মানুষের সামাজিক বিকাশের একটি ঐতিহাসিক পর্যায় হচ্ছে পিতৃতন্ত্র বা পুরুষতন্ত্র (ইংরেজি: Patriarchy)। মানুষের আদিম সামাজিক সংগঠন ছিল সাম্যবাদী ও মাতৃতান্ত্রিক। পশু শিকারের পরবর্তী পর্যায়ে পশুপালন ও কৃষিকাজ যখন জীবিকার প্রধান উপায় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে তখন মানুষের সামাজিক সংগঠনেও একটা পরিবর্তন সূচিত হয়। ইতিপূর্বে জীবিকার অধিকতর দুর্বল অবস্থার জন্য এবং পারিবারিক জীবনের অস্থিরতা এবং অসংবদ্ধতার কারণে সন্তানের জননী ছিল বংশের পরিচয় সূচক। এই পর্যায়কে বলা হয় মাতৃতন্ত্র। আরো পড়ুন
Tag: নারী
নারী মানবপ্রজাতির অর্ধাংশ যারা দাস সমাজ থেকে পুঁজিবাদ পর্যন্ত শোষিত ও নিপীড়িত হয়ে আসছে। নারীরমুক্তির জন্য সমাজের বৈপ্লবিক পরিবর্তন প্রসঙ্গে এখানে লেনিনের নারীচিন্তা, ক্লারা জেটকিন এবং নারীমুক্তি প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।
নারীর মর্যাদা, নারীর লড়াই, নারী স্বাধীনতা এবং নারীমুক্তি প্রসঙ্গে
বাংলাদেশের উচ্চবিত্ত নারীরা কথা বলতে শিখেছে, তারা আর অবলা নয়। তারা টিশার্ট পরে লোকাল বাসে উঠে চোখে সানগ্লাস পরে পোজ দেয়। যদি বলা হয়, একটু মিছিলে চলেন তবে এসব নারীর ভড়ং কোথায় উবে যাবে। নারী মুক্তির লড়াইটি নিশ্চয় টিশার্ট আর চোখে সানগ্লাস পরে পোজ দেয়ার লড়াই ছিলো না আমাদের পূর্বসুরীদের কাছে। আরো পড়ুন
নারী
একটা মহান সমাজতান্ত্রিক সমাজ গঠনের জন্য উৎপাদন কাজে যোগদান করতে ব্যাপক নারী-সাধারণকে জাগ্রত করার গুরুত্বটা খুবই বিরাট। উৎপাদনে পুরুষ ও নারীর সমান শ্রমের জন্য সমান বেতন দিতে হবে। আরো পড়ুন
ইনেসা আরমান্দ সমীপে লেনিন
প্রিয় বন্ধু, তোমার চিঠির উত্তর দিতে দেরি হলো বলে মার্জনা চাই। কালই উত্তর দেব ভেবেছিলাম, কিন্তু ফিরতে দেরি হলো বলে আর লিখবার সময় পাইনি। খসড়া পুস্তিকার বিষয়ে বলি। আমি দেখলাম ‘স্বাধীন প্রেমের দাবি’ কথাটা অস্পষ্ট রয়ে গেছে, এবং তুমি কী চাও বা ইচ্ছা করো তার অপেক্ষা না রেখেই (যা আমি বলেছিলাম যে প্রশ্নটা হলো বাস্তব শ্রেণি সম্পর্কের এবং তোমার আত্মমুখী ইচ্ছা নয়) আরো পড়ুন
আন্তর্জাতিক নারী দিবস প্রসঙ্গে
পুঁজিবাদ আনুষ্ঠানিক সমান অধিকারের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও তার ফলে, সামাজিক অসাম্য মিশ্রিত করে। পুঁজিবাদের এই অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্যকে বুর্জোয়ার সমর্থকরা ও উদারনীতিকরা আড়াল দিয়ে থাকে এবং ক্ষুদে বুর্জোয়া গণতন্ত্রীরা তা বুঝতেই পারে না। পুঁজিবাদের এই বৈশিষ্ট্যবশত অর্থনৈতিক সাম্যের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞভাবে সংগ্রাম চালাবার সময় পুঁজিবাদী অসাম্য প্রকাশ্যে স্বীকার করে নেওয়ার
