দর্শনকোষ
দর্শন আদি জ্ঞানের মূল ভাণ্ডার। দর্শন হবে জীবন এবং জগৎকে বৈজ্ঞানিক এবং সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা। জীবন, জগৎতের সাথে সম্পৃক্ত সকল বিষয় নিয়ে বাস্তব জ্ঞানকে উপস্থাপন প্রক্রিয়া দর্শনকোষ।
প্রোটেস্ট্যান্টবাদ হচ্ছে খ্রিস্ট ধর্মের তিনটি ভিন্নমতাবলম্বী গোষ্ঠীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রূপ
প্রোটেস্ট্যান্টবাদ (ইংরেজি: Protestantism) হচ্ছে খ্রিস্ট ধর্মের তিনটি ভিন্নমতাবলম্বী গোষ্ঠীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রূপ। এই ধর্মে বিশ্বব্যাপী ৮০ থেকে ৯০ কোটির বেশি অনুগামী যারা সম্মিলিতভাবে সমস্ত খ্রিস্টানের প্রায় ৪০%। ইউরোপের মধ্যযুগের শেষ পর্যায়ে সংস্কারবাদী আন্দোলনের যুগে প্রোটেস্টান্টদের উদ্ভব ঘটে। প্রোটেস্টান্টবাদ গোঁড়া খ্রিষ্টান ধর্মের ধর্মীয় পুরুষ, যিশু খ্রিষ্টের মাতার অলৌকিক
প্রতিজ্ঞা বা যৌক্তিক বাক্য হচ্ছে যুক্তিশাস্ত্রে দুটি পদের মধ্যে একটি সম্পর্কের উল্লেখমূলক বাক্য
যুক্তিশাস্ত্রে দুটি পদের মধ্যে একটি সম্পর্কের উল্লেখমূলক বাক্যকে প্রতিজ্ঞা বা যৌক্তিক বাক্য (ইংরেজি: Proposition) বলে। সমসাময়িক বিশ্লেষণী দর্শনে প্রতিজ্ঞা শব্দটির বিস্তৃত ব্যবহার রয়েছে। রহিম একজন মানুষ অথবা রহিম হয় একজন মানুষ, একটি যৌক্তিক বাক্যের দৃষ্টান্ত। এখানে ‘রহিম’ এবং ‘মানুষ’ বাক্যের দুটি পদ : উদ্দেশ্য এবং বিধেয় পদ। বাক্যটিতে এ দুটি
বিধাতার অস্তিত্ব হচ্ছে ধর্ম এবং জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক দর্শনে বিতর্কের একটি বিষয়
বিধাতার অস্তিত্ব বা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব বা ঈশ্বরের অস্তিত্ব (ইংরেজি: existence of God) হচ্ছে ধর্ম এবং জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক দর্শনে বিতর্কের একটি বিষয়। ঈশ্বরের অস্তিত্বের পক্ষে ও বিপক্ষে বিস্তৃত বিভিন্ন বিতর্ককে আধিবিদ্যক, যৌক্তিক, অভিজ্ঞতাবাদী বা আত্মগত হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে। দার্শনিক ভাষায়, ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রশ্ন জ্ঞানতত্ত্বের শাখা (জ্ঞানের প্রকৃতি এবং এলাকা) এবং তত্ত্ববিদ্যা (সত্তা, অস্তিত্ব বা
মৌল ও অমৌল গুণ স্বাতন্ত্র্য বাস্তবের প্রকৃতি সম্পর্কে জ্ঞানতত্ত্ব এবং অধিবিদ্যার ধারণাগত পার্থক্য
মৌল এবং অমৌল গুণ বা প্রাথমিক বা দ্বিতীয় পর্যায়িক স্বাতন্ত্র্য (ইংরেজি: Primary/secondary quality distinction) হচ্ছে বাস্তবের প্রকৃতি সম্পর্কিত জ্ঞানতত্ত্ব এবং অধিবিদ্যার একটি ধারণাগত পার্থক্য। বস্তুর গুণ কোনটি মৌল এবং কোনটি অমৌল, এই পার্থক্য বিশেষ করে ইংরেজ দার্শনিক জন লকের (১৬৩২-১৭০৪) রচনায় দেখা যায়। মানব উপলব্ধি সম্পর্কিত লকের রচনায় এটি সবচেয়ে স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়েছিল, তবে গ্যালিলিও ও ডেকার্টসের মতো আগের চিন্তাবিদরাও একই রকম পার্থক্য তৈরি করেছিলেন। আরো পড়ুন
সর্বনিয়ন্ত্রণবাদ হচ্ছে একদলীয় সরকার যার ভিত্তি সমগ্র জনজীবনের নিয়ন্ত্রণকারী রাষ্ট্রসর্বস্বতা
