হেমেন্দ্রকুমার রায় আধুনিক বাংলা গানের গীতিকার

হেমেন্দ্রকুমার রায় (২ সেপ্টেম্বর ১৮৮৮ – ১৮ এপ্রিল ১৯৬৩) জন্মেছেন কলকাতার পাথুরিয়াঘাটায়। প্রকৃত নাম প্রসাদ রায়। ‘ভারতী’ পত্রিকায় লেখেন হেমেন্দ্রকুমার নামে। প্রথমে লিখতেন কবিতা। প্রথম বই ‘যৌবনের গান’ গান ও কবিতার সংকলন ছিলো এটি। পরে পুরোপুরি গীত-সংকলন ‘সুর-লেখা’ বেরোয় ১৯৩১ সালে।

মাত্র চৌদ্দ বছর বয়েসে সাহিত্য সাধনায় শুরু করেন। ১৯০৩ সালে বসুধা  নামের এক পত্রিকায় নিজের লেখা প্রথম গল্প ‘আমার কাহিনী’ প্রকাশিত হয়। এছাড়া সাপ্তাহিক নাচঘর (১৩৩১ বঙ্গাব্দ) পত্রিকাটি তিনি সম্পাদনা করেছিলেন। মাসিকপত্র রংমশাল প্রভৃতি কয়েকটি পত্রিকার সম্পাদনার সাথেও তিনি যুক্ত ছিলেন।

হেমেন্দ্রকুমার রায় গান লেখার প্রথম প্রেরণা পান ‘ভারতী’-গোষ্ঠীর মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে। গান শেখেন রাধিকা গোস্বামীর এক শিষ্যের কাছে। নাচও শিখেছিলেন। হেমেন্দ্রকুমারের লেখা গানের সংখ্যা অনুমান দুই হাজার। তার দুয়েকটিতে নিজে সুর দেন। একবছরের জন্য মিলিটারি অ্যাকাউন্টসে কাজ করে পরবর্তী জীবনে সাহিত্যসেবায় আত্মনিবেদন করেন।

তিনি ছিলেন সব্যসাচী লেখক। তবে গান লেখেন প্রধানত নাটকের জন্য, পরে রেকর্ড ও চলচ্চিত্রে। তার গান এককালে লোকের মুখে মুখে ফিরত। ‘গৈরিক পতাকা’, ‘কারাগার’, ‘সীতা’, ‘আবুল হাসান, ‘ঝড়ের রাতে’, ‘নিবেদিতা’, ‘বসন্তলীলা’, উত্তরা, নরদেবতা’, ‘রাজর্ষি’ এইসব নাটকের গান ছিল জনপ্রিয়। ১৯৬৩ সালের ১৮ এপ্রিল বাগবাজারে নিজের বাড়িতে প্রয়াত হন হেমেন্দ্রকুমার।

তথ্যসূত্র:

১. সুধীর চক্রবর্তী সম্পাদিত আধুনিক বাংলা গান, প্যাপিরাস, কলকাতা, প্রথম প্রকাশ ১ বৈশাখ ১৩৯৪, পৃষ্ঠা, ১৮৬-১৮৭।

Leave a Comment

error: Content is protected !!