ভূমিকা: ক্রিসেনথিমাম হচ্ছে এ্যাসটারাসি পরিবারের একটি সপুষ্পক বিরুৎ উদ্ভিদের গণের নাম। এগুলোকে বাংলাদেশে আলংকারিক উদ্ভিদ হিসেবে বাগানে বা গৃহে চাষাবাদ করা হয়। বাড়ির টবে বা বাগানের শোভাবর্ধন করে এই গণের ঘাসজাতীয় বিরুৎগুলো।
বিবরণ: ক্রিসেনথিমাম গণের উদ্ভিদেরা বীরুৎ বা বিরলক্ষেত্রে গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের গণ। এরা একবর্ষজীবী বা বহুবর্ষজীবী উভয় হতে পারে। পত্র একান্তর, অখন্ড, দপ্তর, খন্ডিত বা পক্ষবৎ খন্ডিত। এই গণের প্রজাতিদের ফুল শির বা মাথায় ধরে, অসম জননকোষী, রে-যুক্ত (অতি বিরলক্ষেত্রে চাকতি-আকৃতি), প্রান্তীয়, দীর্ঘ পুষ্পদন্ড বিশিষ্ট, বা ক্ষুদ্রতর ও সমভূমঞ্জরী, অর্ধ-গোলাকার বা প্রশস্ততর, বৃহৎ, মঞ্জরী পত্রাবরণ বহু-স্তরে সজ্জিত, প্রশস্ত, বর্ণিল প্রান্ত বিশিষ্ট চাপা। প্রান্ত পুষ্পিকা স্ত্রী, ১-স্তরে সজ্জিত, প্রজননক্ষম, অণুফলক সাদা, হলুদ বা গোলাপি, পরিব্যাপ্ত, মধ্য পুষ্পিকা উভলিঙ্গ, প্রজননক্ষম, নল প্রস্থচ্ছেদে গোলাকার বা ২-পক্ষল। দলফলক ৪-৫ খন্ডিত, পুষ্পধার উন্মুক্ত। পরাগধানীর নিম্নাংশ স্থুলাগ্র, অখন্ড। উভলিঙ্গ পুষ্পিকার গর্ভদন্ডীয় বাহু কর্তিতা, পেনিসিলেট শীর্ষ বিশিষ্ট।
ফল অ্যাকিন, প্রস্থচ্ছেদ অর্ধ-গোলীয় বা কোণাকৃতি, বিভিন্নভাবে সভঙ্গ বা সপক্ষ, বৃতিরোম অনুপস্থিত বা বিলুপ্ত হয়ে টুপি বা কর্ণসদৃশ অভিক্ষেপে পরিণত।
সারা দুনিয়ায় এই গণে আছে প্রায় ১২টি প্রজাতি, শতাধিক আবাদী এবং বাংলাদেশে এই গণে আছে তিনটি প্রজাতি যেগুলো হলও ১. তিন রঙা চন্দ্রমল্লিকা ২. তোড়া চন্দ্রমল্লিকা এবং ৩. মালীর চন্দ্রমল্লিকা।
তথ্যসূত্র:
১. এ বি এম এনায়েত হোসেন (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৬ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৩১৩। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিপিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: KENPEI
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।