কুল বা বরইয়ের বাইশটি ভেষজ গুণ ও ব্যবহার

কুল বা বরই হচ্ছে একটি ভোজ্য ফল। এটি বাংলাদেশ ও ভারতে যথেষ্ট পাওয়া যায়। এটি ভেষজগুণে অনন্য। এখানে কুল বা বরইয়ের লোকায়তিক ব্যবহার উল্লেখ করা হলো।

কুল বা বরই বেশ কয়েক প্রজাতির উপকারি ভেষজ ফল

প্রথমেই বলে রাখা ভালো, ঔষধার্থে যেখানে কুলের আভ্যন্তরিক ব্যবহার (Internal use) করার কথা বলা হবে, সেখানেই সুপক্ক শুষ্ক বা শুকনো কুল প্রয়োগ করার বিধি লেখা হবে

১. অতিসার বা পাতলা পায়খানা: বর্ণচোরা আমের মতো ভিতরে রং ধরে আছে যে অতিসার অথচ বাহ্যিক প্রকাশ পাচ্ছে না এই রকম যে ক্ষেত্রে অর্থাৎ কাদা কাদা দাস্ত হয়, পেটে দুর্গন্ধও থাকে, সঙ্গে আমও যে নেই তা নয়, এই রকম অতিসারে ১০ থেকে ১৫ গ্রাম শুকানো কুল তিন কাপ জলে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে, ছেঁকে খেতে দিলে উপকার যে হবে না তা নয়, তবে এর সঙ্গে একটু সাদা দই মিশিয়ে খেলে ভাল ফল হয়, আর যদি সে সময়ে ডালিম  (Punicagrallatum ) পাওয়া যায়, তা হলে তার সঙ্গে ২ থেকে ১ চা চামচ রস মিশিয়ে খেলে আর কথা নেই; এটাতে উপকার হবেই; তবে একটা কথা, সব সময়ে তো ডালিম পাওয়া যায় না, তাই কুল সিদ্ধ করার সময় ডলিমের খোসা ৫ গ্রাম আন্দাজ মিলিয়ে সিদ্ধ করলেও উপকার হবে।

২. অতিসারে: (দ্বিতীয় যোগ) শুকনো কুলের গুড়া ৩ থেকে ৪ গ্রাম একটু সাদা দই মিশিয়ে খেলেও উপকার হয়। এই অতিসারের ক্ষেত্রে ষষ্ঠ শতকের আচার্য বাগভট তাঁর সংগ্রহ গ্রন্থে লিখেছেন যে, কুলের বীজের গুড়া কাজ করে।

৩. পেটে বায়ু ও অরুচি: এই অসুবিধাটা কিছুতেই যাচ্ছে না, এক্ষেত্রে শুকনো কুলের গুড়া, তার সঙ্গে একটু সৈন্ধব লবণ, গোলমরিচের গুড়া এবং একটু চিনি মিশিয়ে চূরণের মতো তৈরী করে রাখতে হবে, তবে এগুলি পরিমাণ মতো দিলেই তবেই না মুখ ছাড়বে ? এই চূরণ মাঝে মাঝে চেটে খেয়ে দেখান। পেটের বায়ুও কমবে। অরুচিও সারাবে।

৪. হৃদরোগ: এখানে ঋষিকল্প কবিরাজ গঙ্গাধরের মুষ্টিযোগ তুলে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন কুবল (বদরের প্রকারভেদ) শুকিয়ে গুড়া করে সকালে ও বিকালে দুই বার ৩ থেকে ৪ গ্রাম মাত্রায় জল সহ খাওয়াতে হবে।

এখানে একটি ইঙ্গিত রেখে যাচ্ছি—উত্তরসূরিগণের জন্যে ইউনানি সম্প্রদায় একপ্রকার কুল অর্থাৎ শল্ক ব্যবহার করেন, তাকে বলা হয় ‘উনাব’, যার উচ্চারণ ‘উনাও’, এটিতে টকের লেশমাত্রও নেই, এটি শ্লেষ্মানাশকও বটে এবং কফনিঃসারকও বটে, তাঁদের মতে এটি হৃদ্য, তাই সেটাকে কুবল বলে গ্রহণ করা অযৌক্তিক নয় বলে আমি মনে করি।

