বধূ

গলির মোড়ে বেলা যে পড়ে এলো
পুরানো সুর ফেরিওয়ালার ডাকে,
দূরে বেতার বিছায় কোন্‌ মায়া
গ্যাসের আলো-জ্বালা এ দিনশেষে।

কাছেই পথে জলের কলে, সখা
কলসি কাঁখে চলছি মৃদু চালে
হঠাৎ গ্রাম হৃদয়ে দিল হানা
পড়লো মনে, খাসা জীবন সেথা—

সারা দুপুর দীঘির কালো জলে
গভীর বন দুধারে ফেলে ছায়া
ছিপে সে-ছায়া মাথায় করো যদি
পেতেও পারো কাৎলা মাছ, প্রিয়।

কিংবা দোঁহে উদার বাঁধা ঘাটে
অঙ্গে দেবো গেরুয়া বাস টেনে
দেখবে কেউ নখ, বা কেউ জটা
কানাকড়িও কুঁড়েয় যাবে ফেলে।

পাশান-কায়া, হায়রে, রাজধানী
মাশুল বিনা স্বদেশ দাও ছেড়ে;
তেজারতির মতন কিছু পুঁজি
সঙ্গে দাও, পাবে দ্বিগুন ফিরে।

ছাদের পারে হেথাও চাঁদ ওঠে—
দ্বারের ফাঁকে দেখতে পাই যেন
আসছে লাঠি উঁচিয়ে পেশোয়ারী
ব্যাকুল খিল সজোরে দিই মেলে।

ইহার মাঝে কখন প্রিয়তম
উধাও; লোকলোচন উঁকি মারে—
সবার মাঝে একলা ফিরি আমি
—লেকের কোলে মরণ যেন ভালো।

বুঝেছি কাঁদা হেথায় বৃথা; তাই
কাছেই পথে জলের কলে, সখা
কলসি কাঁখে চলছি মৃদু চালে
গলির মোড়ে বেলা যে পড়ে এলো।।

আরো পড়ুন:  আর্য

Leave a Comment

error: Content is protected !!