ভূমিকা: মমপাট (বৈজ্ঞানিক নাম: Cratoxylum sumatranum) হচ্ছে হাইপারিকেসিয়া পরিবারের ক্র্যাটোক্সিলাম গণের একটি সপুষ্পক গুল্ম। এটিকে পাহাড়ি অঞ্চলে জন্মে।
মমপাট-এর বিবরণ:
এই গাছটি গুল্ম আকারের। এটি ৫১ মিটার লম্বা হয় এবং ৮০ সেমি ব্যাস। প্রজাতিটি পর্ণমোচী থেকে অধস্তন ও চকচকে। গাছের বাকল ফেটে যায় বা খোসা ছাড়ানো যায় এবং গাঢ় বাদামী রং। পাতা পেঁচানো, ১৫ মিমি পর্যন্ত হয়। দৈর্ঘ্য ৪-১৮ থেকে ২-৭ সেমি পর্যন্ত, উপবৃত্তাকার থেকে ডিম্বাকৃতি-আয়তাকার, শীর্ষে বৃত্তাকার থেকে ক্যাস্পিউডেট। পুষ্পবিন্যাস একটি ফলিয়েট প্যানিকেল, প্রায়ই বড়; পেডিসেল ১.৫-৫ মিমি। ফুল সমজাতীয়। বাহিরাবরণ ৩-৬.৫ থেকে ৩-.৫ মিমি। পাপড়ি গাঢ় বা বাদামী লাল থেকে ইট লাল, গোড়ায় ফ্যাকাশে সবুজ, সাড়ে ৪ থেকে ৯ মিমি। পুংকেশরের ফ্যাসিকল ২.৫-৭.৫ মিমি লম্বা। ডিম্বাশয় ১.৫-৩ মিমি লম্বা; শৈলী ১.৫-৩ মিমি। একটি পটে বীজ থাকে ৩-১০, দৈর্ঘ্য ৫-৭.৫ থেকে ১.৫-২ মিমি, আয়তাকার।
আবাসস্থল:
প্রায়ই ৮০০ থেকে ১২০০ মিটার বা তারচেয়েও কম উচ্চতা পর্যন্ত স্থানে জন্মে। গাছ জঙ্গল বা খোলা জায়গায় জন্মে। কাদামাটি থেকে বালুকাময় মাটি সহ পাহাড়ের ধারে এবং শিলামাটিতে বা চুনাপাথরের উপরও ঠিকে থাকতে পারে।
বিস্তৃতি: মায়েনমার, ইন্দো-চীন, থাইল্যান্ড, উপদ্বীপ মালয়েশিয়া, সুমাত্রা, জাভা, বোর্নিও, ফিলিপাইন, সুলাওসি।
ব্যবহার: গাছের পাতা ও বাকলের ঔষধি ব্যবহার রয়েছে। এর কাঠ হালকা নির্মাণ, আসবাবপত্র, খোদাই, জ্বালানি কাঠ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
তথ্যসূত্র:
১. Cratoxylum sumatranum, ওয়েবসাইট নাম: Plants of Southeast Asia ইউআরএলঃ https://asianplant.net/Hypericaceae/Cratoxylum_sumatranum.htm
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি Plants of Southeast Asia থেকে নেওয়া হয়েছে।
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।