ইসলামি সমাজের ধারাবাহিক স্থবিরতা (ইংরেজি: Continuous stagnation of Islamic society) সম্পর্কে মহামতি ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস (২৮ নভেম্বর, ১৮২০ – ৫ আগস্ট ১৮৯৫) অতি ক্ষুদ্র একটি মন্তব্য করেছেন। তাঁর সেই মন্তব্যটি আছে ‘গোড়ার খ্রিস্টধর্মের ইতিহাস প্রসঙ্গে’ প্রবন্ধটিতে যা আমাদেরকে এক দার্শনিকসুলভ বিশ্লেষণ দেয়। এঙ্গেলস তার ‘গোড়ার খ্রিস্টধর্মের ইতিহাস প্রসঙ্গে’ প্রবন্ধটি শুরু করেছেন সেই ধর্মের সংগে সমাজতন্ত্রের সাদৃশ্যের বা মিলের দিকটি উল্লেখ করে। আরো পড়ুন
Tag: ধর্ম
প্রোটেস্ট্যান্টবাদ হচ্ছে খ্রিস্ট ধর্মের তিনটি ভিন্নমতাবলম্বী গোষ্ঠীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রূপ
প্রোটেস্ট্যান্টবাদ (ইংরেজি: Protestantism) হচ্ছে খ্রিস্ট ধর্মের তিনটি ভিন্নমতাবলম্বী গোষ্ঠীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রূপ। এই ধর্মে বিশ্বব্যাপী ৮০ থেকে ৯০ কোটির বেশি অনুগামী যারা সম্মিলিতভাবে সমস্ত খ্রিস্টানের প্রায় ৪০%। ইউরোপের মধ্যযুগের শেষ পর্যায়ে সংস্কারবাদী আন্দোলনের যুগে প্রোটেস্টান্টদের উদ্ভব ঘটে। প্রোটেস্টান্টবাদ গোঁড়া খ্রিষ্টান ধর্মের ধর্মীয় পুরুষ, যিশু খ্রিষ্টের মাতার অলৌকিক
বিধাতার অস্তিত্ব হচ্ছে ধর্ম এবং জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক দর্শনে বিতর্কের একটি বিষয়
বিধাতার অস্তিত্ব বা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব বা ঈশ্বরের অস্তিত্ব (ইংরেজি: existence of God) হচ্ছে ধর্ম এবং জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক দর্শনে বিতর্কের একটি বিষয়। ঈশ্বরের অস্তিত্বের পক্ষে ও বিপক্ষে বিস্তৃত বিভিন্ন বিতর্ককে আধিবিদ্যক, যৌক্তিক, অভিজ্ঞতাবাদী বা আত্মগত হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে। দার্শনিক ভাষায়, ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রশ্ন জ্ঞানতত্ত্বের শাখা (জ্ঞানের প্রকৃতি এবং এলাকা) এবং তত্ত্ববিদ্যা (সত্তা, অস্তিত্ব বা
নিয়তি হচ্ছে সেই বিশ্বাস পৃথিবীতে যা কিছু ঘটেছে, ঘটছে এবং ঘটবে সবই ঈশ্বরের দ্বারা পূর্বনির্দিষ্ট
ধর্মতত্ত্বে নিয়তি (ইংরেজি: Predestination) বা নিয়তিবাদ হচ্ছে এই বিশ্বাস যে, পৃথিবীতে যা কিছু ঘটেছে, ঘটছে এবং ঘটবে, মানুষের জন্ম, মৃত্যু, ব্যক্তির ইচ্ছা, অনিচ্ছা সব কিছুই ঈশ্বরের দ্বারা পূর্ব নির্দিষ্ট। সব ঘটনাই অনিবার্য, সব অস্তিত্বই অপ্রতিরোধ্য। নিয়তিবাদ স্বীকার করলে জগতের কিংবা মানুষের সমাজের নতুন ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হওয়া কিংবা বিকশিত হওয়ার আর উপায় থাকে না। আরো পড়ুন
