শোভাবর্ধক ও উপকারী বৃক্ষ

মাঝারি ধরনের ঝোপঝাড় বিশিষ্ট গাছ। সাধারণতঃ ২০। ২৫ ফুট উঁচু হয়। পাতা গোল কিংবা ডিম্বাকৃতি, ২ থেকে ৪ ইঞ্চি লম্বা। ফুল গোলাপী সাদা। ফল কচি অবস্থায় রোমশ, পাকলে হলদে রঙের উপর লালের আভা, মসৃণ। শুকনো ফল তাজা অপেক্ষা উত্তম। এই ফল মধুর, অম্ল, অম্ল-মধুর ভেদে তিন প্রকার। ফলের মধ্যে বীজ থাকে এবং বীজের মধ্যে থাকে শাঁস। বীজের শাঁস অত্যধিক স্বাদযুক্ত। ঔষধার্থে ব্যবহার্য অংশ— ফল ও শাঁস।আরো পড়ুন

নারকাটা সপুষ্পক আরোহী লতা

নারকাটা একটি কাষ্ঠল আরোহী লতা। এর শাখাগুলি ঘন গ্রন্থিযুক্ত ও লোমযুক্ত এবং কাঁটাযুক্ত। লতার পাতা ২২ থেকে ৩৬ সেমি লম্বা হয় এবং দ্বিগুণ যৌগিক। পাতা পাশাপাশি থাকে, একটি শিরায় ১৩ থেকে ২৩ জোড়া থাকে, এটি প্রায় ৩.৫ সেমি লম্বা। ঝিরিঝিরি পাতাগুলো বিপরীতমুখী, ৭ থেকে ১৪ জোড়া, আয়তাকার, প্রায় ৯ × ৪ মিমি, সরল, ব্রাশের মতো দেখতে।আরো পড়ুন

ডিকামালী শোভাবর্ধনকারী ও ভেষজ গুণসম্পন্ন গুল্ম

মাঝারি ধরনের ঝোপঝাড়যুক্ত গাছ। এটি বিশেষতঃ মধ্য ও দক্ষিণ ভারতের পার্বত্য অঞ্চলে পাওয়া যায়। এছাড়া দক্ষিণ মহারাষ্ট্র, উত্তর কন্নড়তেও জন্মে। এই প্রজাতিটি ছাড়া অন্য একটি প্রজাতি (G. lucida) পাওয়া যায়। এই দুটি গাছের আঠা বা নির্যাসই ডিকামালী নামে খ্যাত এবং ঔষধার্থে ব্যবহৃত হয়। আরো পড়ুন

পুন্নাগ গাছের নানাবিধ ভেষজ গুণাগুণ

পুন্নাগ গাছের (Calophyllum inophyllum) ছাল, পাতা, বীজ ভেষজ কাজে ব্যবহৃত হয়। এর বীজ থেকে এক ধরণের তেল হয়, যা চর্মরোগের জন্য খুব উপকারী। দক্ষিণ ভারত, পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যার সমুদ্রোপকূলবর্তী স্থান, বোম্বাই প্রদেশের পূর্ব ও পশ্চিম অংশ, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ, বর্মা, মালয়, শ্রীলঙ্কা প্রভৃতি স্থানে জন্মে। তবে ভারতের সর্বত্র এই গাছটিকে লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং হচ্ছে রাস্তার দু’ধারের ও বাগানের সৌন্দর্যবৃদ্ধির জন্য।আরো পড়ুন

পাতাহীন ডেনড্রোবিয়াম বা ফাসিয়া মাছ অর্কিড জাতীয় প্রজাতি

পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা আদিবাসীরা বিকৃত মাথা বিশিষ্ট সদ্যজাত শিশুর চিকিৎসায় এই প্রজাতির পাতা ব্যবহার করে থাকে। প্রথমে তারা সঠিত ভাবে পাতার পেষ্ট তৈরি করে এবং তারপর মাথার অস্বাভাবিক বা বিকৃত অংশে ঐ পেষ্ট ব্যবহার করে। এই চিকিৎসা দীর্ঘদিন ধরে চালাতে হয় (Huda, 2000).আরো পড়ুন

বন সাবাইম এশিয়ার চিরহরিৎ বনে জন্মানো ভেষজ বৃক্ষ

পত্রঝরা বৃক্ষ, ২৭ মিটার পর্যন্ত উঁচু, শাখাপ্রশাখা ছড়ানো, ক্ষুদ্র শাখা রোমশ, বাকল গাঢ় বাদামি, পাতলা যা উল্লম্ব সন্ধিযুক্ত, পুরাতন বৃক্ষে একটির উপর অন্যটি স্তরে উন্মুক্ত। পত্র সচূড় পক্ষল, একান্তর, ১৪.৫-৫.৫ x ২-৩ সেমি, আয়তাকার-উপবৃত্তাকার, কদাচিৎ প্রায় বর্তুলাকার,আরো পড়ুন

স্বর্ণচাঁপা ফুল, ফল, গাছের ছালের নানাবিধ ভেষজ গুণাগুণ

এর সংস্কৃত নাম চম্পক, বাংলায় প্রচলিত নাম চাঁপা ও হিন্দীতে চাম্পা নামে পরিচিত। এর বোটানিক্যাল নাম Michelia champaca Linn., ও ফ্যামিলি Magnoliaceae. ঔষধার্থে ব্যবহার্য অংশ- ছাল, বীজ, পাতা ও মূল।আরো পড়ুন

বরুণ গাছ, পাতা, ফুলের নানাবিধ ভেষজ গুণাগুণ

বরুণ

প্রথমেই বলে রাখি যে, বরুণ গাছের ছাল, পাতা ও ফুলের ব্যবহার অত্যন্ত প্রাচীন, তবে দেখা যায় যে, যত শিশু-ভেষজ আছে তার মধ্যে বরুণের ব্যবহারের উল্লেখ বহু ক্ষেত্রে। তাই এটারও গবেষণার ক্ষেত্র আছে, শুধু তাই নয়, প্রয়োজনও আছে। এটি সামগ্রিকভাবে কাজ করে রসবহস্রোতে।আরো পড়ুন

বনঢুলি বা দুপুরমনি ফুল ও মূলের ছয়টি ভেষজ গুণাগুণ

দুপুরমনি

উষ্ণ, গরপাক, ত্রিদোষের প্রশমক, জ্বরনাশক ও পিচ্ছিল। ফল গুরুপাক ও কোষ্ঠবদ্ধতাকারক। চরকের মতে এটা সাপের বিষে হিতকর। সাঁওতালরা এর মূল অনেকক্ষেত্রে ঔষধার্থ ব্যবহার করে থাকে। ব্যবহার্য অংশ হচ্ছে ফুল ও মূল।আরো পড়ুন

ঢোলপাতা বা কানশিরে তৃণের সাতটি ভেষজ উপকারিতা

ক্ষুপ জাতীয় এই প্রজাতির পাতার গোড়ার দিকটায় একটু, চওড়া বেষ্টনী আছে যেটা লতাটাকে জড়িয়ে ধরে রাখে এবং এর গায়ে কোমল রোম আছে। পুষ্পধি দেখতে অনেকটা ছেড়া কানের মত, তার মধ্য থেকেই ছোট ছোট নীল ফুল হয়। তাই এর প্রচলিত নাম কানছিড়ে। বীজকোষ ঝিল্লীযুক্ত। আরো পড়ুন

error: Content is protected !!