বিশ শতকের প্রথমার্ধে জনগণকে সুশিক্ষিত করার কথা বলা হতো; পাকিস্তানকালিন সময়েও জনগণকে সুশিক্ষা দেয়ার কথা বলা হয়েছে; কিন্তু বাংলাদেশ হবার পরে সুশিক্ষা বা শিক্ষার পরিবর্তে স্বাক্ষরতা শব্দটি চালু করা হয়। একবিংশ শতাব্দীর শূন্য দশকের বাংলাদেশে শিক্ষা সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনা, লেখালেখি, চিন্তার প্রকাশ নেই বললেই চলে। এই সময়ে দেশবাসির মনে শিক্ষার গুরুত্ব খুবই যতসামান্য। এখন জনগণকে শিক্ষিত করার পরিবর্তে স্বাক্ষর করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে নিরক্ষর লোকজন টিপসই না দেয়; অন্তত নাম স্বাক্ষর করতে বা পত্র-পত্রিকা, বিজ্ঞাপন, সাইনবোর্ড ইত্যাদি পড়তে পারে।
কিন্তু শিক্ষার গুরুত্ব কি বাস্তবেই লোপ পেয়েছে? শিক্ষা মানুষকে জ্ঞানার্জনে উৎসাহিত করে। শিক্ষাই শক্তি বা জ্ঞানই শক্তি কথাটি একসময় খুবই জনপ্রিয় ছিলো। অথচ সে কথার পরিবর্তে এখন বলা হচ্ছে তথ্যই শক্তি (Information is power)। বলা হচ্ছে এই তথ্য পাওয়া যাবে পত্রিকা টিভি ও ইন্টারনেটে। পূর্বে জ্ঞানের উৎস হিসেবে বই ও পাঠাগারকে গুরুত্ব দেয়া হতো। এখন বই পড়াকে উৎসাহিত করা হয় না। শাসক ও শোষকগোষ্ঠী জনগণকে শিখিয়েছে পত্রপত্রিকা, টিভি, ইন্টারনেট হচ্ছে সকল জ্ঞানের উৎস। বিজ্ঞানমুখী, প্রগতিমুখী না করে জনগণের চিন্তাকে পশ্চাৎমুখী করা হয়েছে। ফলে দেশে শুরু হয়েছে স্বাক্ষরতা আন্দোলন।
কিন্তু পত্রপত্রিকা, রেডিও, টিভি, ইন্টারনেট হতে জনগণ আসলে কী পাচ্ছে? বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব প্রচারমাধ্যম জনগণকে খবর সরবরাহ করছে। সেই খবর প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীর কোন প্রান্তে কখন কী ঘটনা ঘটছে তার ভাষ্য। আর খবর মানেই বর্তমানে যুদ্ধ, দাঙা, হাঙামা, বোমা হামলা বা হত্যাকাণ্ড। এসব খবরে জনগণ মূলত সবসময়ই থাকে উত্তেজিত। আর উত্তেজিত মানুষের পক্ষে ধীরস্থিরভাবে চিন্তাভাবনা করে প্রকৃত ঘটনা ও তার মর্ম বোঝা সম্ভব নয়। ফলে জনগণ বর্তমানকালের রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থাকে বুঝতে পারছে না। বর্তমানকালের রাষ্ট্রগুলোর অন্যায়, অপকর্ম, অবিচার, অসাম্যকে জনগণ সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারছে না। ফলে রাষ্ট্রের চরিত্রকে পাল্টানোর সংগ্রাম জনগণ করতে পারছে না। সেই সুযোগে রাষ্ট্র আরো নিষ্ঠুর, নির্দয়, সহিংস, নিপীড়নমূলক, বর্বর আচরণ করছে জনগণের সংগে। রাষ্ট্রগুলোর অন্যায় কর্মকাণ্ডগুলোকে থামাতে হলে জনগণকে আরও সুস্থির ও সুচিন্তিত হতে হবে। চিন্তা করে খুঁজে বের করতে হবে রাষ্ট্র এরকম নিষ্ঠুর হয়েছে কেন?