৫. খাই খাই রোগ: যতই খেয়ে যাক, তার পেটের অসুখ বলতে যেটা অর্থাৎ পাতলা দাস্ত যে হয় তা নয়, অথচ গায়ে মাংস লাগে না। প্রাচীনদের সমীক্ষা হলো এই লোকের পেটে অর্থাৎ অন্ত্রে বড় ক্রিমি আছে, তাই এদের এই দুর্দশা। এইসব লোকের ক্ষেত্রে কাঁচা মিষ্টি কুলের শাঁস অন্তত ১০ গ্রাম ৩ কাপ জলে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে ঐ পিচ্ছিল ক্বাথটি প্রত্যহ একবার করে খেতে দিলে এদের দাস্ত পরিস্কার হবে এবং ঐ অত্যধিক ক্ষিধেটাও প্রশমিত হবে, তবে এর ক্রিমি যাতে বেরিয়ে যায় তার ব্যবস্থা করাটাই সমীচীন। এর দ্বারা তাঁর শরীরটা শীঘ্র ভালো হয়ে যাবে।

আরো পড়ুন:  দাগি কুল দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বুনো ফল

৬. কোষ্ঠবন্ধে: সাধারণত বাত পিত্তের ধাত, অবশ্য এদের কোষ্ঠবদ্ধতা বড় থাকে না, তবে যদি এদের সেটা আসতে থাকে, তখনই বুঝতে হবে অর্শ রোগ দরজার গোড়ায় এলো বলে; এক্ষেত্রে মিষ্টি পাকা কুলকে চটকে, খোসা ও বীজগুলো বাদ দিয়ে অথবা ছেঁকে, তার সঙ্গে অল্প জল মিশিয়ে ছেঁকে, কয়েকদিন খেতে হয়। এটাতে ঐ কোষ্ঠবদ্ধতা সেরে যায়। আর অর্শটা তখনকার মত থমকে দাঁড়িয়ে যায়। এখন প্রশ্ন, তখন যদি কাঁচা কুলের সময় না হয়? তা হলে শুকনো কুল ১৫ গ্রাম আন্দাজ নিয়ে ৩/৪ কাপ জলে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে খোসা বীজ বাদ দিয়ে, অল্প লবণ বা চিনি মিশিয়ে খেলেও হবে, তবে সেটা অনুকল্পই হলো।

৭. বসন্ত রোগে: দুই একটা বেরিয়েছে, আর বেরুচ্ছে না এবং যেটা বেরিয়েছে সেটা পাকেও না, যেন দরকচা হয়ে আছে। এক্ষেত্রে বীজ বাদ দিয়ে শুকনা কুলকে গুড়ো করে সেই গুড়ার অন্তত ৪ থেকে ৫ গ্রাম অল্প গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে একটু একটু করে চেটে চেটে খেতে হবে। সমস্ত দিনে অন্তত ৫ থেকে ৭ গ্রাম খেতে হবে। এর দ্বারা বসন্তের ঐ গুটিগুলি ঝেড়ে বেরিয়ে যাবে এবং তাড়াতাড়ি পেকে যাবে। তারপর যথারীতি তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