একেশ্বরবাদের হচ্ছে সর্বশক্তিমান, সর্ব-বিষয়ে হস্তক্ষেপকারী স্রষ্টা একমাত্র ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রতি বিশ্বাস
একেশ্বরবাদ (ইংরেজি: Monotheism) হচ্ছে এক দেবতা বা শুধু একজন ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস। একেশ্বরবাদের সংক্ষিপ্ত সংজ্ঞা হলো একমাত্র ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রতি বিশ্বাস যেই ঈশ্বর এই বিশ্ব সৃষ্টি করেছিল, এবং সেই ঈশ্বর সর্বশক্তিমান ও পৃথিবীর সর্ব-বিষয়ে হস্তক্ষেপকারী। ইংরেজী শব্দটি হেনরি মোর (১৬১৪-১৬৮৭) প্রথম ব্যবহার করেছিলেন। একেশ্বরবাদ এবং বহুঈশ্বরবাদ প্রায়শই বরং সহজ শর্তে
বহুঈশ্বরবাদ হচ্ছে গোত্রপন্থীদের নিজস্ব ধর্ম ও আচারানুসারে পালিত দেবদেবীদের উপাসনা
বহুঈশ্বরবাদ (ইংরেজি: Polytheism) হলো একাধিক দেবদেবীর উপাসনা বা বিশ্বাস, যা সাধারণত তাদের নিজস্ব ধর্ম এবং আচারের সাথে বহু দেবদেবীদের এক মণ্ডপে একত্রিত করে। এক কথায় বহু ঈশ্বরে বিশ্বাসকে বহু ঈশ্বরবাদ বলা হয়। আদি গোত্রভিত্তিক সমাজে অলৌকিক শক্তির আধার হিসেবে মানুষ প্রাকৃতিক জগতের বিভিন্ন সজীব বা আজীব বস্তু কিংবা বস্তুর প্রতীককে
পোপতন্ত্র কাকে বলে?
ক্যাথলিক গির্জার নেতৃত্ব ও কর্মপদ্ধতিকে পোপতন্ত্র (ইংরেজি: Papacy) বলা হয়। এটি মূলত পোপের দরবার। পোপকে রোমের বিশপ বলা হয়। এ পদবির উৎপত্তি ঘটেছে গ্রীক পাপাস এবং ল্যাটিন পাপা থেকে। এই পাপার উৎপত্তি ফাদার বা পিতা থেকে। আরো পড়ুন
সর্বেশ্বরবাদ কাকে বলে?
সর্বেশ্বরবাদ (ইংরেজি: Pantheism) হচ্ছে একটি দার্শনিক অভিমত। এই মত অনুযায়ী ঈশ্বর বলতে বিশ্বজগতের বাইরের কোনো শক্তি বুঝায় না। ঈশ্বর নৈর্ব্যক্তিক বটে। কিন্তু ঈশ্বর বিশ্বের বাইরের নয়। বিশ্ব বা প্রকৃতিজগৎই ঈশ্বর। সবকিছুতেই ঈশ্বর। সবকিছুই ঈশ্বর। কাজেই সর্বেশ্বরবাদের ঈশ্বর অতিপ্রাকৃতিক কোনো সত্তা নয়। প্রকৃতিই ঈশ্বর। অবশ্য সর্বেশ্বরবাদেরও বিকাশ ঘটেছে। আরো পড়ুন
কালাম হচ্ছে ইসলামী মতবাদের অধ্যয়ন
কালামবাদকে কেবল অন্ধবিশ্বাস বলা চলে না। মুতাজিলাগণ নিজেদের যুক্তিবাদী বলত। কালামবাদীগণও নিজেদের যুক্তিবাদী বলত। কালামবাদীদের বক্তব্য ছিল যে, অন্ধবিশ্বাস যেমন ইসলামকে রক্ষা করতে পারে না, তেমনি মুতাজিলাদের গ্রিক দর্শনের বিধর্মী যুক্তিও ইসলামের জন্য মারাত্মক। আরো পড়ুন
জাদু বলতে প্রাচীনকালের কতকগুলি আচার অনুষ্ঠানকে বুঝায়
জাদু বা ইন্দ্রজাল বা মায়াবিদ্যা (ইংরেজি: Magic) বলতে প্রাচীনকালের কতকগুলি আচার অনুষ্ঠানকে বুঝায়। আদিম মানুষ বিশ্বাস করতো, এ সকল আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষ, পশু, প্রেত ইত্যাদি শক্তিকে ইচ্ছানুযায়ী বশ করা যায়। জাদু বিষয়টির মূলে মানুষের মনে এই ধারণা কাজ করত যে, প্রাকৃতিক জগতের সঙ্গে মানুষ একটা অলৌকিক বন্ধনে আবদ্ধ। আদিম