পাহাড়ী শেওড়া মোরাসি পরিবারের কন্টকিত গুল্ম বা বৃক্ষ

বৈজ্ঞানিক নাম: Balanostreblus ilicifolius Kurz, Journ.

সমনাম: জানা নেই।

ইংরেজি নাম: জানা নেই।

স্থানীয় নাম: পাহাড়ী শেওড়া।

জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস

জগৎ/রাজ্য: Plantae – Plants

উপরাজ্য: Angiosperms

বিভাগ: Eudicots

শ্রেণী: Rosids

বর্গ: Rosales

পরিবার: Moraceae

গণ: Balanostreblus

প্রজাতি: Balanostreblus ilicifolius Kurz, Journ. As. Soc. Beng. 42: 248 (1873).

বর্ণনা: পাহাড়ী শেওড়া মোরাসি পরিবারের বেলানোসট্রেবলুস গণের কন্টকিত গুল্ম বা ছোট আকারের চিরহরিৎ বৃক্ষ। এরা প্রায় ৫ মিটার উঁচু, প্রায়শই সংঘিত ছোপবিশিষ্ট, রস জলবৎ, উপশাখাসমূহ কিঞ্চিৎ রোমাবৃত অথবা মসৃণ, দূরাপসারী। এদের পাতা একান্তর, পক্ষল শিরিত, অণুপর্ণী, উপপত্র ত্রিকোণাকার, আশুপতী, বৃন্তক, বৃন্ত ০.৪-১.০ সেমি লম্বা, মসৃণ, গোলাকার, পত্রফলক দীর্ঘায়ত বা উপবৃত্তাকার-দীর্ঘায়ত, ৩.৮-১০.০ x ১.৩-৫.০ সেমি, শীর্ষ দীর্ঘা, নিম্নপ্রান্ত খর্ব কীলকাকার, কন্টকবৎ দন্তুর, দৃঢ় চর্মবৎ, মসৃণ, উপরের পৃষ্ঠ সবুজ, নিম্নপৃষ্ঠ কিছুটা ফ্যাকাশে, উপরের পৃষ্ঠে মধ্যশিরা চাপা, নিম্নপৃষ্ঠে সুস্পষ্ট, পার্শ্বশিরা ৮-১০ জোড়া, অপেক্ষাকৃত ঘিঞ্জি, পাতলা জালিকাকার। পুং পুষ্প বেলনাকার দোলক মঞ্জরীবৎ মঞ্জরীতে। স্ত্রী পুষ্প ঝুলন্ত অনির্দিষ্ট পুষ্পমঞ্জরীতে, রেসিম প্রায় ৩ সেমি লম্বা, মঞ্জরী অক্ষ শক্ত, অণুরোমশ, মঞ্জরীপত্র ক্ষুদ্র, পুষ্পবৃন্তিকা প্রায় ০.৫ সেমি লম্বা, রোমশ, পুষ্পপুট প্রায় ০.৪ সেমি লম্বা, নিম্নপ্রান্ত গর্ভাশয়ের সহিত যমক, গর্ভাশয় সরস, মসৃণ, সরস পুষ্পপুট কর্তৃক আবৃত। ফুল ও ফল ধারণ ঘটে ফেব্রুয়ারী থেকে জুন মাসে।

ক্রোমোসোম সংখ্যা: জানা নেই।

আবাসস্থল: চিরহরিৎ অরণ্য।

বিস্তৃতি: ভারত এবং মায়ানমার। বাংলাদেশে এই প্রজাতিটি চট্টগ্রাম জেলা থেকে নথিভূক্ত করা হয়েছে। (Prain, 1903).

অর্থনৈতিক ব্যবহার/গুরুত্ব/ক্ষতিকর দিক: ইহার কাঠ জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

জাতিতাত্বিক ব্যবহার: জানা নেই।

বংশ বিস্তার: বীজের সাহায্যে।

প্রজাতিটির সংকটের কারণ: আবাসস্থল ধ্বংস।

সংরক্ষণ: সংরক্ষণ করা হয়নি।

বর্তমান অবস্থা: তথ্য সংগৃহিত হয়নি (NE), কিন্তু ধারণা করা হয় বিরল।

গৃহিত পদক্ষেপ: সংরক্ষণের জন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।

প্রস্তাবিত পদক্ষেপ: প্রজাতিটি পুনরায় খুঁজে বের করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আবাসস্থল রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি স্ব-স্থানে এবং স্ব-স্থানের বাইরে উভয় ধরণের সংরক্ষণ ব্যবস্থাই গ্রহণ করত হবে।

আরো পড়ুন:  ধূপ বাংলাদেশের রক্ষিত মহাবিপন্ন বৃক্ষ

তথ্যসূত্র:

১. এম অলিউর রহমান, (আগস্ট ২০০৯)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস”।  আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ ৯ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ২০১। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

Leave a Comment

error: Content is protected !!