গিমা তিতা স্বাদযুক্ত সুস্বাদু শাক

শাক

গিমা

বৈজ্ঞানিক নাম: Glinus oppositifolius (L.). সমনাম : Mollugo oppositifolia L. (1753), Mollugo spergula L. (1759). স্থানীয় নাম: গিমাশাক। 
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস 
জগৎ/রাজ্য: Plantae বিভাগ: Angiosperms অবিন্যাসিত: Edicots বর্গ: Caryophyllales পরিবার: Molluginaceae  গণ: Glinus  প্রজাতি: Glinus oppositifolius.   

বর্ণনা: ব্যাপিত শাখা-প্রশাখাবিশিষ্ট, মসৃণ থেকে মসৃণবৎ বর্ষজীবী বীরুৎ, প্রধান মূলবিশিষ্ট। কান্ড ৩০-৪০ সেমি লম্বা। পাতা ১.৫-২.৫ x ০.৪-০.৬ সেমি, অপ্রকৃত আবর্তী,চমসাকার, উল্টাভল্লাকার, বা উপবৃত্তাকার, পত্রবৃন্ত ০.১- ০.২ সেমি লম্বা। পুষ্প ০.৪ সেমি (প্রায়) লম্বা, পুষ্পবৃন্তিকা। পুষ্পপুট ৫টি, ৩.০-৩.৫ x ১.৫ মিমি (প্রায়), ফলে সংযুক্ত পুষ্পপুট ৫ মিমি (প্রায়) লম্বা, দীর্ঘায়ত থেকে উপবৃত্তাকার, অখন্ড, তীক্ষ্ণ, সম্পূর্ণভাবে মসৃণ। পুংকেশর ৫টি, ২ মিমি (প্রায়) লম্বা, পুংদন্ড সূত্রাকার। গর্ভাশয় উপগোলাকার থেকে নিরেট ডিম্বাকার, ৩ মিমি (প্রায়) উঁচু, গভর্দন্ড ৩টি, গর্ভমুণ্ড সুক্ষ্মখন্ডিত। ফল ৪.০- ৪.৫ x ২.০-২.৫ মিমি, আঁটসাঁটভাবে প্যাকেটবদ্ধ, বৃক্কাকার, লালচে বাদামী, সুস্পষ্টভাবে কণীকৃত, বীজচোলক একটি খর্বাকার ও বর্তুলাকার কুচবিশিষ্ট। মাসে।

ক্রোমোসোম সংখ্যা: 2n = ২৬ (Fedorov, 1969).

আবাসস্থল ও বংশ বিস্তার: বীজ থেকেই হয়। যেকোনো আবাদি বা পতিত জমিতে জন্মে থাকে। স্যাঁতস্যাঁতে মাটিতে ভালো হয়।  প্রজাতিটির সংকটের কারণ:বর্তমানে বিভিন্ন ঘাস মারা বিষ, কীটনাশক ফসলি জমিতে ব্যবহারের ফলে এর আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আর্দ্র পতিত জমি এবং কৃষিক্ষেত ও দেয়াল। ফুল ও ফল ধারণ জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর।

বিস্তৃতি: গ্রীষ্ম প্রধান আফ্রিকা থেকে হিমালয় পর্বতের পূর্বাঞ্চল, শ্রীলংকা এবং মায়ানমার, সমগ্র উদ্ভিজ্য অঞ্চল থেকে অষ্ট্রেলিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত। বাংলাদেশের সর্বত্র ইহা পাওয়া যায়।

অর্থনৈতিক ব্যবহার ও গুরুত্ব:

উদ্ভিদটি পট উদ্ভিদ হিসেবে। শাক হিসাবে যেমন খাওয়া হয় তেমনি গিমা শাকের অনেক ভেষজ গুণও আছে। অন্ত্রের জটিলতায় ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

অন্যান্য: বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা আশংকা মুক্ত (lc)। বাংলাদেশে এটিকে সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি এবং বর্তমানে সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই।

আরো পড়ুন:  হলুদ আমরুল বাংলাদেশে জন্মানো টক স্বাদযুক্ত ঔষধি শাক

তথ্যসূত্র:

১. বুসরা খান (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস”  আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ০৯ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ১৯৫-১৯৬। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিপিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Chinmayee Mishra

Leave a Comment

error: Content is protected !!