বন্ধু নিরধনিয়ার ধন, কেমনে পাইমুরে কালা তোর দরিশন হচ্ছে আধ্যাত্মিক সাধক ও বাউল সূফী আরকুম শাহ (১৮৭৭ – ১৯৪১) রচিত একটি বাউল গান। গানটি বড় আকারের ২৩ লাইনের একটি জনপ্রিয় বাউল ভাবের গান। গানটি সুর করেছিলেন আরকুম শাহ নিজেই এবং তিনিই গেয়েছিলেন। পরে গানটি হেমাঙ্গ বিশ্বাস গেয়েছেন।
গানটি হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গাওয়া একটি জনপ্রিয় বাংলা লোকসংগীত। গানটির কথা এবং গানটিকে রোদ্দুরে ডট কম আপনাদের কাছে উপস্থাপন করতে পেরে আনন্দিত।
চাইর চিজে পিঞ্জিরা বানাই,
মোরে কইলায় বন্ধু, বন্ধু নিরধনিয়ার ধন
কেমনে পাইমু রে কালা তোর দরিশন।।
সমুদ্দুরের জল উঠে বাতাসের জোরে
আবর হইয়া ঘুরে পবনের ভরে
জমিনে পড়িয়া শেষে সমুদ্দুরে যায়
আর জাতেতে মিশিয়া জাতে তরঙ্গ খেলায়।।
তুমি আমি আমি তুমি জানিয়াছি মনে
বিচিতে জন্মিয়া গাছ বিচি ধরে কেনে
এক হইতে দুই হইল প্রেমেরই কারণ
সেই অবধি আশিকের দিল করে উচাটন।।
পরিন্দা জানোয়ার যদি কোন এক কলে
জাতি ছাড়া বন্ধ হয় শিকারিয়ার জালে
কিরুপে জিন্দেগি কাটে বন্ধ খানা তার
মাশুক হইয়া কর আশিকের বিচার।।
আশক মাশুক যদি থাকে দুই স্থানে
টেলী দিয়া খুসীর মঙ্গল যদি জানে
বিনা দরশনে কিলা বাঁচিব জীবন
শুন প্রভু প্রাণ প্রিয়া মোর নিবেদন।।
পাগল আরকুমে কয় মাশুক বানিয়া
দুহাং পাতাইয়া থইছে উলুরে গাথিয়া
আহার করিতে যদি না যাইত মন
না লাগিত প্রেমের লাঠা না হইত মরণ।।
গানটি ইউটিউবে শুনুন এবং আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন
সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমার চুনারুঘাট উপজেলার মিরাসি গ্রামে জন্ম নেয়া হেমাঙ্গ বিশ্বাস বাংলা গণসংগীতের জননন্দিত মহাযোদ্ধা। তিনি একজন বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী, কবি, লেখক এবং সুরকার। মূলত লোকসঙ্গীতকে ভিত্তি করে গণসঙ্গীত সৃষ্টির ক্ষেত্রে তাঁর অবদান বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয়। “হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গান” এবং “শঙ্খচিলের গান” তাঁর গানের দুটি সঙ্কলন।