তিল গাছ (বৈজ্ঞানিক নাম: Sesamum indicum) আড়াই ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। সম্ভবত তিল থেকেই তেল শব্দটি প্রচলিত হয়েছে। আমরা সাধারণত দু রকমের তিলই দেখি। কিন্তু তিল আছে তিন রকমের কালো, সাদা আর লাল। তিল পুষ্টিকর। তিন রকমের তিলের মধ্যে আয়ুর্বেদে কালো তিলকেই শ্রেষ্ঠ বলা হয়েছে। সব তিলের মধ্যে কালো তিলই শ্রেষ্ঠ এইভাবে মন্তব্য করে আয়ুর্বেদে আহার ও ওষুধের দিক থেকে কালো তিলকেই সর্বাগ্রে স্থান দেওয়া হয়েছে। এর পরেই স্থান হলো সাদা তিলের এবং সবচেয়ে শেষে লাল তিলের স্থান। এই তিল বিশেষ দেখতেও পাওয়া যায় না।
আয়ুর্বেদ মতে, তিল রসে তীক্ষ্ণ, তিক্ত, মধুর ও কষায়। তিল বিপাকে তীক্ষ্ণ, স্বাদু, গরম, কফ, পিত্তকারক, বলপ্রদ, চুলের পক্ষে ভাল, স্পর্শে শীতল, ত্বকের পক্ষে উপকারী, স্তন্যবর্ধক (স্তনদুগ্ধ), খিদে বাড়িয়ে দেয়, বুদ্ধি বৃদ্ধি করে, দাঁতের পক্ষে উৎকৃষ্ট, মলবন্ধন করে, অল্প মূত্র বৃদ্ধি করায়, ব্রণ ও বায়ু নাশ করে।
তিলের বিভিন্ন অসুখে ব্যবহার:
১. পোড়া ঘায়ে: পানি ছাড়া তিলকে বেটে পোড়া ঘা-এর ওপর প্রলেপ দিলে ঘা খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে। প্রতিদিন পোড়া জায়গায় একবার করে প্রলেপ দিতে হবে এবং শেষে পরিষ্কার ফালি কাপড়ের সাহায্যে হাল্কা করে বেঁধে দিতে হবে। এক সপ্তাহ নিয়মিত প্রলেপ দিলে ঘা অবশ্যই শুকিয়ে যাবে[১]
পুড়ে যাওয়া অংশে শুধু গরম করা তিলের তেল লাগালেও চমৎকার ফল পাওয়া যায়। আবার চুনের জল থিতিয়ে নিয়ে তিলের তেল মিশিয়ে লাগালে আগুনে পোড় ঘা সেরে যায়।
শরীরের পুড়ে যাওয়া জায়গায় তিল পিষে নিয়ে, জলে ধোওয়া ঘি ও কর্পূর মিশিয়ে প্রলেপ দিলে সুফল পাওয়া যায়।[২]
ঘা বা ক্ষতে: যদি টাটকা ক্ষত বা ঘা না সারে তাহলে তিল পিষে নিয়ে মধু আর ঘি মিশিয়ে লাগালে অনেক ওষুধ বা মলমের চেয়ে বেশি কাজ দেয়।
রক্ত আমাশয়ে: তিল পাতার টাটকা রস ১৫/২০ মি.লি. দিনে তিনবার খেলে রক্ত আমাশয় ভালো হয়ে যায়। এছাড়াও পেষা কালো তিল এক ভাগ, চিনি দু ভাগ, এবং ছাগলের দুধ চার ভাগ একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে রক্ত-আমাশা সারে।
রক্তস্রাব সারাতে: তিল, যব, চিনি চূর্ণ করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে যাঁদের বাচ্চা হবে অর্থাৎ সগর্ভা এবং যাঁদের বাচ্চা হয়েছে অথাৎ প্রসূতা বা প্রসূতির রক্তস্রাব বন্ধ হয়। যদি মেয়েদের ঋতুস্রাব ঠিক মতো না হয় এবং খুব ব্যথা-বেদনা হয় তাহলে তিল তেল খাওয়া উচিত। দু চা চামচ তিল পিষে নিয়ে এক গ্লাস জলে ফুটিয়ে নিন। এক চতুর্থাংশ জল দিয়ে গুলে সেই জলটুকু পান করলে মাসিক ঠিক মতো হবে।
রক্ত পড়ায়: অল্প তিল আর চিনি একসঙ্গে পিষে বা কুটে নিয়ে মধু মিশিয়ে চাটালে বাচ্চাদের মল থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়।
