রক্তজবা ফুল এশিয়ার এক বৈচিত্র্যময় ফুল

রক্তজবা মালভেসি পরিবারের হিবিস্কাস গণের একটি ছোট বৃক্ষ। আমাদের দেশের অনেকেই বাড়ির আঙিনা কিংবা বাসাবাড়ির ছাদের টবে নানা জাতের ফুলগাছ লাগিয়ে থাকে। এসব গাছের মধ্যে জবা একটি। দেশের সর্বত্রই এই ফুলের চাষ হয়। চিন দেশ এর উৎপত্তি স্থান। রক্তজবা গাছ টি ২-৪ মি. উঁচু, আরো পড়ুন

রাং চিতা বাংলাদেশ এবং ভারতের বাগানে চাষযোগ্য ঔষধি ও আলংকারিক গুল্ম

রাং চিতা

রাং চিতা রসালো গুল্ম, আকারে প্রায় আড়ায় মিটার লম্বা হয়। তরুণ বিটপ। এটি কচি অবস্থায় অণুরোমশ, পরিণত অবস্থায় রোমশ বিহীন পত্র সোপপত্রিক, উপপত্র, গাঢ় বাদামী, বৃন্ত ৪-১০ মিমি লম্বা। পত্রফলক ডিম্বাকার বা উপবৃত্তাকৃতি-ডিম্বাকার। পাতার দৈর্ঘ্য ৩-১৪ ও প্রস্থ ১-৮ সেমি। শীর্ষ বা স্থলাগ্র, মূলীয় অংশ কর্তিকাগ্র বা কীলকাকার। মঞ্জরীনল ৮-১২ মিমি পর্যন্ত লম্বা, বহির্ভাগ রোমশ বিহীন, অভ্যন্তর রোমশ, সূক্ষাগ্র মূলীয় অংশ সবুজাভ হলুদ এবং উপর লাল। প্রধান খন্ড ৩-৪ মিমি, দীর্ঘায়ত, স্থলাগ্র, প্রান্ত সিলিয়াযুক্ত, পার্শ্বীয় খন্ড প্রধান খন্ড অপেক্ষা ক্ষুদ্রতর, মধ্য খন্ড পাশ্বীয় খন্ড অপেক্ষা ক্ষুদ্রতর দলপুট লাল। আরো পড়ুন

শিউলি বা শেফালী বাংলাদেশ ভারতের আলংকারিক সুগন্ধি ফুল

শিউলি

ভুমিকা: শিউলি (বৈজ্ঞানিক নাম: Nyctanthes arbor-tristis ইংরেজি: night-flowering jasmine বা parijat) হচ্ছে অলিয়াসি পরিবারের নেকটানথি গণের বৃক্ষ। বাংলাদেশের জনপ্রিয় ফুলের তালিকায় শিউলি আছে। বিবরণ: শেফালি বা শিউলি ক্ষুদ্র বৃক্ষ। কচিশাখা রোমশ, চতুষ্কোণী। পত্র ডিম্বাকৃতি, সূক্ষ্মকোণী, বর্ধিত-শীর্ষ, প্রায় ৪ ইঞ্চি দীর্ঘ। পত্রবিন্যাস বিপ্রতীপ। মঞ্জরি নিয়ত, স্বল্পপৌষ্পিক, কাক্ষিক ও প্রান্তিক। ফুল ক্ষুদ্র, অবৃন্তুক চ্যুতদল। পাপড়ি যুক্ত, ৫-৮ অংশে বিভক্ত, সুগন্ধি, নিম্নাংশ নলাকৃতি ইঞ্চির এক চতুর্থাংশ, গাঢ়-কমলা, উর্ধ্বাংশ প্রসারিত, শ্বেত, কোমল আধা ইঞ্চি প্রশস্ত। ফল চ্যাপ্টা, পৌনে এক ইঞ্চি, বিতাম্বুলাকৃতি, দ্বিবীজীয়, ধূসর, শুষ্ক। আরো পড়ুন

বামনহাটি এশিয়ার দেশসমূহে জন্মানো বহুবর্ষজীবি ঔষধি গুল্ম

পরিচিতি: উদ্ভিদ বহুবর্ষজীবি গুল্ম। কান্ড ফাঁপা , চার কোণাকার , বাকল ফিকে ধুসর, মসৃণ ও চকচকে । পাতা সরল , বৃন্তহীন, বল্লমাকার, রোমহীন। এক আবর্তে ৩-৬ টি পাতা থাকে। পুষ্পবিন্যাস পত্রময়, শীর্ষক প্যানিকল। ফুল ক্রিম সদৃশ সাদা, মঞ্জরীপত্রযুক্ত। বৃতি ঘন্টাকার। বামনহাটি-এর বিস্তৃতি: ভারতীয় উপমহাদেশসহ এশিয়ার প্রায় সব দেশেই বামনহাটি দেখা যায়। ফাঁপা কাণ্ডের চিকন সবুজ … Read more

কানাইডিঙ্গা বাংলাদেশের বিপন্ন বৃক্ষ

কানাইডিঙ্গা-এর বিবরণ: কানাইডিঙ্গা ছোট থেকে মাঝারি আকৃতির পাতাঝরা বৃক্ষ, উচ্চতায় ৮-১২ মিটার বা সর্বোচ্চ ২০ মিটার হয়ে থাকে। এদের গুঁড়ি কান্ড সরল সোজা নলাকার এবং বাকল পুরু, নরম ও ধূসর বাদামি বর্ণের। পাতা যৌগিক, বোটা লম্বাটে, পত্রফলক লম্বায় ১২০-১৮০ সেন্টিমিটার, দ্বি বা ত্রি-শ্বাখান্বিতভাবে এবং অসংখ্য পত্রকযুক্ত। পত্রকগুলো ডিম্বাকার, লম্বায় ৭-২০ সেন্টিমিটার ও চওড়ায় ২-৭ সেন্টিমিটার, … Read more

