অর্থনৈতিক যুদ্ধতত্ত্ব (ইংরেজি: Economic war theory) যুদ্ধকে প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার ক্রমবিকাশ হিসাবে দেখে থাকে। যুদ্ধের অর্থনৈতিক কারণের উপর অনেকেই জোর দিয়েছেন কিন্তু অর্থনীতি কীভাবে যুদ্ধের অবস্থা সৃষ্টি করে সেই সম্বন্ধে তাঁরা একমত হতে পারেন নি। দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি সাধনের উদ্দেশ্যে অনেক সময় বিভিন্ন রাষ্ট্র যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। মাঞ্চুরিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদের সাহায্যে নিজেদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি সাধনের জন্য জাপান ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে মাঞ্চুরিয়া আক্রমণ করে।
সাম্রাজ্যবাদ এবং পররাজ্য গ্রাসের পিছনে এই অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য বিশেষভাবে সক্রিয় থাকে। নিজের দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন করা সব রাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতিরই একটি প্রধান লক্ষ্য, কিন্তু যুদ্ধই সে উদ্দেশ্য সাধনের একমাত্র উপায় তা মনে করার কোনো কারণ নেই। আন্তর্জাতিক ব্যবসা বাণিজ্যের মাধ্যমেও একটি রাষ্ট্র নিজের দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন করতে পারে। এই সম্পকে Sir Norman Angell-এর অভিমত বিশেষ ভাবে উল্লেখযােগ্য। তাঁর বিখ্যাত বই The Great Illusion-এ তিনি বলেছেন যে আধুনিক যুগে একটি রাষ্ট্রের পক্ষে নিজের দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিসাধন করার জন্য যুদ্ধে অন্য দেশকে পরাজিত করে সাম্রাজ্য বিস্তার করার কোনো প্রয়ােজন হয় না।
প্রাচীন যুগে বিজিত দেশের অধিবাসীদের ক্রীতদাসে পরিণত করে এবং তাদের সঞ্চিত ধনসম্পদ আত্মসাৎ করে একটি দেশ অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হতে পারত। কিন্তু ক্রীতদাস প্রথা আর নেই এবং আধুনিক যুগে অন্য দেশের সঞ্চিত সম্পদ আত্মসাৎ করেও একটি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন করা সম্ভব নয়। নিয়মিত ভাবে সম্পদ উৎপাদন ও তা বিনিময় করেই আধুনিক যুগে একটি দেশ অর্থনৈতিক ভাবে উন্নতি লাভ করতে পারে।
উৎপাদিত সম্পদ বিনিময়ের জন্য সাম্রাজ্য স্থাপনের প্রয়োজন হয় না, অন্য স্বাধীন দেশের সাথে বিনিময় করেও অর্থনৈতিক ভাবে একটি রাষ্ট্র উন্নতি লাভ করতে পারে। তাছাড়া, বর্তমান যুগে যুদ্ধ অত্যন্ত ব্যয়সাধ্য। অতএব Norman Angell এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে “wars do not pay,” অর্থাৎ যুদ্ধ করে কোনো অর্থনৈতিক লাভ হয় না। তিনি বলেন যে আধুনিক যুগেও অনেকের ধারণা আছে যে যুদ্ধ করে একটি দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে। এই ধারণাকেই তিনি “Great Illusion” বা অবাস্তব কল্পনা বলে অভিহিত করেছেন। এই অসম্ভব কল্পনার বশবর্তী হয়ে আজও বিভিন্ন রাষ্ট্রের পক্ষে অর্থনৈতিক লাভের আশায় যুদ্ধ করা যে সম্ভব তা Norman Angell স্পষ্ট ভাবেই স্বীকার করেছেন। তিনি মনে করেন যে দেশের বৈদেশিক নীতি যারা পরিচালনা করেন তাঁরা যতদিন পর্যন্ত উপলব্ধি করতে পারবেন না যে “Wars do not pay” অর্থাৎ অর্থনৈতিক লাভের জন্য যুদ্ধ করার প্রয়োজন হয় না ততদিন পর্যন্ত অথনৈতিক লাভের আশায় যুদ্ধ চলতে থাকবে।
আধুনিক যুগের বিশ্বযুদ্ধ এতই ব্যয়বহুল যে এই ধরনের যুদ্ধের ফলে কোনো দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি সম্ভব তা কেউ আর চিন্তা করে না। বর্তমানে পৃথিবীর সমস্ত দেশ যুদ্ধ প্রস্তুতির জন্য যে বিপুল অর্থ ব্যয় করে তা যদি গঠনমূলক কাজে ব্যয় করা যেত তবে দেশের অর্থনীতির অনেক উন্নতি সম্ভব হতো। অতএব দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতির জন্য আধুনিক যুদ্ধ আরম্ভ হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি নেই। এশিয়া ও আফ্রিকার অধিকাংশ উন্নয়নশীল জাতি তাদের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য শান্তিপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্পর্কই কামনা করে। যুদ্ধের ফলে তাদের অর্থনৈতিক উন্নতি ব্যাহত হবে—এই তাদের ভয়। কিন্তু পূর্বেই বলা হয়েছে যে অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীর সাম্রাজ্যবাদী প্রসারের পিছনে অর্থনৈতিক লাভের আশা সক্রিয় ছিল।