পেট ব্যথায়: হিং, কালো নুন মিশিয়ে গরম করা তিল তেল পেটে মালিশ করলে বা সেঁক দিলে পেটের ব্যথা সারে এবং গ্যাস কমে যায়।
অর্শ রোগে: তিল পিষে নিয়ে মাখনের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে অর্শে রক্তপড়া ও অর্শের কষ্ট কমে। সকালবেলা এক মুঠো তিল চিবিয়ে খেলে অর্শের উপশম হয়। এছাড়াও তিল, নাগকেসর (কবিরাজি দোকানে পাওয়া যায়) আর চিনির চূর্ণ একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে অর্শে উপকার পাওয়া যায়।
রাতে বিছানায় প্রস্রাবে: যে সব শিশু রাতে বিছানায় প্রস্রাব করে তাদের কালো তিল আর তার সঙ্গে এক টুকরো মুলো খাওয়ালে ওই বদ-অভ্যাস দূর হয়।
শরীরের পুষ্টি রক্ষার জন্য: প্রতিদিন ৮০ গ্রাম তিল বেঁটে সেটা প্রতিদিন সকালে একবার করে খেতে হবে। এরপর পাঁচ মিনিট বাদে এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি খেলে একদিকে শরীরের পুষ্টির অভাব দূর হবে।
বলা হয়ে থাকে তিলে চুনের মাত্রা বেশি আছে সেইজন্যে বাচ্চাদের জন্যে উপকারী। প্রতিদিন বাচ্চাদের তিলের নাড়ু বা তিল পাপড়ি খাওয়ালে বাচ্চারা হৃষ্টপুষ্ট হয়।
কালো তিল চিবিয়ে খেয়ে তার পরে একটু জল খেলে দাঁত মজবুত হয়, শরীর হৃষ্টপুষ্ট এবং রক্তস্রাব করা অর্শে সুফল পাওয়া যায়।
শরীরের জ্বালা-পোড়ায়: যদি শরীরের কোনো অংশ খুব জ্বালা করতে থাকে তাহলে তিল দুধ দিয়ে পিষে প্রলেপ লাগালে দাহ বা জ্বালা দূর হয়।
দাঁত রক্ষা ও দাঁত ব্যথার জন্য: প্রতিদিন এক মুঠো পরিমাণ বা ৮০ গ্রাম তিল বেঁটে সেটা প্রতিদিন সকালে একবার করে খেতে হবে। এরপর পাঁচ মিনিট বাদে এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি খেলে দাঁত খুব শক্ত হয়।
সকালবেলা এক মুঠো তিল চিবিয়ে খেলে দাঁত এতো মজবুত হয়ে যায় যে বৃদ্ধ বয়েস পর্যন্ত নড়ে যায় না, ব্যথা করে না, পড়েও যায় না।
দাঁত ব্যথা করলে হিং বা কালোজিরে পিষে নিয়ে তিল তেল মিশিয়ে তেল গরম করে কুলকুচো করলে আরাম পাওয়া যায়। এই তেল তুলোয় লাগিয়ে মুখে রাখাও যেতে পারে।
সন্তান ধারণে অক্ষমতায়: বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় মহিলারা গর্ভে সন্তান ধারণ করার ক্ষেত্রে নানান অসুবিধার সম্মুখীন হয়ে থাকে। তিলের গুঁড়া এক গ্রাম করে দিনে তিনবার খেলে গর্ভধারণের অসুবিধাগুলো থাকে না। তবে বেশ কিছুদিন ধরে নিয়ম মেনে খেয়ে যেতে হবে। তবে তিলের মাত্রা অর্থাৎ পরিমাণ বেশি হলে উপকারের পরিবর্তে অপকার বেশি হবে। তখন গর্ভনাশের আশঙ্কা থাকে।