৮. প্রদর রোগে: এটা স্ত্রীরোগ, সাদাস্রাব বা রক্তস্রাব যেটাই হোক না কেন, আয়ুর্বেদ মতে দুটাই প্রদর রোগ, একটিকে বলা হয় শ্বেতপ্রদর আর অন্যটিকে বলা হয় রক্তপ্রদর, তবে প্রথম মাসিক বা ঋতুদর্শন না হলে এটা হয় না, আর সব বয়সের মেয়েদের সাদাস্রাব হয়ে থাকে। যাদের মাসের প্রায় সবদিনই অল্পই হোক আর বেশীই হোক, স্রাব চলতে থাকে, তাঁদের ক্ষেত্রের রোগটাকে হালকা করে দেখা উচিত নয়, তবুও আমি বলছি বীজ বাদে শুকনো কুলের গুড়ো আন্দাজ ৫ গ্রাম প্রত্যহ একটু, আখের গুড় মিশিয়ে চেটে খেলে ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ওটা উপশম হবে। তবে শারীরিক বলাধান না বাড়ালে, কিছুদিন পরে ওটা আবার আসে; তাই দরকার তাঁর স্বাস্থ্য যাতে ভাল হয়, সেদিকে লক্ষ্য করা।

৯. যোনি কুন্ডয়ন বা চুলকানি: জননেন্দ্রিয়ের মুখের কাছে অসম্ভব চুলকানি, বলারও না, আর দেখানোরও না, নিজেই অস্বস্তি ভোগ করা; বিশেষত মাসিক হওয়ার পরেই এটা বেশী হয়, আবার কখনও কখনও বেশী, এই যে অবস্থা এক্ষেত্রে শুকনো কুলের গুড়া ৫ গ্রাম করে একটু আখের গুড় বা চিনি মিশিয়ে খেতে হবে।

১০. শ্বেত প্রদর: এদের পাতলা চেহারা, মেজাজ খিটখিটে হয়, আস্তে আস্তে নিতম্ব (পাছা) শুকিয়ে যেতে থাকে এবং চেহারাটাও একটু ফ্যাকাশে দেখায়; এটিও একপ্রকার ক্ষয় রোগ। এদের সম্পর্কে একটা সহজ মুষ্টিযোগ আছে, সেটা হলো ৮ থেকে ১০টি কুলের বীজ ভেঙ্গে, তার ভিতরের শাঁস ঘষে বা মেড়ে নিয়ে, চাল ধোয়া জল অথবা শ্বেত চন্দন ঘষা আধ চামচ ও একটু দুধে একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে।

১১. রক্তামাশয়ে: পাতলা দাস্ত কয়েকবার হওয়ার পর রক্ত পড়ছে, তার সঙ্গে আমও (Mucus) আছে, এক্ষেত্রে কুলগাছের কাঁচা ছাল তবে উপরের মরা ছাল বাদ দিয়ে আন্দাজ ২ গ্রাম বেটে নিয়ে, তার সঙ্গে একটু দুধ মিশিয়ে খেতে হবে। এর দ্বারা দুই তিন দিনের মধ্যেই অতিসার সেরে যাবে।

আরো পড়ুন:  শিয়াকুল এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার একটি ভেষজ বিপন্ন গুল্ম

১২. রক্তপিত্তে: এটাকে পাশ্চাত্য চিকিৎসকগণ হিমপটিসিস (Heamoptisis) বলে থাকেন। এর লক্ষণ হলো গলা সুড়সুড় করে একটু কাসি হয়, আর তাতেই টাটকা রক্ত আসতে থাকে। এখানে বলে রাখি এটা কিন্তু রক্ত নয়, লাল পিত্ত, দেখতে রক্তের মতো। এই রক্তের একটা পরীক্ষা হলো এটা কুকুরে খায় না। কারণ এটা তিতা। এই রোগটা সাধারণত গ্রীষ্মকালের দিকে বেশি হতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে কুলগাছের কাঁচা ছাল ২ থেকে ৩ গ্রাম বেটে, একটু দুধ মিশিয়ে খেতে দিতে হবে। তবে এ সময় যদি তালশাঁসের জল পাওয়া যায় তা হলে খুবই ভাল হয়। আর একটা কথা, এই রক্ত ওঠাটা তখনকার মতো বন্ধ হলো সত্যি, কিন্তু রোগের চিকিৎসা হওয়া দরকার।

