আমরা এবং ফেরেশতা বর্জিত রাস্তা

আগাছা পরিষ্কার করতে করতে রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেছে একপাল শুয়োর, ফেরেশতা বর্জিত একটি রাস্তা দিয়ে আমরা যাচ্ছি, ভাবছি একপাল শুয়োরর উপরে ফেলেছে মাটির রস শুষে নেওয়া দূরন্ত ঝোপ এবং রাস্তাটা খুব পরিস্কার দেখাচ্ছে এই পরিষ্কার রাস্তাটি ফেরেশতা বর্জিত, আমরা ফেরেশতা বর্জিত আরো পড়ুন

পৃথিবী এখন

পৃথিবী এখন কাঁদছে এই বিষণ্ণ রাত্রিতে, মেঘে ঢাকা মহাশূন্যে তমিস্রার আঁধার, সচেতন বিশ্বাসে জেগে উঠে ধূ ধূ বালুচর, জলের আত্মজ ওরা আপন মহিমায়, পলির মূল্য শোধে বিভীষিকা হয়ে আরো পড়ুন

ওঠাপড়া

এইও! কাউকে বলবে না/ পাহাড়ে উঠছে বানরসেনা/ একপা দু-পা-তিন-পা/ সবার আগে শের পা/ যেই না পথ ফুরোয়/ পৌঁছে যায় চুড়োয়/ চেঁচিয়ে কয়, নামো নামো/ ল্যাজ আনিনি, আরে রামো/ কাজেই আবার এক-পা দু-পা/ হুপ পা হুপ, হুপ পা হুপা। আরো পড়ুন

সখা হে

থামাও রথ, কেশব !/ দিয়েছ আমায় তত্ত্বজ্ঞান যেসব/ ফুরিয়ে গেছে/ দিন তার !/ নারকী এই কুরুক্ষেত্র ছেড়ে/ চাই এবার/ পায়ের নিচে মাটি/ রাজ্যলোভ, রক্ত, কাটাকাটি/ আর নয়।/ নরোত্তম, তোমার হাত ধ’রে/ ভুবন ভ’রে/ দর্শন দিক/ সমন্বয়,/ সুখশান্তি,/ যোগক্ষেম,/ প্রেম। আরো পড়ুন

স্বর্গীয়

দরজা ভেজানো ছিল/ অনভ্যাসে/ নত হতে না পারায়/ মাথা ঠুকে গিয়েছে ঝনকাঠে/ ফুটো মালসা, জল শেষ/ উঠোনে তুলসীর প্রেতচ্ছায়া/ নাচায় প্রদীপ/ দাওয়ার ওপর রাখা/ জলচৌকি/ পা-ধোয়ার জল, গামছা/ কাঠের খড়ম আরো পড়ুন

সপ্তাহ প্রতিদিনই

শিব নেই। ছি! ছি !/ সেই দুঃখে/ দক্ষযজ্ঞে/ যান নি দধীচি।/ বৃত্রাসুর হানা দিলে/ স্বর্গচ্যুত/ হল দেবতারা –/ খোদ ইন্দ্র রণে ভঙ্গ দেন।/ তখন দধীচি ছাড়া/ দেবগণ/ অনন্য উপায় ।/ দধীচি দিলেন প্রাণ। আরো পড়ুন

ভানুমতীর খেল

সাদার গায়ে ছিটানও কিছু কালি;/ বিষয়আশয় বলতে সেই বুড়োর/ আর আছে কী?/ এই নিয়েই তো খালি/ যত রাজ্যের চাপান আর উতোর।/ ইহকালের কাছে তো সেই বুড়ো/ পাতেনি হাত ;/ আপনি মিলেছে যা/ তাতেই খুশি, হোক না খুদকুঁড়ো/ হোক কিছু তার চোখের জলে ভেজা। আরো পড়ুন

খেলা

খেলনাগুলো পড়ে রইল/ ছড়িয়ে ছিটিয়ে/ দেশলাইয়ের বাক্স জোড়া দিয়ে/ তৈরি করা রেল/ উনুন কড়াই খুন্তি/ চালডাল ভাড়ার হেঁশেল/ হাত-খসা পা-খসা/ মুণ্ডুহীন/ কয়েকটা পুতুল/ চেয়ার টেবিল টুল/ মুখোলে ফোটানো আরো পড়ুন

ঠাকুরমার ঝুলি

এ-দুয়োরে যায়: দূর-দূর! / ও-দুয়োরে যায় । ছেই-ছেই !/ সুয়োরানী লো সুয়োরানী তোর/ রাজ্যে দিল হানা/ পাথরচাপা কপাল যার সেই/ ঘুটেকুড়ানির ছানা/ ঘেন্নায় মরি, ছি!/ মন্ত্রী বলল, দেখছি/ কোটাল বলল, দেখছি/ ঢোল ডগরে পড়ে কাঠি/ রক্তে হয় রাঙা মাটি আরও পড়ুন

গোলোকধাম

ডানাকাটা পরী বলে,/ ‘বুড় হ/ একবার খতম হলে খেল/ তারপর স্বর্গে যাবি ?/ দূর ই –/ বলিহারি তোর এই আক্কেল !/ ফের যদি দেখেছি গির্জায় !/ উঁহু,/ সাধুসন্তেরও কাছে না।/
গায়ে দিবি বাহারে মেরজাই,/ ফুল কিনবি –/ হোক ধারদেনা। আরো পড়ুন

error: Content is protected !!