বর্ণনা: মলা পুঁটির দেহ লম্বা এবং গভীরতা দেহের দৈর্ঘ্যের এক তৃতীয়াংশের মতো। এদের চোখ তুলনামূলকভাবে বড় হয়। মুখ প্রান্তীয় অবস্থানে থাকে, উর্ধ্বচোয়াল কিছুটা দীর্ঘ হয়। পৃষ্ঠপাখনা শ্রোণীপাখনার কিছুটা সামনে থাকে এবং পুচ্ছপাখনার গোড়া অপেক্ষা তুন্ড শীর্ষের সামান্য নিকটে অবস্থিত। বুক পাখনা তুন্ড ছাড়া প্রায় মাথার দৈর্ঘ্যের সমান। তবে পৃষ্ঠপাখনা দৈর্ঘ্যে মাথার তুলনায় বড়। এদের দেহ ছোট ছোট আঁইশ দ্বারা আবৃত থাকে যা ক্ষণস্থায়ী প্রকৃতির। দেহ স্বচ্ছ বর্ণের, পার্শ্ব বরাবর হালকা সবুজসহ রুপালি ভাব বিদ্যমান; পৃষ্ঠপাখনার গোড়ায় সামনের দিকে একটা ছোট কালো দাগ থাকে; আবার পুচ্ছপাখনার পার্শ্বদিকেও একটা কালো ফোঁটা দেখা যায় (Talwar and Jhingran, 1991)।
বসবাস: মলা পুঁটি প্রজাতির মাছ নদী, বিল, পুকুর বা সমজাতীয় জলাশয়ে পাওয়া যায়। এরা ছোট ছোট জলজ জীব, প্লাঙ্কটন, জলজ উদ্ভিদ প্রভৃতি খেয়ে থাকে।
বিস্তৃতি: এই মাছ ভারত এবং বাংলাদেশে পাওয়া যায় ।
চাষাবাদ: এটি অ্যাকুরিয়ামে চাষের জন্য উপযুক্ত মাছ । বাজারে বার্বের অন্যান্য প্রজাতির সঙ্গে অল্প পরিমাণে বিক্রি হয়। মৎস্য চাষে এই মাছটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় ।
বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ: যদিও IUCN Bangladesh (2000) এর তালিকা অনুযায়ী এই প্রজাতিটি এখনও হুমকির সম্মুখীন নয়। কিন্তু বর্তমানে এই মাছ বিরল।
মন্তব্য: P guganio প্রজাতিতে বিদ্যমান আঁইশগুলো তুলনামূলকভাবে ছোট হয় এবং পার্শ্ব সারিতে প্রায় ৩৬ টি আঁইশ থাকে । এই মাছের সর্বোচ্চ মোট দৈর্ঘ্য ৫.৪ সেমি হয়ে থাকে ।
তথ্যসূত্র:
১. এ কে আতাউর রহমান, ফারহানা রুমা (অক্টোবর ২০০৯)। “স্বাদুপানির মাছ”। in আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; আবু তৈয়ব, আবু আহমদ; হুমায়ুন কবির, সৈয়দ মোহাম্মদ এবং অন্যান্য। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ ২৩ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃ: ৯৭–৯৮। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।