১৩. মেদ রোগে: যাঁদের পেট ও পাছাটা বা নিতম্ব ভরে যাচ্ছে, তাঁদের ক্ষেত্রে কুলের কাঁচা পাতা ৫ গ্রাম করে নিয়ে বেটে সরবত করে খেতে হবে, তবে চিনি বা মিছরি না মিশিয়ে। এ রোগের ক্ষেত্রে নিষেধ দুবেলা ভাত খাওয়া ও একবেলা রুটি খেতে হবে তাও কড়া সেকা রুটি আর চিনি বা যে কোনো মিষ্টি ও আলুও। এই পাতাবাটা দুবেলা খেলেই ভালো হয়। এর দ্বারা ঐ দুটাই ঝরে যাবে।

এখানে একটা কথা বলে রাখি, যেখানে দেখা যাচ্ছে সর্বাঙ্গই স্থূল সেখানে মেদ রোগ বলে যেন ভ্রম না হয়, মাংসগত বাত হলেও এ অবস্থা আসে, এক্ষেত্রে কুলের পাতা কিন্তু ব্যবহার্য নয়।

১৪. স্বরভঙ্গে: কুলের পাতা বাটা আন্দাজ ৫ গ্রাম এক চা চামচ ঘিয়ে অল্প ভেজে সেটার সঙ্গে একটু গোলমরিচের গুড়া মিশিয়ে খেতে দিলে এক সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়, তবে নৈমিত্তিক কারণে যে স্বরভঙ্গি হয়েছে সেক্ষেত্রে এটি কার্যকর হবে না।

এটি কিন্তু একাদশ শতকের চক্রপাণি দত্তের লিখিত চক্রদত্ত গ্রন্থের দৃষ্টফল যোগ।

১৫. মাথার যন্ত্রণায়: চক্রদত্ত আর একটি মুষ্টিযোগ লিখেছেন কোনো আগন্তুক কারণে, যেমন খুব রৌদ্র লাগে, আগুনের তাপ লাগা, হঠাৎ জ্বর আসছে, এই রকম ক্ষেত্রে মাথায় যন্ত্রণা উপস্থিত হয়, সেখানে পাতা ও কচি ডগা বেটে প্রলেপ দিলে ঐ যন্ত্রণার উপশম হবে। তবে বর্তমান যুগে এটা করার মানসিকতা কয়জনেরই বা হবে?

১৬. মদ্যত্যয় রোগে: এটা কিন্তু অসুখ্ নয়, বিসুখ; বেশী দিন মদ খেতে খেতে এটা দেখা দেয়। গা বা শরীর জ্বালা, মুখটা একটু ফুলো ফুলো। এই যে জ্বালা এক্ষেত্রে কুলপাতা বেঁটে জলে গুলে ঝাঁকিয়ে, তার ফেনা গায়ে লাগালে জ্বালা কমে;তবে ২ থেকে ৪ চা চামচ টক দইয়ে জল মিশিয়ে সেটা লাগালে আরও তাড়াতাড়ি জ্বালা কমে যায়।

১৭. প্লীহা রোগে: কুলের কাঁচা পাতা তিলের তেলের সঙ্গে বেটে, ঐ বাটা জিনিসটা প্লীহার উপর মালিশ করতে হবে; অবশ্য অল্প একটু চেপে মালিশ করতে হয়, যাকে বলা যায় মৃদু চাপ। এটা কয়েকদিন করতে হবে। এই দ্রব্যের ব্যবহার চলাকালে দুধ খেতে হবে। ষষ্ঠ শতকের বাগভটাচার্য। আয়ুর্বেদ জগতের একজন দিকপাল।

