গেটিসবার্গ ভাষণ হচ্ছে ইতিহাসের ক্ষুদ্রতম ও গুরুত্বপুর্ণ রাজনৈতিক ভাষণ

আমেরিকার গৃহযুদ্ধ শেষে মৃত সৈনিকদের সম্মানে গেটিস বার্গে যে শোক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় তাতে প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন যে শোক ভাষণ দেন সে ভাষণ কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের জন্য ঐতিহাসিক ভাষণ তথা গেটিসবার্গের ভাষণ বা গেটিসবার্গ ভাষণ (ইংরেজি: Gettysburg Address) নামে অভিহিত হয়ে আসছে। আমেরিকার দক্ষিণ অঞ্চলীয় এবং উত্তর অঞ্চলীয় ব্রিটিশ কলোনিসমূহের মধ্যে দাসপ্রথার পক্ষ ও বিপক্ষ হিসাবে বিভক্ত অঙ্গরাষ্ট্রগুলি পাঁচ বছরব্যাপী সশস্ত্র যুদ্ধকে আমেরিকার গৃহযুদ্ধ বলা হয়। উত্তর অঞ্চলের জয়লাভের মধ্য দিয়ে এই যুদ্ধ শেষ হয়।

আব্রাহাম লিংকনের গেটিসবার্গ ভাষণ যেমন ছিল ইতিহাসের ক্ষুদ্রতম ভাষণসমূহের অন্যতম একটি ক্ষুদ্র ভাষণ, তেমনি বক্তব্যের তাৎপর্যেও ভাষণটি ছিল যথার্থই একটি গভীর তাৎপর্যপূর্ণ ভাষণ। একজন ঐতিহাসিকের বর্ণনায় সমাবেশ যখন অধীর আগ্রহের সঙ্গে লিংকনের ভাষণের জন্য অপেক্ষা করছিল, তখনি তারা দেখল আব্রাহাম লিংকনের ভাষণ শেষ হয়ে গেছে।

মাত্র উনিশটি বাক্যে প্রদত্ত ভাষণটির শেষ কয়েকটি বাক্য ছিল এরূপঃ “…that from these honoured dead we take increased devotion to that cause for which they gave the last full measure of devotion; that we here highly resolve that these dead shall not have died in vain; that this nation, under God, shall have a new birth of freedom; and that government of the people, by the people, for the people, shall not parish from the earth.

গৃহযুদ্ধের অবসানের পরবর্তীতে ১৮৬৫ সালের ১৪ এপ্রিল তারিখে গুপ্তগাতকের গুলিতে আব্রাহাম লিংকন নিহত হন। তখন লিংকনের বয়স ছিল মাত্র ৬৫ বৎসর।

দ্রষ্টব্য: আমেরিকার গৃহযুদ্ধ

তথ্যসূত্র:
১. সরদার ফজলুল করিম; দর্শনকোষ; প্যাপিরাস, ঢাকা; জুলাই, ২০০৬; পৃষ্ঠা ১৮৫-১৮৬।

Leave a Comment

error: Content is protected !!