চোখের সমস্যা সমাধানে ১০টি ঘরোয়া পদ্ধতি

চোখের সমস্যা-য় ঘরোয়া উপাদানের ব্যবহার:

১. আমলকী: ছোট ২ টুকরো আমলকী গরম জলে ধুয়ে নিয়ে ৪ থেকে ৫ চামচ গরম জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন সকালে ছেঁকে নিয়ে ৩ থেকে ৪ ফোঁটা চোখে দিতে হবে। এইভাবে ২ থেকে ৩ দিন চোখে দিলে চোখ ওঠা সেরে যাবে। [১]

২. লতাকস্তুরী: চোখে ঝাপসা দেখা, পিচুটি পড়া, করকর করা, পানি পড়া, চোখ টনটন করা ইত্যাদি সমস্যায় লতাকস্তুরীর ২০ থেকে ২৫টি বীজ বেটে ৩-৪ চামচ পানিতে গুলিয়ে ভালোভাবে ছেঁকে শিশিতে রেখে দিতে হবে। সরাসরি চোখে না দিয়ে একটি নরম অণুজীবমুক্ত কাপড় ডুবিয়ে যে পানি কাপড়ে উঠে আসবে তা সহ কাপড়টি চোখের উপর চেপে ধরলেও চলবে। [২]

৩. জাফরান: অল্প পরিমাণ জাফরান পিষে আঞ্জলীতে লাগালে উপকার হয়। হাকিমি মতে সুমা তৈরি করে চোখে লাগালে চোখের ক্ষত এবং বায়ুরোগ দূর হয়। [৩]

৪. জিরা: জিরা জলে ভিজিয়ে সেই জল চোখে দিলে চোখের রোগের উপশম হয়। চিবিয়ে চোখে লাগালে চোখের রোগ সারে। [৩]

৫. নটে শাক: চোখের সব অসুখেই নটে শাক উপকারী। চোখ জ্বালা করা, চোখ লাল হওয়া, চোখে পিচুটি জমা, চোখের পাতা পিচুটিতে জুড়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রভৃতি সব অসুখ ও অস্বস্তি দূর করবার জন্যেই নিয়মিত যথেষ্ট পরিমাণে নটে শাক খাওয়া উচিত। [৩]

৬. মসুর ডাল: এ রোগের উপসর্গগুলো হলও চোখ ফুলে যাওয়া ও পিচুটি পড়া, এক্ষেত্রে মসুরের ডাল বেটে চোখের পাতার পাশে লাগিয়ে দিলে। ফুলো ও পিচুটি পড়া কমে যাবে। [৩]

৭. জবা ফুল: চোখ উঠা রোগে জবাফুল বেটে চোখের ওপর এবং নীচের পাতায় প্রলেপ দিলে উপকার হয়। তবে ঔষধ প্রয়োগ করে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে ফুলের রস চোখের ভিতর না যায়।

৮. জায়ফল:  চোখের চুলকুনিতে জায়ফলের প্রলেপ লাগালে উপকার হয়। জায়ফলের সুর্মা পরলে চোখের রোগে উপকার হয়। [১]

আরো পড়ুন:  দাঁতের সমস্যা সমাধানে ১৯টি ঘরোয়া পদ্ধতি

৯. পাতিলেবু: কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস জলে মিশিয়ে পান করলে চোখের জ্যোতি বাড়ে। [৩]

১০. হলুদ: হলুদ থেতো জলে চোখটা ধুলে আর ঐ রসে ছোপানো ন্যাকড়ায় চোখ মুছে ফেলতে হবে। এর দ্বারা চোখের লালও কাটে আর সারেও তাড়াতাড়ি। [১]

সতর্কীকরণ: ঘরে প্রস্তুতকৃত যে কোনো ভেষজ ওষুধ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করুন।

তথ্যসূত্রঃ

১. আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য, চিরঞ্জীব বনৌষধি খন্ড ২, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা।

২. ড. সামসুদ্দিন আহমদ: ওষুধি উদ্ভিদ (পরিচিতি, উপযোগিতা ও ব্যবহার),  দিব্যপ্রকাশ, বাংলাবাজার, ঢাকা।

৩. সাধনা মুখোপাধ্যায়: সুস্থ থাকতে খাওয়া দাওয়ায় শাকসবজি মশলাপাতি, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা।

৪. মাওলানা জাকির হোসাইন আজাদী: ‘গাছ-গাছড়ায় হাজার গুণ ও লতাপাতায় রোগ মুক্তি, সত্যকথা প্রকাশ, বাংলাবাজার, ঢাকা।

Leave a Comment

error: Content is protected !!