অনেকের ধারণা আছে যে বড় বড় ব্যাংকমালিক এবং অস্ত্র ব্যবসায়ীরা নিজেদের মুনাফা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ সৃষ্টি করার জন্য চেষ্টা করে থাকে। যুদ্ধ আরম্ভ হয়ে গেলে এই ধরনের ব্যবসায়ীরা তার পূর্ণ সুযােগ গ্রহণ করে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি অস্ত্র উৎপাদনের উপর অনেক পরিমাণে নির্ভরশীল। বিদেশে অস্ত্র রপ্তানী করতে না পারলে মার্কিন অর্থনীতিতে সঙ্কট সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই অস্ত্র রপ্তানীর প্রবণতা যুদ্ধের অবস্থা সৃষ্টির সহায়ক, কারণ আন্তর্জাতিক উত্তেজনা যদি না থাকে তবে অস্ত্র রপ্তানীর সম্ভাবনা স্বভাবতঃই হ্রাস পাবে। নাৎসী জার্মানী বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য অস্ত্র উৎপাদনের উপর বিশেষ জোর দেয় এবং তার ফলে যুদ্ধের সম্ভাবনা বদ্ধি পায়। কিন্তু একমাত্র অস্ত্র ব্যবসায়ীদের চেষ্টাতেই যুদ্ধ আরম্ভ হয়। কিনা তা খুবই সন্দেহজনক।
ঊনবিংশ শতাব্দীতে এবং বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে উদারনৈতিক চিন্তাধারায় (Liberalism) যাঁদের বিশ্বাস ছিল তারা আন্তর্জাতিক অবাধ বাণিজ্যের পথে বাধা নিষেধগুলিকেই যুদ্ধের প্রধান কারণ বলে মনে করতেন। তারা বিশ্বাস করতেন যে একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি নির্ভর করে অর্থনৈতিক স্বাধীনতার উপর। উৎপাদনের ক্ষেত্রে এবং উৎপাদিত সম্পদ স্বদেশে ও বিদেশে বিক্রয় করার ক্ষেত্রে যদি পূর্ণ স্বাধীনতা থাকে তবেই একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি সম্ভব। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যখনই এই অবাধ বাণিজ্যের ধারাকে বাধা দেবার জন্য উচ্চ হারে আমদানী শুল্ক ধার্য করে তখনই আন্তর্জাতিক বিবাদ ও সংঘর্ষ আরম্ভ হয় এবং অনেক সময় তা যুদ্ধের আকার ধারণ করে। তারা মনে করতেন যে আন্তর্জাতিক অবাধ বাণিজ্যের ফলে বিভিন্ন দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযােগিতা দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হবে এবং ধীরে ধীরে যুদ্ধের সম্ভাবনা থেকে পৃথিবী মুক্তিলাভ করতে সমর্থ হবে।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অবাধ বাণিজ্যের সুযােগের অভাবকেই যুদ্ধের একমাত্র বা প্রধান কারণ মনে করা যুক্তিসঙ্গত বলে মনে হয় না। একটি দেশের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে অবাধ বাণিজ্যের সুযােগ থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন কারণে নানা ধরনের সংঘর্ষ ও বিবাদ উপস্থিত হয়। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক অবাধ বাণিজ্যের ফলে শিল্পােন্নত দেশগুলিরই সুবিধা হবে। অনুন্নত দেশগুলির অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য সংরক্ষণ নীতি প্রয়ােজন। জাতীয় শিল্পকে সংরক্ষণ করার সুযোগ যদি না থাকে তবে অনুন্নত দেশগুলির সাথে উন্নত দেশগুলির সহযােগিতা কখনও সম্ভব নয়। প্রত্যেক দেশই যথাসম্ভব স্বনির্ভরতা অর্জন করার চেষ্টা করে—যুদ্ধের ভয় অনেক সময় এই স্বনির্ভরতা অর্জনের প্রবণতাকে দৃঢ়তর করে। স্বনির্ভরতা অর্জন করার জন্যই অনেক সময় অবাধ বাণিজ্যের পথকে রােধ করতে হয়। সংরক্ষণ নীতি এবং স্বনির্ভরতার আদর্শ জাতীয়তাবাদের সাথে ওতপ্রােতভাবে জড়িত। জাতীয়তাবাদকে অস্বীকার করে বর্তমান অবস্থায় আন্তর্জাতিক সহযােগিতা স্থাপনের চেষ্টা সফল হতে পারে না।
