শরীরের প্রধান একটি অংশের মধ্যে পা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শরীরের ভর বহন করে এই পা। পায়ের যত্ন দিতে হয় প্রতিনিয়ত। নানা কারণে আমাদের পা ফেটে যায়। শীতে যেমন পা ফাটে তেমনি চৈত্রের গরমেও পায়ে সমস্যা হয়। গায়ে যদি ব্যথা না ফাটা শুরু হয় তাহলে নিয়মিত যত্ন নিতে হয়। প্রাথমিকভাবে হালকা গরম পানিতে লেবু, লবণ দিয়ে ১৫/২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখলে আরাম পাওয়া যাবে। এছাড়া যাদের পা শুষ্ক থাকে সব সময় তাঁরা নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ক্রিম বা এ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে হবে। পায়ের সমস্যা-য় নিচে কিছু উপাদানের ব্যবহার সম্পর্কে বলা হলও-
পায়ের সমস্যা-য় ঘরোয়া পদ্ধতি:
১. আম: যাঁদের পায়ের গোড়ালির অংশ ফেটে চৌচির হয়ে যায়, তাঁদের ফাটা আরম্ভ হলে প্রথম থেকেই ঐ ফাটায় আমগাছের আঠা লাগালে আর বাড়ে না; তবে আমের আঠার সঙ্গে কিছু ধুনোর গুড়ো মিশিয়ে দিলে আরও ভাল হয়।
এছাড়া যাঁরা পায়ের সমস্যা বলতে নখকুনিতে কষ্ট পান, তাঁরাও আমগাছের নরম আঠার সঙ্গে একটু ধুনোর গুড়া মিশিয়ে নখের কোণে টিপে দিলে, এ থেকে রেহাই পাবেন।
২. তিল: মোম আর নুন মিশিয়ে গরম করা তিলের তেল লাগালে ফাটা গোড়ালিতে উপকার পাওয়া যায়। শীতকালে ফাটা হাত-পা এমনকী গাল বা ঠোঁটে তিলের তেল লাগালে উপকার হয়।
৩.বট: এটা হয় বায়ু, পিত্তাধিক্য প্রকৃতির লোকের। যাদের ফাটে তাদের স্বভাবটা হবে নিজের কোলে ঝোলটা বেশী টানা, আত্মম্ভরিতায় তাঁরা সদা তৎপর। তারা পায়ে ফাটা আসছে দেখলেই তা সরাতেই বটের আঠা পায়ের গোড়ালি বা ধারে লাগিয়ে দেবেন, ওটা আর আসবে না।
৪. স্বর্ণচাঁপা ফুল: চাঁপার ফল (বীজ সমেত) বেটে কয়েকদিন পায়ে লাগালে ওটা সেরে যাবে। অথবা ওই ফলের মিহি চূর্ণ সমপরিমাণ সাদা ধুনোর সঙ্গে মিশিয়ে সেটাকে তিল তেল দিয়ে মেড়ে পেষ্টের (paste) মত করে, যাকে বলে মলমের মত ক’রে, পায়ের ফাটায় লাগাতে হবে। এর দ্বারাও ফাটা সেরে যাবে।
৫. শ্যাওড়া গাছ: শেওড়া গাছের আঠা বা ক্ষীরা হলে ভালো হয়,নইলে ছালের রস লাগাতে হয়।
সতর্কীকরণ: ঘরে প্রস্তুতকৃত যে কোনো ভেষজ ওষুধ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করুন।
তথ্যসূত্রঃ
১. আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য: চিরঞ্জীব বনৌষধি , আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা।
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিমিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Aleser
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।