লতা ডুমুর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জন্মানো লতা

লতা ডুমুর

বৈজ্ঞানিক নাম: Ficus pumila L., Sp. PI.: 106) (1753).  সমনাম: Ficus stipulata Thunb. (1786).ইংরেজি নাম: Fig Ivy, Creeping Fig, Climbing Fig. স্থানীয় নাম: লতা ডুমুর, দেওয়াল ডুমুর, লতা বট ।
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae, বিভাগ: Angiosperms. অবিন্যাসিত: Edicots. অবিন্যাসিত: Rosids. বর্গ: Rosales. পরিবার: Moraceae. গণ: Ficus প্রজাতি: Ficus pumila.

ভূমিকা: লতা ডুমুর (বৈজ্ঞানিক নাম: Ficus pumila) ফিকাস গণের মরাসিয়া পরিবারের লতা। এই প্রজাতিটি পাহাড়ি জায়গায় অযত্নে জন্মে। এটি অনেক ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

লতা ডুমুর-এর বর্ণনা:

বর্ষজীবী এবং অধিক শাখান্বিত একটি আরোহী লতা, কচি বিটপ রোমশ। পাতা সরল, একান্তর, বৃন্তক, ফলক ডিম্বাকার-দীর্ঘায়ত, ৪-১০ X ২.৫-৬.০ সেমি, চর্মবৎ, পাদদেশ হৃৎপিণ্ডাকার, কিনারা অখন্ড, শীর্ষ তীক্ষ থেকে উপতীক্ষ্ণ, উপরের পৃষ্ঠ মসৃণবৎ, নিম্নপৃষ্ঠ অতিরোমশ। হাইপ্যান্থোডিয়া সচরাচর আনুভূমিক শাখা থেকে জন্মায় না, অধিকাংশক্ষেত্রে ঋজু শাখায় জন্মে যা ফলোৎপাদী শাখা নামে পরিচিত, হাইপ্যান্থোডিয়া সচরাচর একক, কাক্ষিক, অবৃন্তক বা খর্বাকার বৃন্তবিশিষ্ট, সচরাচর নিরেট ডিম্বাকার-মোচাকৃতি, সবুজাভ হলুদ।

পুং পুষ্প অসংখ্য, আবর্তে সজ্জিত, বৃত্যংশ ৪-৬টি, পুংকেশর ২-৩টি। স্ত্রী পুষ্প অবৃন্ত ক অথবা বৃন্তক, গর্ভাশয় অবৃন্তক, গর্ভদন্ড পার্শ্বীয়। ফিগ নিরেট বিডিম্বাকার-মোচাকৃতি, ৩-৭ সেমি লম্বা, বেগুনি কালো ক্রোমোসোম সংখ্যা: 2n = ২৬ (Fedorov, 1969).

আবাসস্থল ও চাষাবাদ:

এই প্রজাতিটি লতার মতো বেয়ে ওঠে। প্রায়শই দেয়ালারোহী হিসেবে জন্মায়। এদের ফুল ও ফল ধারণ সময় অক্টোবর থেকে মার্চ মাস। বীজ ও শাখা কলমের সাহায্যে নতুন চারা জন্মে।

বিস্তৃতি:

আদি নিবাস চীন এবং জাপান। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেও পাওয়া যায়; অন্যত্র প্রবর্তিত (Ghafoor, 1985). বাংলাদেশে এটা বিভিন্ন শহরের ইটের দেয়ালে দেখা যায় বিশেষ করে ঢাকা শহরে।

ব্যবহার: শোভাবর্ধক উদ্ভিদ হিসেবে লাগানো হয় এবং ফিগ খাওয়া যায়।

অন্যান্য তথ্য:

বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের  ৯ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) লতা ডুমুর প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের শীঘ্র কোনো সংকটের কারণ দেখা যায় না এবং বাংলাদেশে এটি আশঙ্কামুক্ত হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে লতা ডুমুর সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটি বর্তমানে সংরক্ষণের প্রযোজন নেই।

আরো পড়ুন:  সাদা শালপানি বা সাদা শালপর্ণী দক্ষিণ এশিয়ার ভেষজ উদ্ভিদ

তথ্যসূত্র ও টীকা:

১. এম এ হাসান (আগস্ট ২০১০) “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। খন্ড ৯ম, পৃষ্ঠা ২৩১-২৩২। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি flowersofindia.net থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Rushabh Chaudhari

Leave a Comment

error: Content is protected !!