রাষ্ট্রের এই নির্দয় অন্যায় আচরণকে দূর করতে হলে জনগণকে শিক্ষিত হতে হবে, শুধুমাত্র স্বাক্ষর হলে চলবে না। শিক্ষা মানুষকে সচেতন করে তার অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে। শিক্ষা মানুষকে পথ ও শক্তি দেয় সামনে এগিয়ে যাবার। শিক্ষা মানুষকে প্রগতিশীল করে। শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ অতীতের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে অর্জন করে বর্তমানকালের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের সাথে তার মেলবন্ধন ঘটায়। মানুষ সফলতা ও বিফলতার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তার অতীতের ভুল শুধরে নিতে পারে।
শিক্ষা জনগণকে শক্তিশালি করে, জ্ঞানী করে। তাই শোষক শ্রেণি কখনই চায় না জনগণ শিক্ষিত হোক। জনগণ যাতে সমাজবিজ্ঞান ও প্রকৃতিবিজ্ঞানের জ্ঞান অর্জন করতে না পারে তার জন্য সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহণ করে। বর্তমান বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সামাজিক বিজ্ঞানের বিষয়গুলোর মর্যাদাকে ধ্বংস করা হচ্ছে। জনপ্রিয়তা পাচ্ছে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত, প্রকৌশলগত, জীবিকাগত, কারিগরি, বৃত্তিমূলক, ব্যবসা প্রশাসন, ব্যবসা ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি শিক্ষা যেগুলো মানুষের মধ্যে মানবিক বোধ জাগায় না; মানুষকে প্রগতির দিকে নিয়ে যায় না; মানুষকে যন্ত্রে পরিণত করে। এসব প্রযুক্তিগত ও ব্যবসায়িক শিক্ষা জনগণকে বৈষয়িক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে লোভি ও লাভবান করে। তাই আমরা দেখি বর্তমান সময়ের তরুণতরুণীরা তাদের কেরিয়ার সম্পর্কে আগ্রহি, কোন চাকরিতে বেতন বেশি, কোন বিষয়ে পড়লে বেশি টাকা উপার্জন করা যাবে_ এসব নিয়ে অধিকতর ভাবিত। কিন্তু কোন বিষয়ে পড়লে জ্ঞানী, মানবিক, হৃদয়বান, প্রগতিশীল হওয়া যাবে তা বিবেচনা করে না।
শিক্ষা মানুষকে আদর্শিক করে। সময়ের পরিবর্তনে পুরোনো নীতি-নৈতিকতা, প্রথা, আচার খাপ খায় না। শিক্ষা পুরোনোকে পরিত্যাগে শক্তি যোগায়, নতুন নৈতিকতা নির্মাণ করে। শিক্ষা নতুন আদর্শ তৈরি করে। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতিয়তাবাদ, আন্তর্জাতিকতাবাদ ইত্যাদি আদর্শের বিকাশ শিক্ষার মাধ্যমেই সম্ভব। শিক্ষা মানুষের আচরণ পরিবর্তনে সহায়তা করে। উন্নত আদর্শিক আচরণ কীরূপ হবে তা শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে মানুষ নির্ধারণ করে। শিক্ষা মানুষের মাঝে উন্নত নৈতিক মূল্যবোধ তৈরি করে। শিক্ষা মানুষকে স্বাধীনতা ও সমতার সংগ্রামে শক্তি দেয়। শিক্ষার অধিকার পেলেই মানুষ জ্ঞান অর্জনে উৎসাহিত হয়। আর জনগণ বিশেষ করে মেহনতি জনগণ সর্বদাই জ্ঞান অন্বেষণ করেন। ভি. আই. লেনিন বলেছেন,
