ইউরোপের যুক্তরাষ্ট্র স্লোগান প্রসঙ্গে

‘সৎসিয়াল-দেমোক্রাৎ’ পত্রিকারী ৪০ নং সংখ্যায় আমরা জানিয়েছিলাম যে, ‘ইউরোপের যুক্তরাষ্ট্র’ স্লোগানটির অর্থনৈতিক দিকটা সংবাদপত্রে আলোচিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের পার্টির[১] বৈদেশিক বিভাগগুলির সম্মেলন সমস্যাটির আলোচনা মুলতুবী রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সম্মেলনে প্রশ্নটির ওপর যে-বির্তক চলে, সেটা ছিলো একটা নির্ভেজাল রাজনৈতিক চরিত্রের। তার আংশিক কারণ বোধ হয় এই যে, কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষণাপত্রে স্লোগানটিকে সরাসরি রাজনৈতিক স্লোগান হিসেবে রূপ দেয়া হয় (তাতে বলা আছে আশু রাজনৈতিক স্লোগান…’), তাছাড়া প্রজাতান্ত্রিক ইউরোপের যুক্তরাষ্ট্রের কথাই শুধু তাতে তোলা হয় নি, বিশেষভাবে জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে, ‘জার্মান, অস্ট্রীয় ও রুশীয় রাজতন্ত্রের বিপ্লবী উচ্ছেদ ব্যতীত স্লোগানটি অর্থহীন ও মিথ্যা’।

এই স্লোগানটির রাজনৈতিক বিচারের সীমার মধ্যে, — যথা, সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের স্লোগানটি তাতে অস্পষ্ট দুর্বল, ইত্যাদি হয়ে পড়ছে, এই দিক থেকে প্রশ্নটির এইরূপ উপস্থাপনে আপত্তি করা একান্তই ভুল। সত্য করে গণতন্ত্রমুখী কোনো রাজনৈতিক পরিবর্তনে, রাজনৈতিক বিপ্লবে তো আরো বেশি করেই, সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের স্লোগান কোনো ক্ষেত্রে, কদাচ, কোনো পরিস্হিতিতেই অস্পষ্ট ও দুর্বল হতে পারে না। বরং তার ফলেই এ বিপ্লব আরো সন্নিকটবর্তী হয়, তার ভিত্তি বাড়ে, সমাজতান্ত্রিক সংগ্রামের মধ্যে পেটি বুর্জোয়া ও আধা-প্রলেতারীয় জনগণের নতুন নতুন অংশ আকৃষ্ট হয়। পক্ষান্তরে, সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের গতিপথে রাজনৈতিক বিপ্লব অপরিহার্য — এ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবকে একটি একক ঘটনা বলে না ধরে গণ্য করতে হবে বিক্ষুব্ধ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ঝাঁকুনির, তীক্ষ্ণতম শ্রেণিসংগ্রাম, গৃহযুদ্ধ, বিপ্লব ও প্রতিবিপ্লবের একটা যুগ হিসেবে।

মুখ্যস্থানীয় রুশ রাজতন্ত্র সমেত ইউরোপের তিনটি অতি-প্রতিক্রিয়াশীল রাজতন্ত্রের বিপ্লবী উচ্ছেদের শর্তসহ প্রজাতান্ত্রিক ইউরোপের যুক্তরাষ্ট্র স্লোগানটি রাজনৈতিক ধ্বনি হিসেবে একান্ত অখন্ডনীয় হলেও কিন্তু তার অর্থনৈতিক সারার্থ ও তাৎপর্য্যের অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি থেকেই যায়। সাম্রাজ্যবাদের অর্থনৈতিক অবস্থার দিক থেকে, অর্থাৎ পুঁজি রপ্তানি এবং ‘অগ্রণী’ ও ‘সুসভ্য ঔপনিবেশিক শক্তিগুলির মধ্যে বিশ্বের বণ্টন — এই দিক থেকে পুঁজিবাদের আমলে ইউরোপের যুক্তরাষ্ট্র হয় অসম্ভব, নয় প্রতিক্রিয়াশীল।

