বোবা কোকিল

কথা চাপিয়ে/ কথার পৃষ্ঠে/ কাটছিল দিন/ কষ্টেসৃষ্টে/ এখন যে কী মুশকিল !/ হয়ত কেউ/ পঞ্চাশোর্ধ্বে/ ঠাট্টা করে।/ খাঁচার মধ্যে/ বসিয়ে দিয়ে গিয়েছে এক কোকিল। আরো পড়ুন

ঠাকুরমার ঝুলি

এ-দুয়োরে যায়: দূর-দূর! / ও-দুয়োরে যায় । ছেই-ছেই !/ সুয়োরানী লো সুয়োরানী তোর/ রাজ্যে দিল হানা/ পাথরচাপা কপাল যার সেই/ ঘুটেকুড়ানির ছানা/ ঘেন্নায় মরি, ছি!/ মন্ত্রী বলল, দেখছি/ কোটাল বলল, দেখছি/ ঢোল ডগরে পড়ে কাঠি/ রক্তে হয় রাঙা মাটি আরও পড়ুন

কি বলেন

ভাবছি।/ একটা গাড়ি কিনব ?/ না কি একটা বাড়ি?/ আমার মতে, গাড়িই ভালো –/ না কি বলেন, বাড়ি ।/ বাড়ি হলেও মন্দ হয় না/ কিন্তু দেখুন, গাড়ি –/ কত সুবিধে। মনে করলেই/ ডায়মণ্ডহারবার/ কিংবা ধরুন, উইকেণ্ডে রাঁচি! আরো পড়ুন

যেখানে ব্যাধ

এখান থেকে একটা নেয়/ ওখান থেকে দুটো/ এমনি করে বাসা বানায়/ কুড়িয়ে খড়কুটো/ যখন ডাকি আয়রে পাখি/ ধরা দে/ হারিয়ে খেই বুকের এই/ গরাদে/ একটিবার ফিরিয়ে ঘাড়/ সহসা অপ্রস্তুত/ বাঁকানো ঠোটে চমকে ওঠে/ চোখের জলবিদ্যুৎ আরো পড়ুন

মরুভূমির হাওয়ায়

আমি কখনও ভুলি না/ কিভাবে/ তুমি আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছিলে/ এক শশাকের রাত্তির।/ আকাশের চোখ ধুলো দিচ্ছিল/ বাইরে/ মরুভূমির হাওয়া।/ অন্ধকারে রিনটিন রিনটিন করে/ একদল উট/ বেশ একটু নাকউঁচুভাবে/ শহর ছেড়ে গ্রামের দিকে যাচ্ছিল।/ রাস্তার ওপাশে ওটা কী গাছ/ আমি জানি না/ বাগানে ফুটে আছে ওটা কী ফুল/ আমি জানি না। আরো পড়ুন

আলো ফোটানোর মুক্তিকামী কবিতাগ্রন্থ দোলন প্রভার “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে”

স্বপ্নের-পাখিরা-ওড়ে-যৌথ-খামারে

ভিনসেন্ট ‘ভ্যান গগ’য়ের টিউলিপ ফিল্ড-ছবি দিয়ে করা প্রচ্ছদ সহজেই দোলন প্রভার কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” বইয়ের শীর্ষককে যৌক্তিক ভাবে তুলে ধরে। যেখানে দেখা যায়, দু’পাশে দুটি খামার বাড়ি আর মাঝে একটাই চাষের জমি। ভেবে নেয়া যেতে পারে ওই জমি একক মালিকানাধীন নয়, তা যৌথ মালিকানাধীন। তাই স্বপ্নের পাখিরা এখানে যূথবদ্ধ হয়ে উড়ে বেড়ায়। আরো পড়ুন

ল্যাং

ডান কানটা বিগড়ে গেলেও, বা কানটা আছে, তাইতে ধরছি কে এবং কী, ছাড়ছে ধারে-কাছে –। ‘আপনি, মশাই, গেছেন বদলে, বদলে গেছেন, ছি ছি। আগে গলায় বাজ ডাকাতেন, এখন করেন চিঁ চিঁ।’ ‘ইনাম পেয়ে জাহান্নামে আরো পড়ুন

উত্তরপক্ষ

বাবা বলেন, যখন হবার/ আপনিই হয়,/ আসল ব্যাপার/ সময়।/ বাবা বলেন, সবার আগে/ জানা দরকার/ স্রোতে লাগে/ কখন জোয়ার,/ কখনই বা ভাটা।/ বাবা বলেন, এমনি ক’রে/ সারা রাস্তা ধৈর্য ধ’রে/ মড়া টপকে/ মড়া টপকে/ মড়া টপকে হাঁটা।/ বাবারা যা বলেন তা কি ঠিক ?/ এও ভারি আশ্চর্য,/ গা বাঁচাবার নাম দিয়েছেন সহ্য। আরো পড়ুন

পূর্বপক্ষ

ছেলেপুলেগুলোকে থামাও তো !/ ওঃ সারাটা দিন যা গেছে !/ এখন একটু গড়িয়ে নিই।/ কী গেল ? পাথরের সেই পুরনো মূতিটা ?/ ইস, ভেঙে-ভেঙে ওরা আর কিছু রাখল না।/ এখনকার যে কী হাওয়া !/ একটু গড়িয়ে নিই।/ ও সারাটা দিন যা গেছে !/ মাঠে ধান রুয়েছি, পুকুরে চারামাছ।/ জল হাওয়ায়, একটু রও, হানফান করে বাড়বে— আরো পড়ুন

গোলোকধাম

ডানাকাটা পরী বলে,/ ‘বুড় হ/ একবার খতম হলে খেল/ তারপর স্বর্গে যাবি ?/ দূর ই –/ বলিহারি তোর এই আক্কেল !/ ফের যদি দেখেছি গির্জায় !/ উঁহু,/ সাধুসন্তেরও কাছে না।/
গায়ে দিবি বাহারে মেরজাই,/ ফুল কিনবি –/ হোক ধারদেনা। আরো পড়ুন

error: Content is protected !!