আরোহী জেসমিন সপুষ্পক আরোহী গুল্ম

আরোহী জেসমিন

বৈজ্ঞানিক নাম: Jasminum scandens Vahl, Symb. Bot. 3: 2 (1851). সমনাম: জানা নেই। ইংরেজি নাম: জানা নেই। স্থানীয় নাম: জানা নেই। স্থানীয় নাম: আরোহী জেসমিন।
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae বিভাগ: Angiosperms অবিন্যাসিত: Edicots অবিন্যাসিত: Asterids  বর্গ: Lamiales   পরিবার: Oleaceae  গণ: Jasminum প্রজাতি: Jasminum scandens.

ভূমিকা: আরোহী জেসমিন ( বৈজ্ঞানিক নাম: Jasminum scandens) হচ্ছে অলিয়াসি পরিবারের জ্যাসমিনাম  গণের একটি সপুষ্পক গুল্ম। এটি ছোট আকারের ঝোপাল গুল্ম।

আরোহী জেসমিন -এর বর্ণনা :

আরোহী গুল্ম, নিচের দিকে বাঁকানো পত্রবৃন্তের মাধ্যমে ইহা আরোহী, কখনও ঘাসের উপর দিয়ে লতানো, শাখাসমূহ রোমশ। পাতা সরল, বৃন্তক, বৃন্ত ১.২ সেমি পর্যন্ত লম্বা, সুনির্দিষ্টভাবে সন্ধিবিশিষ্ট, ফলক ডিম্বাকার থেকে ভল্লাকার, ২.০-১২.৫ × ১.২-৫.৫ সেমি, শীর্ষ দীর্ঘাগ্র, অখন্ড, চর্মবৎ, মসৃণ, নিম্নপৃষ্ঠে অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিন্দু বর্তমান এবং শিরা বরাবর কিছুটা রোমশ, মধ্যশিরার উভয়পাশে পার্শ্বশিরা ৩টি, উপরের পৃষ্ঠে নিমজ্জিত।

পুষ্পমঞ্জরী প্রান্তীয় এবং এ্যাগ্রশাখাবিশিষ্ট অথবা উপমুণ্ডাকার যৌগিক মঞ্জরী, অধিকাংশক্ষেত্রেই পুষ্পগুলো খর্বাকার কাক্ষিক উপশাখায়। পুষ্প সাদা, লাল আভাবিশিষ্ট, সুগন্ধিময়, পুষ্পবৃন্ত খর্বাকার বা পুষ্প অবৃন্তক। বৃতি রোমশ, নল মোচাকৃতি, ০.২-০.৩ সেমি লম্বা, খন্ডক সচরাচর ৬টি, তুরপুন আকার, ১.২ সেমি পর্যন্ত লম্বা, নিচের দিকে বাঁকানো।

দলনল ২.৫ সেমি পর্যন্ত লম্বা, খন্ডক ৬- ৮টি, দীর্ঘায়ত-তীক্ষ্ণাগ্র, ০.৭ সেমি (প্রায়) লম্বা। গর্ভপত্র সচরাচর ২টি, উপবৃত্তীয়, ১.২-১.৫ × ০.৬ সেমি।

ক্রোমোসোম সংখ্যা: জানা নেই।

আবাসস্থল ও বংশবিস্তার :

গ্রামাঞ্চলের ঝোপ-ঝাড়। ফুল ও ফল ধারণ সময়কাল অক্টোবর থেকে মে মাস। কর্তিত কান্ডের মাধ্যমে বিস্তার হয়।

বিস্তৃতি : বাংলাদেশে ইহা সিলেট জেলা থেকে নথিভুক্ত করা হয়েছে (Kanjilal, 1939).

অন্যান্য তথ্য:

বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ৯ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) আরোহী জেসমিন প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, আবাসস্থল ধ্বংসের কারনে সংকটাপন্ন এবং বাংলাদেশে তথ্য সংগৃহিত হয়নি  বাংলাদেশে আরোহী জেসমিন সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রজাতিটি খুঁজে বের করে স্ব-স্থানে সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আরো পড়ুন:  জালি ভাঙা ফার্ন দক্ষিণ এশিয়ায় জন্মানো ভেষজ প্রজাতি

তথ্যসূত্র:

১. এম আহসান হাবীব (আগস্ট ২০১০)। অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস”  আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৯ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৩৫১-৩৫২। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি flickr.com/photos/haile থেকে নেওয়া হয়েছে।

Leave a Comment

error: Content is protected !!