ভূমিকা: মালা বনমরিচ (বৈজ্ঞানিক নাম: Piper sylvestre) পিপারাসি গোত্রের পিপার গণের শক্ত এবং মসৃণ আরোহী গুল্ম।
বর্ণনা: মালা বনমরিচের পাতা উপবৃত্তাকার বা ডিম্বাকার, দীর্ঘাগ্র, ১০-১৫ X ৫-৮ সেমি, পাদদেশ তীক্ষাগ্র, গোলাকার বা অর্ধহৃৎপিণ্ডাকার, অধিকাংশক্ষেত্রে শীর্ষ আকষ্মিক খর্ব দীর্ঘাগ্র, পাদদেশ থেকে উপরের দিকটা ৫-শিরাল। পুষ্প অপেক্ষাকৃত সুস্পষ্ট, একলিঙ্গী, স্পাইক অতি সরু। পুষ্পপুট অনুপস্থিত। পুং স্পাইক ৩-১১ সেমি লম্বা, পুংকেশর ১-৪টি, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৩টি। স্ত্রী স্পাইক ১৮ সেমি পর্যন্ত লম্বা, ঝুলন্ত, অক্ষ সরু, মসৃণ। ফল গোলকাকার, ০.৫-২.৫ মিমি লম্বা, প্রায়ক্ষেত্রেই রুপালী শল্কবিশিষ্ট, পরিপক্ক অবস্থায় সবুজ বা কালচে। ফুল ও ফল ধারণ ঘটে ফেব্রুয়ারী-জুন।
ক্রোমোসোম সংখ্যা: 2n = ২৬, ৩৯ (Kumar and Subramaniam, 1986).
আবাসস্থল: চিরহরিৎ অরণ্যের আর্দ্র স্থান।
বিস্তৃতি: ভারত এবং শ্রীলংকা। বাংলাদেশে ইহা সিলেট জেলার বনভূমি থেকে রিপোর্ট করা হয়েছে (Alam, 1988).
অর্থনৈতিক ব্যবহার/গুরুত্ব/ক্ষতিকর দিক: জানা নেই।
জাতিতাত্বিক ব্যবহার: জানা নেই।
বংশ বিস্তার: কর্তিত শাখার মাধ্যমে।
অন্যান্য তথ্য: বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ৯ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) মালা বনমরিচ প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের শীঘ্র কোনো সংকটের কারণ হচ্ছে আবাসস্থল ধ্বংস এবং বাংলাদেশে এটি সংরক্ষণ নির্ভর (cd) হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে মালা বনমরিচ সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটির আবাসস্থলের রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।[১]
তথ্যসূত্র:
১. এম আহসান হাবীব, (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৯ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৩৯৯। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।