লাল শাপলা বাংলাদেশের জলজ আলংকারিক ফুল

লাল শাপলা বা রক্ত কমল (বৈজ্ঞানিক নাম: Nymphaea rubra) শাপলা পরিবারের একটি জলজ উদ্ভিদ। এটি বাংলার প্রজাতি। পাতা এবং বোঁটা লালচে সবুজ। ফুল ডাবল, ১০-২০ সেমি চওড়া, অনেকগুলি পাপড়ি এবং পাপড়ির রঙ লাল। লাল শাপলা রাতে ফোটে। গোলাকার ফলে অনেকগুলো ছোট ছোট বীজ হয়। বীজ খাওয়া যায়। গোঁড়ার চারা থেকে চাষ করা হয়। আলংকারিক ফুল … Read more

কমলা ঢাক লতা ব্রাজিলসহ গোটা দুনিয়ার এক আলংকারিক লতা

পরিচিতি: কমলা ঢাক লতা বা সোনাঝুরি লতা হচ্ছে বিগ্নোনিয়াসি পরিবারের Pyrostegia গণের একটি সপুষ্পক উদ্ভিদের প্রজাতি। এটির আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও বলিভিয়া। কিন্তু বর্তমানে বাগানের প্রজাতি হিসেবে সারা দুনিয়ায় বিখ্যাত। কমলা ঢাক লতা-এর বিবরণ: কমলা ঢাক লতা ক্রান্তীয়, বহুবর্ষজীবী, নমনীয় কিন্তু কাষ্ঠল, চিরসবুজ, ঝুলন্ত শাখাবহুল লম্বা লতা। খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। … Read more

সোনালু উষ্ণমন্ডলীয় অঞ্চলে জন্মানো আকর্ষনীয় ও ভেষজ ফুল

অযত্নে জন্মায় এই গাছ। দেখতে মধ্যমাকার হয়। ২৫ থেকে ৩০ ফুট পর্যন্ত উচু হতে দেখা যায়। পর্ণমোচী বৃক্ষ, ১০-২০ মিটার উঁচু, তরুণ বিটপ। রেশমী রোমশ। তরুণ গাছের বাকল ভস্ম বর্ণের ও মসৃণ এবং পুরাতন গাছের বাকল বাদামী। এর লম্বা পত্রবৃন্তে ৩ থেকে ৬ জোড়া পর্যন্ত পাতা হতে দেখা যায়। পাতার আকার অনেকটা কাক জামের (Eugenia fruticosa) পাতার মতো। পাতা যৌগিক, পত্রক অক্ষ ৮-১২ সেমি লম্বা, গ্রন্থিবিহীন। পত্রক ২-৮ জোড়া, প্রায় দৈর্ঘ্যে ৬-১৭ ও প্রস্থ ৩.৫-৭.৫ সেমি, ডিম্বাকৃতি-উপবৃত্তাকার, সূক্ষ্মাগ্র বা দীঘা, উপর পৃষ্ঠ গাঢ় সবুজ ও চকচকে, প্রথম অবস্থায় অঙ্কীয় পৃষ্ঠ রৌপ্য রোমশ এবং শেষে ফ্যাকাশে, উপপত্র তুরপুন আকার, অতি ক্ষুদ্র, ১-২ মিমি লম্বা, আশুপাতী। আরো পড়ুন

মান্দার বা পারিজাত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার রক্ত রাঙা আলংকারিক দৃষ্টিনন্দন ফুল

মান্দার বা পারিজাত

ভূমিকা:  মান্দার, পারিজাত (বৈজ্ঞানিক নাম: Erythrina variegata  ইংরেজি: Indian Coral Tree) এটি ফেবাসিস পরিবারের ইরিথ্রিনা  গণের কাঁটাযুক্ত লাল ফুলবিশিষ্ট বৃক্ষ। একে বাংলায় বলে পালতে বা পালধে মাদার, গ্রামাঞ্চলে বলে তে-পালতে, হিন্দিভাষী অঞ্চলে বলে ‘মান্দার ফরহদ, আবার মেদিনীপুর অঞ্চলেও ‘ফরৎ’ বলে, উড়িষ্যার অঞ্চলবিশেষে এর নাম পালধুয়া। প্রতিষ্ঠান, উদ্যান বা বাগানের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগানো হয়। বৈজ্ঞানিক নাম: … Read more

হলুদ লাপছো বা হলুদ পোউ মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার সপুষ্পক দৃষ্টিনন্দন বৃক্ষ

হলুদ লাপছো বা হলুদ পোউ (বৈজ্ঞানিক নাম: Handroanthus serratifolius) হচ্ছে বিগ্নোনিয়াসি পরিবারের একটি সপুষ্পক দৃষ্টিনন্দন বৃক্ষ। এই গাছ অনেক বড় হয় এটি বনভূমি এবং বাগানের বা ফার্মের প্রজাতি হিসেবে এখন পরিচিত। আরো পড়ুন

error: Content is protected !!