পুঁজি এখন আন্তর্জাতিক ও একচেটিয়া হয়ে উঠেছে। বিশ্বের ভাগবাটোয়ারা হয়ে গেছে মুষ্টিমেয় বৃহৎ শক্তির মধ্যে, অর্থাৎ বৃহৎ লুন্ঠন ও পরজাতি পীড়নে যারা সফল তাদের মধ্যে। ইউরোপের চারটি বৃহৎ শক্তি — ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, রাশিয়া ও জার্মানির জনসংখ্যা ২৫ কোটি থেকে ৩০ কোটি এবং এলাকা প্রায় ৭০ লক্ষ বর্গ-কিলোমিটার, কিন্তু তাদের দখলে যে-উপনিবেশ আছে তার জনসংখ্যা প্রায় অর্ধশত কোটি (৪৯,৪৫,০০,০০০) এবং এলাকা ৬,৪৬,০০,০০০ বর্গকিলোমিটার, অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠের প্রায় অর্ধেক (মেরু এলাকা বাদ দিলে ভূপৃষ্ঠ ১৩, ৩o,০০,০০০ বর্গ-কিলোমিটার)। এর সঙ্গে যোগ করুন তিনটি এশীয় রাষ্ট্র — চীন, তুরস্ক ও পারস্য, যাদের এখন ‘মুক্তি’যুদ্ধ পরিচালক দস্যুরা — যথা, জাপান, রাশিয়া, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স ছিঁড়ে খাচ্ছে। এই এশীয় যে তিনটি রাষ্ট্রকে বলা যেতে পারে আধা-উপনিবেশ (আসলে তারা ৯০ শতাংশ উপনিবেশ) তাদের জনসংখ্যা ৩৬ কোটি এবং এলাকা ১,৪৫,০০,০০০ বর্গ-কিলোমিটার (সমগ্র ইউরোপের প্রায় দেড়গুণ)।

আরো পড়ুন:  কেডার

অপিচ, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও জার্মানি বিদেশে যে-পুঁজি লগ্নি করেছে তার পরিমাণ ৭ হাজার কোটি রুবলের কম নয়। এই ভাল অর্থ থেকে একটা “ন্যায্য’ মুনাফা অর্জনের, বাৎসরিক ৩০০ কোটি রুবলেরও বেশি আয়ের কাজটা করে দেয় কোটিপতিদের জাতীয় কমিটিগুলি, যার নাম সরকার, সৈন্য ও নৌবাহিনীতে যারা সজ্জিত এবং যেগুলি ‘শ্রীযুনক্ত কোটিপতির’ ভ্রাতা-পুত্রদের যারা উপনিবেশ ও আধা-উপনিবেশের বড়লাট, কনসাল, রাষ্ট্রদূত, নানাবিধ রাজপুরুষ, যাজক ও অন্যান্য রক্তচোষারূপে অধিষ্ঠিত করে।

পুঁজিবাদের উচ্চতম বিকাশের যুগে দুনিয়ার প্রায় একশ’ কোটি জনগণের ওপর মুষ্টিমেয় বৃহৎ শক্তির লুণ্ঠন এইভাবেই সংগঠিত। পুঁজিবাদের আওতায় এছাড়া অন্য কোনো সংগঠন অসম্ভব। উপনিবেশ, ‘প্রভাবাধীন এলাকা’, পুঁজি রপ্তানি — এই সব ছেড়ে দেওয়া? সেটা ভাবার অর্থ নেমে যাওয়া এক পাদরি বাবাজীর স্তরে যে প্রতি রবিবার ধনীদের কাছে খ্রীষ্টধর্মের মহিমা শোনায় এবং গরিবদের জন্য বছরে কয়েক কোটি না হলেও, অন্তত কয়েকশ’ রুবল দান করতে বলে।

পুঁজিবাদের আমলে ইউরোপের যুক্তরাষ্ট্র হলো উপনিবেশ ভাগ বাটোয়ারা করে নেবার চুক্তির সমতুল্য। কিন্তু পুঁজিবাদের আমলে শক্তি ছাড়া বাটোয়ারার অন্য কোনো ভিত্তি, অন্য কোনো নীতি নেই। কোনো কোটিপতিই তার ‘লগ্নিকৃত পুঁজির অনুপাতে’ ছাড়া (তাও একটা ফাউ সহ, যাতে বৃহৎ পুঁজি পায় তার প্রাপ্যেরও বেশি) অন্য কোনোভাবে কাউকে এক পুঁজিবাদী দেশের জাতীয় আয়ে’ ভাগ দিতে পারে না। পুঁজিবাদ হলো উৎপাদন-উপায়ের উপর ব্যক্তিগত মালিকানা এবং উৎপাদনের নৈরাজ্য। এই ভিত্তির ওপর আয়ের ‘ন্যায্য বণ্টন প্রচার করা হলো প্রুধোঁবাদ [২], নির্বোধ পেটি-বুর্জোয়াপনা ও কুপমণ্ডকতা। বণ্টন হতে পারে না ‘শক্তির অনুপাতে’ ছাড়া এবং শক্তির পরিবর্তন হয় অর্থনৈতিক বিকাশের গতিপথে। ১৮৭১-এর পর থেকে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের তুলনায় তিন-চারগুণ বেশি দ্রুতগতিতে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে জার্মানি, রাশিয়ার তুলনায় জাপান হয়েছে দশগুণ বেশি। যুদ্ধ ছাড়া পুঁজিবাদী দেশের সত্যিকার শক্তি পরীক্ষার কোনো উপায় নেই, থাকতেও পারে না। যুদ্ধ ব্যক্তিগত মালিকানার মূল ভিত্তিগুলির পরিপন্থী নয়, বরং তাদেরই প্রত্যক্ষ ও অপরিহার্য পরিণতি। পুঁজিবাদের আওতায় একেকটা উদ্যোগ আর একেকটা রাষ্ট্রের সমমাত্রিক অর্থনৈতিক বিকাশ অসম্ভব। শিল্পে সংকট ও রাজনীতিতে যুদ্ধ ছাড়া পর্যায়িকভাবে বিঘ্নিত স্থিতিসাম্য পূনরুদ্ধারের অন্য কোনো উপায় পুঁজিবাদে নেই।

