অ্যালার্জি থেকে চর্মরোগ হতে পারে। তবে আমাদের খাবার, ধুলাবালি, ঠাণ্ডা ইত্যাদির কারণে। অ্যালার্জি নির্দিষ্ট ঔষুধ হয় না। এটা নিয়ন্ত্রনে রাখতে হয়। কোন খাবারের কারণে হলে দেখা যায় দীর্ঘদিন যদি সেটি না খেলে একসময় সেই খাবার থেকে আর সমস্যা হয় না। তবে রোদ, ধুলাবালি থেকে রক্ষা পেলে হলে রোদচশমা, মাস্ক ব্যবহার করতে হয়। এছাড়া রাত না জেগে দ্রুত ঘুমাতে হবে এবং সকালে দ্রুত উঠতে হবে। ঘুম ঠিকঠাক হলে এই সমস্যা থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া যাবে। রুমে আলো বাতাস যাতে পর্যাপ্ত আসে সেটা খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া নিচে কিছু ঘরোয়া উপায় দেওয়া হলও:
১. তামাক: একে আগন্তুক শোথও বলা যেতে পারে। যদিও শোথ মানে এলার্জি নয়, কিন্তু এক ধরনের এলার্জি হয়, তাতে সারা শরীর চিড়বিড় করে এবং দেহের উপরাংশে মশা কামড়ানোর মতো ফলে ওঠে এবং চুলকোতে থাকে। ওই সময় তিন ঘণ্টা অন্তর ৫০ মিলিগ্রাম মাত্রায় (আধ টিপ নস্যির মত) ঈষদুষ্ণ জলসহ দু’বার বা তিন বার খেতে হবে; এর দ্বারা ওটা সেরে যাবে। [১]
২. কাকমাচি বা ফুটি: এই রোগ সাধারণত পিত্ত শ্লেষ্মা প্রধান লোকদের হয়ে থাকে। এদের পক্ষে উষ্ণগুণান্বিত দ্রব্যই শোথের কারণ হয়। সেক্ষেত্রে স্বাদু কাকমাচীর রস ১ চা চামচ গরম করে, ছেঁকে দু’বেলাই খেতে হবে। আর যদি গায়ে চাকা চাকা হয়ে ফুলে ওঠে, তাহলে ঐ গাছ বাটা অল্প গরম করে গায়ে লাগালেও ওটা কমে যাবে। [১]
৩. লতা ছিটকি: এর পাতার লেই হলুদের সাথে মিশ্রিত করে অ্যালার্জি রোগ থেকে আরাম পেতে ব্যবহার করা হয়।
৪. সন্ধ্যামালতী: এই ক্ষেত্রে টাটকা পাতার রস অনেক স্নিগ্ধকারী। এছাড়া এ্যালার্জিজনিত চর্মরোগ সারাতে ব্যবহৃত করে থেকে বিভিন্ন দেশের আদিবাসীরা। [২]
৫. হলুদ: দুধের সাথে হলুদ (Curcuma longa) গুড়া বা কাঁচা হলুদের রস শরীরে ব্যবহার করলে অনেকটা আরাম পাওয়া যায়।
সতর্কীকরণ: ঘরে প্রস্তুতকৃত যে কোনো ভেষজ ওষুধ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করুন।
তথ্যসূত্রঃ
১. আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য: চিরঞ্জীব বনৌষধি, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা।
২. Ghani, A. 2003. Medicinalplants of Bangladesh (Second Edition). Asiatic Society of Bangladesh, Dhaka, Bangladesh. 603 pp
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।