ভূমিকা: ট্রাচিসচিয়াম (বৈজ্ঞানিক নাম: Trachischium) কলুব্রিডি পরিবারের সাপের একটি গণের নাম। এদেরকে কীট খাওয়া সাপ (ইংরেজি: worm-eating snakes) বলেও ডাকা হয়। বাংলাদেশে এই গণে তিনটি প্রজাতি আছে।
ট্রাচিসচিয়াম গণের প্রজাতির সাপগুলোর ম্যাক্সিলারী দাঁতের সংখ্যা ১৮-১২০টি, সবগুলো প্রায় সমান। মাথা গ্রীবা থেকে সুস্পষ্ট পৃথক নয়; পিউপিল গােলাকার বা উলম্বভাবে প্রায় উপবৃত্তাকার; নাসারন্ধ দুই নাসিকার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত।
এদের দেহ নলাকার; আঁইশ মসৃণ, স্যাকরাল কশেরুকা বরাবর আঁইশ শিরযুক্ত, দেহের সম্পূর্ণ অংশে ১৩-১৫ সারি আঁইশ থাকে; শীর্ষে পিট/গর্ত থাকে; দেহের অঙ্কীয়ভাগ গােলাকার; লেজ ছােট, নিম্ন-পুচ্ছের আঁইশ জোড়ায় থাকে (Smith, 1943)।
ট্রাচিসচিয়াম গণে সারা পৃথিবীতে আছে ৬টি প্রজাতি এবং বাংলাদেশে আছে ৩টি প্রজাতি। বাংলাদেশে প্রাপ্ত এই গণের তিনটি প্রজাতি হচ্ছে ক. গুন্থারের সুরু সাপ, খ. অসমীয়া সুরু সাপ এবং গ. কমলাপেট সুরু সাপ।
ছবির ইতিহাস: এই গণের প্রজাতি গুন্থারের সরু সাপের ছবিটি Avrajjal Ghosh তুলেছেন জুলাই ২০১৪-তে দার্জিলিং থেকে।
তথ্যসূত্র:
১. জিয়া উদ্দিন আহমেদ (প্রধান সম্পা.), বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: উভচর প্রাণী ও সরীসৃপ, খণ্ড: ২৫ (ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ২০০৯), পৃ. ১৬১।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।