পরিচিতি: কন্টকারি প্রচুর কাঁটাযুক্ত বেগুন। এটি কাণ্ড ও পাতাসহ গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। লতানো গাছের মতো মাটিতে ছড়িয়ে থাকে। গাছের ডাঁটা ৪ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় ও উজ্জ্বল সবুজ বর্ণের হয়। পাতা ৪-৫ ইঞ্চি লম্বা হয়। সারা গাছে ধারালো কাঁটা খাড়াভাবে থাকে এবং আধা ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। পুষ্পদণ্ড শাখা-প্রশাখাবিশিষ্ট। ফুলের রঙ নীল হয়। ফলের রঙ পাকলে হয় হলুদ। এদের বীজ বিষাক্ত।
ব্যবহার:
১. কণ্টকারি ফলের বীজ বেটে প্রলেপ দিলে তাড়াতাড়ি ফোঁড়া ফাটে ও পুঁজ-রক্ত বেরিয়ে যায়।
২. ঠাণ্ডা লাগলে অথবা শীতের সময় এটি কাজে লাগে।
৩. কণ্টকারির কচি ডাল বেটে তার দুচামচ রস খেলে বায়ু নিম্নগামী হয়ে মলদ্বার দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে।
৪. কণ্টকারির মূলের রস বেটে দুচামচ পরিমাণ দিনে দুবার খেলে বুকে জমে থাকা শ্লেষ্মা কাশির সাথে উঠে আসে। কাশি কমে বুকের বেদনার উপশম হয়।
৫. আঘাত লেগে ফুলে যাওয়া স্থানে কণ্টকারি গাছের পাতাকে কয়েকটি গোলমরিচের সাথে পিষে আঘাতের স্থানে প্রলেপ দিলে ব্যথা কমে যায়। একইভাবে বাতের যন্ত্রণাতেও উপকার হয়।
বিস্তৃতি: এটি এশিয়ার উদ্ভিদ। এটিকে সৌদি আরব, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, ইরান, চীন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রী লংকা, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ায় পাওয়া যায়। বাংলাদেশের সর্বত্র দেখা যায়।
সতর্কীকরণঃ যে কোনো ভেষজ ঔষধ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করুন।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।