আমি যে দেখেছি সেই দেশ, উজ্জ্বল সূর্য-রঙিন
আমি যে দেখেছি ‘শত ফুল বাগিচায়’
‘পূবালী বাতাসে’ কী সুবাস ছড়ায়
ভ্রমরের গুঞ্জনে শুনেছি প্রচার
‘বিষাক্ত আগাছা’ হয়েছে বিলীন।
উজ্জ্বল সূর্য-রঙিন॥
আমি যে দেখেছি আহা রূপালী নদী
‘আনসানে’ ‘উহানে’ বয় নিরবধি
ফারনেসে ফারনেসে ইস্পাতি মন
নতুন প্রাচীর গড়ে অজেয় কঠিন!
উজ্জ্বল সূর্য-রঙিন॥
দেখেছি অশ্রুমতি হোয়াংহোর জল
হাসির তরঙ্গ রঙে হয়েছে নির্মল
সেতুবন্ধ ইয়াংসির শুনেছি কল্লোল
চিরতরে ঘুঁচে গেছে বন্যার দিন।
উজ্জ্বল সূর্য-রঙিন॥
দেখেছি ‘ড্রাগনবাহী’ কোটি শ্রমবীর
‘পাহাড়ের চূড়া ভাঙে, বাঁক ফেরায় নদীর’
বিস্ময়ে দেখেছি ‘কমিউনে কমিউনে’
নতুন মানুষ গড়ে ‘তাচাই, তাচিং’
উজ্জ্বল সূর্য-রঙিন॥
আমি যে দেখেছি তাঁরে ‘থিয়েল আন মানে’
রেশমী লন্ঠন আভায় রাঙা কুংতানে
সেই দেশের রূপকার মহাকারিগর
দু’চোখে বিশ্বের আলো শঙ্কা-বিহীন।
উজ্জ্বল সূর্য-রঙিন ॥
গানটি ইউটিউবে শুনুন এবং আমাদের চ্যানেলটি অনুগ্রহ করে সাবস্ক্রাইব করুন।
সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমার চুনারুঘাট উপজেলার মিরাসি গ্রামে জন্ম নেয়া হেমাঙ্গ বিশ্বাস বাংলা গণসংগীতের জননন্দিত মহাযোদ্ধা। তিনি একজন বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী, কবি, লেখক এবং সুরকার। মূলত লোকসঙ্গীতকে ভিত্তি করে গণসঙ্গীত সৃষ্টির ক্ষেত্রে তাঁর অবদান বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয়। “হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গান” এবং “শঙ্খচিলের গান” তাঁর গানের দুটি সঙ্কলন।