পপের লাল ফিতে সবুজ বোরা বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সাপ

সাপের প্রজাতি

পপের লাল ফিতে সবুজ বোরা


বৈজ্ঞানিক নাম: Trimeresurus (Popeia) popeiorum Smith, 1937 প্রতিশব্দ: Popeia popeiorum Malhotra and Thorpe, 2004. ইংরেজি নাম: Pop’s Pit Viper স্থানীয় নাম: পপের লাল ফিতে সবুজ বোরা
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Animalia বিভাগ: Chordata অবিন্যাসিত: Reptilia বর্গ: Squamata পরিবার: Viperidae গণ: Trimeresurus প্রজাতি: Trimeresurus (Popeia) popeiorum

ভুমিকা: পপের লাল ফিতে সবুজ বোরা Viperidae  পরিবারের Trimeresurus গণের সবুজ বর্ণের আঁইশযুক্ত সরীসৃপ প্রাণী। বাংলাদেশের সাপের তালিকায় এটি চিরসবুজ বনাঞ্চলের এবং আন্তর্জাতিকভাবে এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সাপ।

বর্ণনা: লাল ফিতে সবুজ বোরা  এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৮০ সেমি তবে দৈর্ঘ্য ১ মিটার বা ১ মিটারের বেশি হতে পারে। দেহের পৃষ্ঠীয়ভাগ সবুজ, আঁইশের মধ্যবর্তী ত্বক নীলাভ। অঙ্কীয়ভাগ ঈষৎ থেকে সাদাটে, দুই উজ্জ্বল রঙযুক্ত দ্বারা পৃথক, কমলা বা বাদামী এবং অঙ্কীয়পার্শ্বীয় দাগ-এর উপরের অংশ সাদা যা সাপের দেহের বহি:আঁইশ সম্পূর্ণ অংশ এবং ২য় সারি আঁইশের অংশ বিশেষ পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে।

মাথা ত্রিকোণাকার গ্রীবার চেয়ে প্রশস্ত; মাথার উপরিভাগের আঁইশ ছোট। মসৃণ পিউল উলম্ব । নাসারন্ধ এবং চোখের মধ্যবর্তী স্থানে তাপ সংবেদী পিট থাকে । লেজ ছোট, আঁকড়ে ধরার প্রবণতা রয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক সাপের লেজের শীর্ষ লালচে-বাদামী; অপ্রাপ্ত বয়স্ক সাপের ধূসর-বাদামী। পুরুষ সাপের যৌনঅঙ্গ লম্বা। বেলনাকার, ফর্ক এবং কাঁটাবিহীন এবং ২৫তম বা ২৬তম নিম-পুচ্ছের আঁইশ পর্যন্ত বিস্তৃত (এই প্রজাতির স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট)।

আঁইশের বিন্যাস: আঁইশ এবং ২১ সারিতে সাজানো থাকে (কখনো ২৩):২১:১৫ সারিতে সাজানো থাকে। অঙ্কীয় আঁইশের সংখ্যা ১৫৫-১৬৯; পায়ুর আঁইশ অবিভক্ত, নিম্নপুচ্ছের আঁইশের ১৫৫-১৬৯টি, জোড়ায় থাকে । সুপ্রাল্যাবিয়ালের সংখ্যা ৯-১১টি, প্রথমটি সূঁচারের মাধ্যমে নাসিকা থেকে পৃথক; সুপ্রাঅকুলার ১টি; টেম্পোরাল আঁইশ ছোট, কখনো সুস্পষ্ট শিরযুক্ত (Leviton et al., 2003; Whitaker and Captain, 2004)

আরো পড়ুন:  লালগলা সাপ বিশ্বে বিপদমুক্ত এবং বাংলাদেশের সংকটাপন্ন সাপ

স্বভাব ও আবাস্থল: T. popeiorun চিরসবুজ বনাঞ্চলের উঁচুতে বাস করে এবং নিচু বন-জঙ্গলে বাস করে। এরা খাদ্য হিসেবে ব্যাঙ, টিকটিকি, পাখি এবং ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী গ্রহণ করে। স্ত্রী সাপ এপ্রিল থেকে মে মাসে ১৫টি অপ্রাপ্ত বয়স্ক সাপ বহন করে। এই সাপের কামড়ে ব্যথা ও আক্রান্ত স্থান ফুলে যাওয়া ছাড়াও বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে ।

মন্তব্য: এই প্রজাতির সাপকে Viperidae গোত্রের প্রতিনিধিত্বকারী সাপ হিসেবে ধরা হয় এবং এদের অনেক প্রজাতি বা উপপ্রজাতি থাকতে পারে ।

তথ্যসূত্র:   

১. সুপ্রিয় চাকমা (সম্পা.), বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: উভচর প্রাণী ও সরীসৃপ, খণ্ড: ২৫ (ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ২০০৯), পৃ. ১৯৩-১৯৪।

Leave a Comment

error: Content is protected !!