একটা কথা, বিংশ শতকে হয়তো মনে হবে যে দুধে যে পরিমাণ ঘৃত থাকবে, সেটা প্লীহা রোগে খাওয়া উচিত হবে কিনা; সে সম্পর্কে আয়ুর্বেদের চিন্তাধারা হলো প্লীহা, শোথ ও উদরী রোগের ক্ষেত্রে দুধই একমাত্র শোষক, এখানে স্নেহকে দান করে মূত্রবহ স্রোতে দুধের জলীয়াংশ বেরিয়ে যাবে এবং তার দ্বারা যে পোষণ হবে সেটার দ্বারা তার অগ্নিবল বৃদ্ধি করাবে। এই জন্যই এই দুধ তার পক্ষে ক্ষতিকারক হয় না। তাছাড়া তার মৃদু রেচনক্রিয়াও সাধিত হবে।

আরো পড়ুন:  জংলি কুল বাংলাদেশের বিপন্ন অপ্রচলিত ফল

১৮. অর্শের যন্ত্রণা: মলত্যাগ করে আসার পর মলদ্বার দপ দপ ঝন ঝন করছে, বসতে অস্বস্তি বোধ হয়। এক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০ গ্রাম কুলপাতা সিদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে, সেই জলটায় একটা ন্যাকড়া ভিজিয়ে মলদ্বারে আস্তে আস্তে চেপে ধরে ঐ ক্বাথটা লাগালে অর্শের যন্ত্রণা ও দপদপানি, ঝন ঝনানির উপশম হবে; তবে অন্তর্বলির ক্ষেত্রে ততটা উপশম লক্ষ্য করা যায় না।

১৯. বিষাক্ত কীট কামড়ে: বোলতা, ভীমরুল বা যে কোনো কীটের হুলের বিষের জ্বালা ও ফুলোয় ও শুয়োপোকা লাগার ফোলায় যজ্ঞডুমুর (Ficusrecemosa Limn.) ও কুলপাতা একসঙ্গে বেটে ওখানে লাগিয়ে দিলে জ্বালা ও যন্ত্রণার উপশম হবে এবং ফুলোও কমে যাবে, তবে কাঁকড়া বিছের হুলের জ্বালা কমাতে পারে না।

২০. ফোড়ায়: অনেক সময় মাংসল জায়গায় ফোড়া হয়, তার মুখ হয় না; পাকতে চায় না, ফেটে যাওয়া তো দূরের কথা, তার ওপর সে জায়গাটা খুব লাল হয়ে আছে, এক্ষেত্রে কুলপাতা বেটে, গরম করে লাগিয়ে দিলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এর কাজ উপলব্ধি করবেন।

২১. মুখে হাজায়: অনেক সময় পিত্তশ্লেষ্মার দোষে আশ্বিন থেকে অগ্রহায়ণের মধ্যে এই রোগ মুখের মধ্যে হয়। ছোট ছোট ফুস কুড়ি, সেগুলি লাল হয়, কিছু খেলেই জ্বালা করে। লোকে চলতি কথায় একে বলে সান্নিকের দোষে হয়েছে। এক্ষেত্রে কুলপাতা ৫ থেকে ৭ গ্রাম নিয়ে ৩ বা ৪ কাপ জলে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে, ছেকে সেই জল মুখে নিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট রেখে, ফেলে দিতে হবে। একে আয়ুর্বেদে বলা হয় কবল ধারণ করা। এইভাবে ২ থেকে ৩ বারে ২o থেকে ২৫ মিনিট কুলপাতার ক্বাথ ব্যবহার করলে ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে মুখের হাজা সেরে যায়।

২২. শয্যাক্ষতে (Bed sore): কুল কাঠের কয়লাকে শুষ্ক চূর্ণ করে বা পাউডারের মতো সেটা প্যাড করে সেই প্যাড ওখানে বেধে দিলে ঐ ক্ষতটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে।

সতর্কীকরণ: ঘরে প্রস্তুতকৃত যে কোনো ভেষজ ওষুধ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করুন।

তথ্যসূত্রঃ

১. আয়ূর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্রচার্য, চিরঞ্জীব বনৌষধি‘ খন্ড ১, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, প্রথম প্রকাশ ১৩৮৩, পৃষ্ঠা, ৭৩-৭৮।

Leave a Comment

error: Content is protected !!