মার্কসবাদীরা পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকেই যুদ্ধের জন্য দায়ী করে থাকেন। পুঁজিবাদে উৎপাদন ব্যবস্থার একমাত্র লক্ষ্য হলো মুনাফা এবং তাই শিল্পপতিরা অধিকতর মুনাফী আদায়ের জন্য শ্রমিকদের যথাসম্ভব অল্প মজুরি প্রদান করে। ফলে শ্রমিকদের ক্রয় ক্ষমতা খুব সীমিত থাকে। অপর দিকে প্রতিযােগিতার ফলে শিল্পপতিদের সংখ্যাও হ্রাস পায়। শ্রমিকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং তাদের দারিদ্রও সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পায়। দারিদ্র্যের জন্য শ্রমিকরা দেশে উৎপাদিত জিনিষপত্র বেশি ক্রয় করতে পারে না এবং তখন তথাকথিত অতি-উৎপাদনের (over-production) সমস্যা দেখা দেয়। শিল্পপতিরা তখন বিদেশে তাদের উৎপাদিত জিনিষপত্র বিক্রি এবং উদ্বৃত্ত মূলধন বিনিয়ােগ করার চেষ্টা করে। বিদেশ থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করার চেষ্টাও করে। বিদেশের বাজারের উপর পূর্ণ কর্তৃত্ব স্থাপন করার জন্য তারা সাম্রাজ্য স্থাপন করতে থাকে এবং এই ভাবে সাম্রাজ্যবাদের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন দেশের শিল্পপতিরাই নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থে সাম্রাজ্য স্থাপনের চেষ্টা করে কিন্তু পৃথিবীতে সাম্রাজ্য স্থাপনের মত জায়গা খুবই সীমাবদ্ধ। তাই বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদী দেশের মধ্যে যুদ্ধ আরম্ভ হয়। মার্কসবাদীদের মতে শিল্পপতিরাই পুঁজিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র পরিচালনা করে। তাই পুঁজিবাদী অর্থনীতি এবং শ্রেণী স্বার্থকেই মার্কসবাদীরা যুদ্ধের অন্যতম প্রধান কারণ বলে মনে করে থাকেন।
প্রায়ই দেখা যায় যে একটি যুদ্ধের পিছনে কয়েকটি উদ্দেশ্য একই সাথে বর্তমান থাকে। মার্কসবাদী দৃষ্টিভঙ্গীকে সমর্থন করতে গিয়েই ইংলণ্ডের অধ্যাপক হ্যারল্ড লাস্কী (Harold Laski) স্বীকার করেছেন যে ঊনবিংশ শতাব্দীর পূর্বে অনেক যুদ্ধের ক্ষেত্রেই অর্থনৈতিক কারণ ছাড়া রাজনৈতিক, ধর্মীয়, রাজবংশের মর্যাদা ইত্যাদি অন্যান্য কারণও জড়িত ছিল। তিনি বলেন যে যুদ্ধের সাথে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক শক্তি লাভের উদ্দেশ্য সব সময়ই যুক্ত থাকে—কখনও প্রত্যক্ষ ভাবে এবং কখন অন্য উদ্দেশ্যের সাথে মিশ্রিত হয়ে। লাস্কী মনে করেন যে যুদ্ধকে তার অর্থনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষণ করতে না পারলে সেই বিশ্লেষণ অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
যুদ্ধের অথনৈতিক কারণ কেউ অস্বীকার করেনি। তবে অর্থনৈতিক কারণকে একমাত্র কারণ বলে মেনে নিতে অনেকে রাজী নন। তা ছাড়া মনে রাখা উচিত যে অর্থনৈতিক কারণ বলতে কেবলমাত্র পুঁজিবাদী অর্থনীতির সঙ্কটকেই বঝায় না। Jacob Viner এবং Eugene Staley ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ইউরােপে অর্থনৈতিক শক্তি ও রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে যে গবেষণা করেছেন তা মার্কসবাদী দৃষ্টিভঙ্গীকে সমর্থন করে না। Jacob Viner বলেন যে একটি দেশের সরকার অপেক্ষা সেই দেশের ব্যাংকাররা সাধারণত আন্তর্জাতিক সহযােগিতা ও শান্তি অনেক বেশি পরিমাণে কামনা করে। তারা সরকারী নীতি নির্ধারণে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে বলে তিনি একেবারেই মনে করেন না। যুদ্ধ ও সাম্রাজ্যবাদী সম্প্রসারণ নীতির জন্য তিনি সরকারকেই বেশি দায়ী করেন। Eugene Staley তাঁর War and the Private Investor বইতে বলেন যে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অর্থনীতি অপেক্ষা রাজনৈতিক স্বার্থের প্রভাব অনেক বেশি। ব্যক্তিগত মুনাফার জন্য যারা ব্যবসায় বাণিজ্য করে বা বিদেশে মূলধন বিনিয়ােগ করে কেবলমাত্র তাদের স্বার্থের জন্য কোনো বড় রকমের আন্তর্জাতিক বিরােধ উপস্থিত হয়েছে এমন দৃষ্টান্ত বিরল। কুইন্সি রাইট (Quincy Wright) তাঁর বিখ্যাত পুস্তক A Study of War-এ বলেছেন যে পুঁজিবাদী সমাজ স্থাপিত হওয়ার পরে যুদ্ধের সংখ্যা পূর্বের তুলনায় অনেক হ্রাস পেয়েছে।
১. গৌরীপদ ভট্টাচার্য, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষদ, কলকাতা, পঞ্চম সংস্করণ ডিসেম্বর ১৯৯১, পৃষ্ঠা ১৭৬-১৮১।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।