বাত রোগে: লোহার কড়াই চুলায় বসিয়ে গরম হবার পর তাতে ৫০ গ্রাম কাল তিল দিয়ে ভেজে নিতে হবে। এরপর ভাজা তিলকে জ্বাল দেয়া ৩০ মিলিলিটার দুধে ভিজিয়ে । (ভেজানো থাকবে পনের মিনিট) সে তিলকে ঐ দুধ দিয়ে বাটতে হবে। ভালোভাবে বাটা হলে বাতে আক্রান্ত অঙ্গে (যেখানটা ফুলে গেছে এবং জোরে টিপলে লাগছে) তিল বাটা পুরু করে প্রলেপ দিলে ফুলা, যন্ত্রণা কমে যাবে। কেবল বাত নয়, ফোঁড়া এবং বিষফোঁড়া, কিছুক্ষেত্রে যন্ত্রণাদায়ক ব্রণে বাটা তিলের প্রলেপ দিলে উপকার হয়।[১]
পাকা চুল কালো করতে: তিলের শিকড়ে চুল কালো রং করার ক্ষমতা রয়েছে। কাঁচা শিকড় বেটে সেটা গোসল করতে যাবার দুই-তিন ঘণ্টা আগে মাথায় মাখলে পাকা চুল ধীরে ধীরে কালো হবে।[১]
তিলের তেলের উপকারিতা
তিলের মতাে তিলের তেলও উপকারী। তিলের তেল ভারী, বলপ্রদ, মল নিষ্কাষণ করে, মৈথুন শক্তি বৃদ্ধি করে, স্বচ্ছ, রস তথা পাকে মধুর, সূক্ষ্ম, কটু, বায়ু ও কফ দূর করে, উষ্ণবীর্য, স্পর্শে শীতল, পুষ্টিদায়ক, শরীরের দোষ দূর করে, মল ও মূত্র নিয়ন্ত্রণ করে, গর্ভাশয় পরিস্কার করে, খিদে বাড়ায়, বুদ্ধি বৃদ্ধি করে, পবিত্রভাব পুরাে শরীরে তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে, ব্রণ ও ডায়াবেটিস সারিয়ে দেয়, তিলের তেল শরীরে মাখলে শরীর হালকা হয়, ত্বক, চুল এবং চোখের পক্ষে হিতকর। এই তেল নাকেও দেওয়া যায়; সবেতেই তিলের তেল উপকারী। চরকের মতে তিলের তেল বল বৃদ্ধি করে, ত্বকের পক্ষে ভাল, গরম, স্থিরতা প্রদান করে এবং যােনি শােধন করে।
খাবার হিসেবে তেল: অলিভ অয়েলের চেয়ে তিল তেলের উপকারিতা তা পুষ্টিগুণ কিছু কম নয় । স্বাদের দিক থেকে বরঞ্চ অলিভ অয়েলের চেয়ে তিলের তেলই বেশি ভাল।
বিভিন্ন পোড়া ঘায়ে: নানা রকমের ক্ষত, আঘাত, পুড়ে যাওয়া, মাড়িয়ে যাওয়া, ভেঙে যাওয়া ইত্যাদিতে তিলের তেল অত্যন্ত উপকারী। শরীরের পুড়ে যাওয়া জায়গায় তিলের তেল গরম করে লাগালেও আশ্চর্য সুফল পাওয়া যায়।
ব্যথা নিরাময়ে: তিলের তেলে রুসুনের কোয়া দিয়ে গরম করে কানে দিলে কানের ব্যথা সেরে যায়। এছাড়াও তিলের তেল মস্তিষ্ক বেদনা, যােনির ব্যথা দূর করে।
জোড়ার ব্যথা নিরাময়ে: হিং আর শুঠের গুড়ো মিশিয়ে গরম করা তিলের তেল মালিশ করলে কোমরের ব্যথা, জোড়ের ব্যথা, কোনো অঙ্গ আড়ষ্ট হয়ে যাওয়া ইত্যাদি রোগের প্রশমন হয়।
রাই, যোয়ান, শুঠ, রসুন বা হিং দিয়ে গরম করা তেল মালিশ করলে এবং তার সঙ্গে গরম সেঁক দিলে জোড়ের (গাঁটের) ব্যথা কমে যায়। তিল তেলের আর একটা বিশেষ গুণ এই তেল বাতঘ্ন অথাৎ বাত সারিয়ে দেয়। রিউমেটিমি ছাড়া অন্য সন্ধি বাতে সুফল পাওয়া যায়।
শূল ব্যথায়: শূল ব্যথায় শুঁঠ ও হিং মেশানো তিলের তেল মালিশ করলে তাড়াতাড়ি আরাম পাওয়া যায়।
ত্বকের উজ্জ্বলতায়: তিল তেল একটু গরম করে রোজ মালিশ করলে এক মাসের মধ্যেই নিষ্প্রভ বা জৌলুষহীন ত্বকে উজ্জ্বলতা এসে যায়, সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়, চুলকানি সেরে যায়। তিলের তেল সারা শরীরে তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে এবং তাড়াতাড়ি হজম হয় এবং শরীরকে নিরোগ রাখে।
