পরিচিতি: জয়ন্তী গাছটি বেশি উচু হয় না। ছোট আকারের গাছ হলেও এটি দ্রুতবর্ধনশীল। এর কাঠ নরম। এই গাছ সাধারণত ১০ থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত হতে দেখা যায়। গাছ বেশি ঝোপঝাড় হয় না, পাতাগুলি দেখতে অনেকটা তেতুল পাতার মতো, সাধারণ বৃন্তে বা ডাটায় ১৪ থেকে ১৫ জোড়া পাতা থাকে, সেগুলি মসৃণ লোমযুক্ত। বৃন্তাগ্রে বিজোড় পাতা থাকে না, ফুলের রং ফিকে হলুদ; আর এক রকম ফল হয় তার পিঠের দিকের রং গাঢ় বেগুনি। এই ফুলের গঠন বকফুলের মতো, তবে আকারে খবুই ছোট। পুষ্পদণ্ডে অনেকগুলি ফুল হয়। ফুল ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। বর্ষাকালে ফুল হয় তারপর সরু, শুটি হয়; এগুলি ৬ থেকে ৯ ইঞ্চি লম্বা, অনেকগুলি বীজ থাকে; বীজগুলির প্রকোষ্ঠ পৃথক থাকে যেমন বরবটির মতো। এই গাছের ঔষধি ব্যবহার সম্পর্কে পড়ুন
বিস্তৃতি: বাংলাদেশ, ভারতের প্রায় সর্বত্রে এই গাছ দেখা যায়।
চাষাবাদ: জয়ন্তী গাছের ফল ফাল্গুন চৈত্রে পাকে এবং আপনা থেকেই বীজ পড়ে যায়। একটি ফলে ২০ থেকে ৩০টি বীজ হয়। বীজ থেকে চারা হয়।
ব্যবহৃত অংশ: ঔষধ হিসাবে এই গাছের পাতা ব্যবহার করা হয়। বেশ কিছু রোগ সারাতে প্রাথমিক চিকিৎসার কাজ করে এটা। যেমন সর্দি, জ্বর, বোলতার কামড় সারাতে ইত্যাদি।
তথ্যসূত্রঃ
১. আয়ূর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্রচার্য, চিরঞ্জীব বনৌষধি‘ খন্ড ২, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, প্রথম প্রকাশ ১৩৮৪, পৃষ্ঠা, ৮৪।
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিপিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Dinesh Valke
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।