আদর্শবিহীন রাজনীতি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় — সেলিনা হোসেন
সেলিনা হোসেন কথাসাহিত্যিক। তাঁর জন্ম ১৪ জুন, ১৯৪৭ সালে রাজশাহী শহরে। তিনি মূলত গল্প-উপন্যাস লেখক। বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়াশীল ধারার রাজনৈতিক দল আওয়ামি লিগের সমর্থক হিসেবে তিনি ২০১০’র বছরগুলোয় পরিচিত হয়ে উঠেছেন। ষাটের দশকের মধ্যভাগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে লেখালেখির সূচনা। তার রচিত উপন্যাসের সংখ্যা ২০টির অধিক। গল্পগ্রন্থ এবং শিশুসাহিত্যও লিখেছেন। শিশুদের
নারীদের প্রশ্নে লেনিন — ক্লারা জেটকিন
কমরেড লেনিন প্রায়ই আমার সঙ্গে নারীদের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। অবশ্য কমিউনিজমের কথা বলতে গেলে নারীদের সামাজিক সমান অধিকার যে একটা প্রয়োজনীয় নীতি তা বলাই বাহুল্য। ১৯২০ সালের শরৎকালে ক্রেমলিনে লেনিনে পড়ার ঘরে বসেই সর্বপ্রথম আমাদের এই বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। লেনিন শুরু করলেন, — “সুস্পষ্ট মতবাদের ভিত্তিতে আমাদের একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক নারী আন্দোলন গড়ে তুলতেই হবে। আরো পড়ুন
লু স্যুন ও তাঁর গল্পের সংগ্রামী কয়েকটি চরিত্র
লু স্যুন (২৫ সেপ্টেম্বর ১৮৮১ – ১৯ অক্টোবর ১৯৩৬) ছিলেন একজন ছোটগল্প লেখক, প্রাবন্ধিক, কবি, অনুবাদক, সামাজিক সমালোচক, একজন শিক্ষক এবং একজন বিপ্লবী। আরো পড়ুন
কামিনী রায় কবিতায় তুলে এনেছেন ব্যর্থতা ও হতাশার ভেতর জীবনের জয়গান
কামিনী রায় (অক্টোবর ১২, ১৮৬৪ – সেপ্টেম্বর ২৭, ১৯৩৩) কবিতা লিখেছিলেন বাঙালির রাজনীতি সূচনা হওয়ার প্রথম বছরগুলোতে, যখন নারীরা ঘর হতে বেরই হতে পারেনি। বাঙালির বা ভারতের প্রথম অনার্স পাস নারী গ্রাজুয়েট তিনি। কামিনী রায় প্রচলিত শিক্ষা গ্রহণ করেই নিজেকে প্রচলিত পথে বিলীন করেননি; আরো পড়ুন
নারী পুরুষ ও শ্রমবিভাগ
ইতিহাসের শিক্ষা থেকেই আমরা জানতে পারি যে সমাজে যে শ্রেণি বা গোষ্ঠী উৎপাদনের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করে, এবং উৎপাদনের প্রধান কাজগুলো করে থাকে, কালে কালে তাদেরই যে উৎপাদন ব্যবস্থার উপর আধিপত্য স্থাপিত হবে সে কথা অবশ্যম্ভাবী। মাতৃপ্রধান সমাজে এমন একটা সময় ছিলো যখন উৎপাদন ব্যবস্থার উপর নারীদেরই প্রাধান্য মেনে নেয়া হতো। তার কারণ কি? আরো পড়ুন