আরো পড়ুন:  সংকীর্ণতাবাদী তসলিমা নাসরিন এবং বাংলাদেশের মুক্তমনাদের প্রতিক্রিয়াশীলতা

অবশ্যই, পুঁজিপতিদের এবং শক্তিসমূহের মধ্যে সাময়িক মীমাংসা সম্ভব। এই অর্থে ইউরোপের যুক্তরাষ্ট্রও সম্ভব ইউরোপের পুঁজিপতিদের একটা মীমাংসা হিসেবে… কিন্তু কিসের জন্য সে মীমাংসা? কেবল সমবেতভাবে ইউরোপে সমাজতন্ত্র দমনের জন্য, সমবেতভাবে জাপান ও আমেরিকার বিরুদ্ধে লুন্ঠিত উপনিবেশ রক্ষা করার জন্য — উপনিবেশের বর্তমান বাটোয়ারায় এই দুটি দেশ ভয়ানক বিক্ষুব্ধ এবং পশ্চাৎপদ, রাজতন্ত্রী, জরাগ্রস্ত ইউরোপের তুলনায় এরা গত পঞ্চাশ বছরে অশেষ দ্রুততর গতিতে শক্তি সঞ্চয় করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ইউরোপ সমগ্রভাবেই অর্থনৈতিক অচলাবস্থার পরিচায়ক। বর্তমান অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপরে, অর্থাৎ পুঁজিবাদের আওতায় ইউরোপের যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ হবে আমেরিকার দ্রুততর বিকাশ ব্যাহত করার জন্য প্রতিক্রিয়ার সংগঠন। গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের ব্যাপার যে-কালে শুধু ইউরোপের সঙ্গেই জড়িত ছিলো সে-কাল আর ফিরবে না।

কমিউনিজমের পরিপূর্ণ জয়লাভের ফলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সহ সর্ববিধ রাষ্ট্র নিঃশেষে লুপ্ত না হওয়া পর্যন্ত জাতিসমূহের যে-ঐক্য ও স্বাধীনতার রাষ্ট্রীয় সংগঠনকে আমরা সমাজতন্ত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করি সেই রাষ্ট্ররূপ হলো বিশ্ব যুক্তরাষ্ট্র [United States of the World] (শুধু ইউরোপের নয়)। তবে পৃথক একটা স্লোগান হিসেবে বিশ্ব যুক্তরাষ্ট্রের স্লোগান কিন্তু বড় একটা সঠিক হবে না; কেননা প্রথমত, তা সমাজতন্ত্রের সঙ্গে অচ্ছেদ্য; দ্বিতীয়ত, তা থেকে এই ভ্রান্ত অর্থ করা সম্ভব যে, একটিমাত্র দেশে সমাজতন্ত্রের বিজয় অসম্ভব এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে সে-দেশের সম্পর্ক বিষয়েও তাতে ভুল বোঝায় অবকাশ থাকবে।

