পাহাড়ি পিপুল দক্ষিণ এশিয়া ও মায়ানমারের খর্বাকার আরোহী লতা

পিপারাসির প্রজাতি

পাহাড়ি পিপুল

বৈজ্ঞানিক নাম: Piper sylvaticum Roxb., Fl. Ind. 1: 156 (1820).
সমনাম: Chavica sylvatica Miq. (1930). Piper dekkoanum C. DC. Piper malmoris Wall. ইংরেজি নাম: জানা নেই। স্থানীয় নাম: বন পান, পাহাড়ী পিপুল।
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae; বিভাগ: Angiosperms; অবিন্যাসিত: Magnoliids; বর্গ: Piperales; পরিবার: Piperaceae; গণ: Piper; প্রজাতি: Piper sylvaticum Roxb.,.

বর্ণনা: পাহাড়ি পিপুল বা পাহাড়ী পুপিল হচ্ছে পিপারাসি পরিবারের পিপার গণের খর্বাকার আরোহী গুল্ম। এদের শাখাসমূহ খাটো, খাড়া। পাতা একান্তর, ঝিল্লীময়, স্থুল ডিম্বাকার-ভল্লাকার, ৭-১৩ x ৩-৭ সেমি, শীর্ষ দীর্ঘাগ্র, পাদদেশ কীলকাকার বা গোলাকার, পাদদেশ ৫-শিরাল, পত্রবৃন্ত ১.০-২.৫ সেমি লম্বা, উপপত্র সরু, অস্পষ্ট, পত্রবৃন্তলগ্ন।

পুষ্প হলুদ, কাক্ষিক স্পাইকে, মঞ্জরীপত্র বর্তুলাকার, ছত্রাকার। বৃত্যংশ এবং পাপড়ি অনুপস্থিত। পুং স্পাইক সরু, খাড়া, মঞ্জরীপত্র ছত্রাকার, প্রায় অবৃন্তক, পুংকেশর ৪টি, পুংদন্ড খাটো, পরাগধানী বৃক্কাকার, দ্বি-কোষী। স্ত্রী স্পাইক বেলনাকার, মঞ্জরীদন্ড খাটো, গর্ভাশয় অধিগর্ভ, গোলকাকার, স্পষ্ট, গর্ভদন্ড খাটো, গর্ভমুণ্ড ২-৩টি, ডিম্বাকার, ডিম্বক একক, খাড়া। ফল ড্রুপ, গোলকাকার, ৩ মিমি (প্রায়) লম্বা, ঘনভাবে সজ্জিত, ১-বীজীয়। বীজ গোলকাকার। ফুল ও ফল ধারণ ঘটে মে-সেপ্টেম্বর মাসে।

 ক্রোমোসোম সংখ্যা: জানা নেই।

আবাসস্থল: বনের মধ্যে ছায়াযুক্ত স্থান।

বিস্তৃতি: ভারত, মায়ানমার, নেপাল এবং ভুটান। বাংলাদেশে ইহা হবিগঞ্জ জেলার রেমা-কালেঙ্গা বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যে এবং রাঙ্গামাটি জেলার সিতা পাহাড়ে পাওয়া যায়।

অর্থনৈতিক ব্যবহার/গুরুত্ব/ক্ষতিকর প্রভাব: ইহার ফল পাকস্থলীর বায়ুনাশক এবং ক্ষুধা বৃদ্ধিকারী (Sinha, 1969).

জাতিতাত্বিক ব্যবহার: জানা নেই।

বংশ বিস্তার: কর্তিত শাখার মাধ্যমে।

অন্যান্য তথ্য: বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ৯ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) পাহাড়ী পিপুল প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের শীঘ্র সংকটের কারণ হচ্ছে নির্বনীকরণ এবং বাংলাদেশে এটি সংরক্ষণ নির্ভর (cd) হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে পাহাড়ী পিপুল সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটির আবাসস্থলের রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।[১]

আরো পড়ুন:  বন পিপুল নেপাল, ভুটান, ভারত ও বাংলাদেশের আরোহী গুল্ম

তথ্যসূত্র:

১. এম আহসান হাবীব, (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস”  আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৯ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৩৯৮-৩৯৯। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

Leave a Comment

error: Content is protected !!