গোড়ালি বা হাত পা ফাটায়: মোম আর নুন মিশিয়ে গরম করা তিলের তেল লাগালে ফাটা গোড়ালিতে উপকার পাওয়া যায়। শীতকালে ফাটা হাত-পা এমনকী গাল বা ঠোঁটে তিলের তেল লাগালে উপকার হয়।
দাঁত মজবুত করতে: তিল তেল মুখে দশ পনেরো মিনিট রেখে কুলকুচো করে ফেলে দিলে নড়ে যাওয়া দাঁতও মজবুত হয়ে যায় এবং পাইয়োরিয়া (দাঁতের অসুখ) সেরে যায়।
বন্ধ নাক খুলতে: পেষা গোলমরিচ বা পেষা যোয়ান মিশিয়ে গরম করা তিলের তেল নাকে দিলে, শুকলে বা মালিশ করলে বন্ধ নাক খুলে যায়।
পায়খানা ঠিক করতে: তিলের তেল মলকে বদ্ধ করে এবং পুরোনো জমে থাকা মল বাইরে বের করে দেয়। এইভাবে এই তেলের মল রোধ পরস্পর-বিরোধী গুণ রয়েছে।
তিল-প্রয়োগে সারে অনেক অসুখ:
নিয়মিত তিলের প্রয়ােগ করলে লাভ হয়। তিল প্রয়ােগের পদ্ধতি হলো প্রতিদিন ভােরবেলা এক টেবিল চামচ কালাে তিল অল্প অল্প করে মুখে দিয়ে মিহি করে চিবিয়ে যখন একেবারে রসের মতাে হয়ে যাবে তখন গিলে ফেলুন। এইভাবে সব তিল চিবিয়ে খাওয়া হয়ে গেলে ঠাণ্ডা জল খান। এই তিল খাওয়ার পর তিন ঘণ্টা পর্যন্ত আর কিছু খাবেন না। এই ভাবে তিল খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি তেলের মালিশও করা যায় তাহলে যিনি খুব রােগা তিনি মােটা হয়ে যাবেন আর যিনি খুব বেশি মােটা তাঁর অত্যধিক মেদ কমে গিয়ে সঠিক আকার হবে।
বায়ু ও কফের কায়ণে যাঁর শরীরের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে গেছে তারও তিলের প্রয়ােগের দ্বারা শারীরিক বৃদ্ধি আবার শুরু হয়ে যায়। খিদে পায়, দাত যদি দুর্বল হয় তাহলে মজবুত হয়ে যায়। যার অকালে চুল পেকে গেছে তিনিও তিল প্রয়ােগের দ্বারা লাভবান হবেন। শরীর কান্তিমান ও তেজস্বী হয় সব ইন্দ্রিয়ের শক্তি বেড়ে যায়। যে সব মেয়েদের চুল উঠে যাচ্ছে তাঁদের চুল পড়া বন্ধ হয়, চুল ঘন কালাে হয়। ঋতুস্রাব পরিস্কার হয়। যদি এক টেবিল চামচ পরিমাণ বেশি মনে হয় তাহলে আধ টেবিল চামচ করে সকালে ও সন্ধেবেলা যে রকম সহ্য হয় সেই রকম ভাবে ‘তিল প্রয়ােগ’ করে দেখুন। বলা হয়ে থাকে যাঁরা এক বছর ধরে প্রতিদিন নিয়মিত ‘তিল প্রয়ােগ’ করছেন তাঁদের যৌবন স্থির হয়ে যায়, বৃদ্ধেরাও যেন নব যৌবন ফিরে পান এবং মৃত্যু পর্যন্ত সক্ষম এবং সুন্দর থাকেন।[২]
তথ্যসূত্র:
১. আঃ খালেক মোল্লা সম্পাদিত; লোকমান হেকিমের কবিরাজী চিকিৎসা; মণিহার বুক ডিপো, ঢাকা, আক্টোবর ২০০৯; পৃষ্ঠা ৭২-৭৩।
২. সাধনা মুখোপাধ্যায়: সুস্থ থাকতে খাওয়া দাওয়ায় শাকসবজি মশলাপাতি, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, নতুন সংস্করণ ২০০৯-২০১০, পৃষ্ঠা,৪৬-৪৯।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।