অসম অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিকাশ হলো পুঁজিবাদের এক অনপেক্ষ নিয়ম। এ থেকে দাঁড়ায় যে, প্রথমে কয়েকটি দেশে, এমনকি আলাদাভাবে একটিমাত্র পুঁজিবাদী দেশেও সমাজতন্ত্রের বিজয় সম্ভব। পুঁজিপতিদের উচ্ছেদ করে ও নিজস্ব সমাজতান্ত্রিক উৎপাদন সংগঠিত করে সে-দেশের বিজয়ী প্রলেতারিয়েত দাঁড়াবে অবশিষ্ট পুঁজিবাদী দুনিয়ার বিরুদ্ধে, নিজের দিকে আকর্ষণ করবে অন্যান্য দেশের নিপীড়িত শ্রেণিগুলিকে, সেইসব দেশে বিদ্রোহ জাগাবে পুঁজিপতিদের বিরুদ্ধে এবং প্রয়োজন দেখা দিলে শোষক শ্রেণি ও তাদের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসবে এমন কি সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে। বুর্জোয়াকে উচ্ছেদ করে প্রলেতারিয়েত যেখানে জয়লাভ করছে, সে-সমাজের রাজনৈতিক রূপ হবে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র; উক্ত জাতি বা জাতিসমূহের প্রলেতারীয় শক্তি তা ক্রমাগত কেন্দ্রীভূত করে তুলবে সেইসব রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সংগ্রামে, যারা তখনো সমাজতন্ত্রে উত্তীর্ণ হয় নি। নিপীড়িত শ্রেণি, প্রলেতারিয়েতের একনায়কত্ব ছাড়া শ্রেণীসমূহের অবলুপ্তি অসম্ভব। পশ্চাৎপদ রাষ্ট্রগুলির বিরুদ্ধে সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রগুলির ন্যুনাধিক দীর্ঘ ও একরোখা সংগ্রাম ছাড়া সমাজতন্ত্রে জাতিসমূহের অবাধ ঐক্য অসম্ভব।

আরো পড়ুন:  ইনকিলাব জিন্দাবাদ হচ্ছে ভারতের বামপন্থী আন্দোলনের একটি ব্যবহারবহুল শ্লোগান

এইসব কথা ভেবে রাশিয়ার সোশ্যাল — ডেমোক্র্যাটিক শ্রমিক পার্টির বৈদেশিক বিভাগগুলির সম্মেলনে এবং সম্মেলনের পরেও প্রশ্নটি নিয়ে বারম্বার বির্তকের পরে কেন্দ্রীয় মুখপাত্রের সম্পাদকমন্ডলী এই সিদ্ধান্তে এসেছে যে ইউরোপের যুক্তরাষ্ট্র স্লোগানটি ভুল।

টিকা

১. প্রসঙ্গ: ১৯১৫ সালের ১৪-১৯ ফেব্রুয়ারি (২৭ ফেব্রুয়ারি-৪ মার্চ) বার্লিনে অনুষ্ঠিত রাশিয়ার সোশ্যাল-ডেমোক্র্যাটিক শ্রমিক পার্টির প্রবাসী অংশের সম্মেলন। আলোচ্য বিষয় ছিলো যুদ্ধ ও পার্টির কার্যকলাপ। সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধকে গৃহযুদ্ধে রপান্তর, জাতিদন্তী-সমাজবাদীদের সঙ্গে বিচ্ছেদ ও মধ্যপন্থীদের বিরুদ্ধে নিরলস সংগ্রামের স্লোগান এতে সমর্থিত হয়।

২. প্রুধোঁবাদ — ফরাসী পেটি-বুর্জোয়া সমাজতন্ত্রী পিয়েরে যোসেফ প্রধোঁর মতাদর্শপ্রণালী। ‘সম্পত্তি কী?’ (১৮৪০) নামের তাঁর গ্রন্থে প্রুধোঁ কঠোরভাবে পুঁজিবাদী সমাজকে সমালোচনা করেছেন। কিন্তু তাঁর দৃষ্টি অনুসারে পুঁজিবাদের মজ্জাগত দুর্দশা থেকে মুক্তির পথ হলো পুঁজিবাদী উৎপাদন পদ্ধতির উৎখাত নয়, কতকগুলি সংস্কার — যা তাঁর মতে সমকালীন সমাজকে ক্ষুদ্র পণ্যোৎপাদকদের এক আদর্শ সমাজে রূপান্তর করবে, যেখানে থাকবে ন্যায়বিচার, সাম্য ও গণমঙ্গলের শাসন। মার্কস প্রুধোঁর প্রতিক্রিয়াশীল কল্পনাকে এই বলে আক্রমণ করেন যে, পুঁজিবাদের মূল ভিত্তিগুলি, কেবল পণ্যোৎপাদনের ধরন পরিবর্তন এবং উৎপাদন-উপায়ের উপর সামাজিক মালিকানা প্রবর্তনের মাধ্যমেই মানবজাতিকে দারিদ্র্য, শোষণ ও অসাম্য থেকে মুক্তিদান সম্ভব।

৪৪ নং‘সৎসিয়াল-দেমোক্রাৎ’,

২৩ আগস্ট, ১৯১৫

২৬ খন্ড ৩৫১-৩৫৫ পৃঃ

Leave a Comment

error: Content is protected !!