সর্বনিয়ন্ত্রণবাদ (ইংরেজি: Totalitarianism) হচ্ছে স্বৈরাচারী ও একদলীয় সরকার যার ভিত্তি হলো ব্যক্তি ও সমগ্র জনজীবনের নিয়ন্ত্রণকারী রাষ্ট্রসর্বস্বতা। এর বিপরীত হলো উদারনৈতিক মনােভঙ্গি, যেখানে রাষ্ট্রের কাজকারবার থাকে সীমিত ও নির্দিষ্ট, বাকি অন্যান্য সব বিষয় থাকে ব্যক্তিমানুষের সিদ্ধান্তসাপেক্ষ। রাষ্ট্র সার্বিক সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাব ব্যক্তিগত ও জনজীবনের সর্বত্র প্রসারিত হয়। এবং তার
বিধেয়ক হচ্ছে উদ্দেশ্যর সাথে সম্ভাব্য সম্পর্কের শ্রেণিকরণে অবস্থান গ্রহণকারী শব্দ
এরিস্টটলীয় যুক্তিবিদ্যায়, বিধেয়ক (ইংরেজি: Predicable) হচ্ছে এমন একটি শব্দ যেখানে বিধেয়কটি উদ্দেশ্যর সাথে সম্ভাব্য সম্পর্কের শ্রেণিকরণে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অবস্থান নিতে পারে। এরিস্টটলের দশটি শ্রেণিকরণের জন্য স্কলাস্টিক 'প্রেডিকামেন্টা' (praedicamenta) শব্দটির সাথে এক্ষেত্রে বিভ্রান্ত হওয়ার দরকার নেই। এ্যরিস্টটল তাঁর যুক্তিশাস্ত্রে একটি যৌক্তিক বাক্যে উদ্দেশ্যপদের সঙ্গে বিধেয় পদের সম্পর্কের শ্রেণী নিরূপণের চেষ্টা করেন।
নিয়তি হচ্ছে সেই বিশ্বাস পৃথিবীতে যা কিছু ঘটেছে, ঘটছে এবং ঘটবে সবই ঈশ্বরের দ্বারা পূর্বনির্দিষ্ট
ধর্মতত্ত্বে নিয়তি (ইংরেজি: Predestination) বা নিয়তিবাদ হচ্ছে এই বিশ্বাস যে, পৃথিবীতে যা কিছু ঘটেছে, ঘটছে এবং ঘটবে, মানুষের জন্ম, মৃত্যু, ব্যক্তির ইচ্ছা, অনিচ্ছা সব কিছুই ঈশ্বরের দ্বারা পূর্ব নির্দিষ্ট। সব ঘটনাই অনিবার্য, সব অস্তিত্বই অপ্রতিরোধ্য। নিয়তিবাদ স্বীকার করলে জগতের কিংবা মানুষের সমাজের নতুন ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হওয়া কিংবা বিকশিত হওয়ার আর উপায় থাকে না। আরো পড়ুন
প্রয়োগবাদ বিচার্য বিষয়ের নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সাধনের উপযোগিতার ভিত্তিতে সত্য নিরূপণ করে
প্রয়োগবাদ বা দরকারবাদ বা প্রাগমেটিজম (ইংরেজি: Pragmatism) সত্য নিরূপণ করে বিচার্য বিষয়ের কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সাধনের উপযোগিতার ভিত্তিতে। প্রয়োগবাদ আধুনিক দর্শনের একটি অন্তর্মুখী ভাববাদী তত্ত্ব। ইংরেজি প্রাগমেটিজম কথাটির উৎপত্তি ঘটেছে গ্রিক শব্দ ‘প্রাগমা’ থেকে। ‘প্রাগমা’র অর্থ হচ্ছে কার্য সম্পাদিত বা কার্যকৃত। প্রয়োগবাদ শব্দ এবং চিন্তাধারাকে ভবিষ্যদ্বাণী, সমস্যা সমাধান এবং কর্মের
একেশ্বরবাদের হচ্ছে সর্বশক্তিমান, সর্ব-বিষয়ে হস্তক্ষেপকারী স্রষ্টা একমাত্র ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রতি বিশ্বাস
একেশ্বরবাদ (ইংরেজি: Monotheism) হচ্ছে এক দেবতা বা শুধু একজন ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস। একেশ্বরবাদের সংক্ষিপ্ত সংজ্ঞা হলো একমাত্র ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রতি বিশ্বাস যেই ঈশ্বর এই বিশ্ব সৃষ্টি করেছিল, এবং সেই ঈশ্বর সর্বশক্তিমান ও পৃথিবীর সর্ব-বিষয়ে হস্তক্ষেপকারী। ইংরেজী শব্দটি হেনরি মোর (১৬১৪-১৬৮৭) প্রথম ব্যবহার করেছিলেন। একেশ্বরবাদ এবং বহুঈশ্বরবাদ প্রায়শই বরং সহজ শর্তে