“মেহনতি জনগণ জ্ঞান-তৃষিত, তার কারণ, জিতবার জন্য সেটা তাদের দরকার। মেহনতি জনগণের প্রতি দশজনের নয়জন উপলব্ধি করেছে_ মুক্তির জন্যে তাদের সংগ্রামে জ্ঞান একটা অস্ত্র, তাদের অকৃতকার্যতাগুলো শিক্ষার অভাবের দরুন, আর প্রত্যেককে যথার্থই শিক্ষালাভ করতে দেওয়া তাদেরই কাজ।”[১]
জ্ঞান হচ্ছে টাকা ও মুনাফার দাসত্ব থেকে মুক্তির সংগ্রামে একটা প্রয়োজনীয় অস্ত্র। জ্ঞান জনগণকে সমাজ পরিবর্তনে উদ্বুদ্ধ করে। সমাজের ত্রুটি, অন্যায় ও অপকর্মকে দুর করতে হলে জনগণকে জ্ঞানী হতেই হবে। আর জ্ঞান অর্জনের সহজ পথ এখনো শিক্ষা অর্জন। দাসত্বের চিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছে এখনও নিরক্ষর মানুষেরা, যা পুঁজিবাদের প্রতিক্রিয়াশীলতারও চিহ্ন বটে।
শিক্ষিত মানুষ যেমন বইপুস্তকের জ্ঞান অর্জন করতে পারেন তেমনি অর্জন করতে পারেন অন্যের অনুশীলনের মাধ্যমে শিক্ষালব্ধ জ্ঞান। শিক্ষিত মানুষ নিজের অভিজ্ঞতালব্ধ ও অর্জিত জ্ঞানকে লিখে রাখতে পারেন, অন্যকে নিজের অভিজ্ঞতা লিখে জানাতে পারেন। এসব কারণে শিক্ষিত জনগণ খুবই প্রয়োজন। শিক্ষিত ব্যক্তি নিজের ও অন্যের জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সেই শিক্ষা অন্যকে জানাবার চেষ্টা করেন যাতে অন্যেরা তার শিক্ষাকে কাজে লাগাতে পারেন। অনুশীলন, তত্ত্ব, অভিজ্ঞতা ও শিক্ষার মাধ্যমে জনগণ নিজেদের ভুল কর্মপদ্ধতি পরিবর্তন করতে পারেন, নির্ভুলভাবে চিন্তা করতে পারেন, অভিজ্ঞতার সারসংক্ষেপ করতে পারেন, কাজকে সুচারুরূপে শেষ করতে পারেন, কঠোরভাবে শ্রম দিতে পারেন, স্বল্প সময়ে কাজের পদ্ধতি বের করতে পারেন, অতিতের ভুলত্রুটি থেকে শিক্ষা নিতে পারেন, জনগণকে সাহায্য করতে পারেন এবং এসব কাজ করে সমাজকে পালটে দিতে পারেন।[২]
জনগণের বৈপ্লবিক শিক্ষা হচ্ছে সেই শিক্ষা যা জনগণকে সমাজ পরিবর্তনে বা সামাজিক বিপ্লবে অংশগ্রহণে নিয়োজিত করে। জনগণের এই বৈপ্লবিক শিক্ষা সম্পর্কে বলতে গিয়ে লেনিন লিখেছিলেন
“জনগণের সত্যিকার শিক্ষা কখনোই তাদের স্বাধীন রাজনৈতিক, বিশেষত বৈপ্লবিক সংগ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে না। কেবল সংগ্রামই শোষিত শ্রেণিকে শিক্ষা দিয়ে থাকে, একমাত্র সংগ্রামই তার সামনে খুলে দেয় নিজের শক্তির মাত্রা, বিস্তৃত করে তার মনোদিগন্ত, বৃদ্ধি করে তার সামর্থ্য, পরিশোধন করে তার মন, প্রাবল্য আনে ইচ্ছাশক্তিতে।”[৩]
শিক্ষা জনগণকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহি করে তোলে। প্রকৃতি, পরিবেশ ও সমাজের নিয়মসমূহ মানুষ জানতে পারে শিক্ষার মাধ্যমে এবং প্রকৃতিকে নিজেদের কাজে লাগাতে পারে। প্রকৃতি থেকে সম্পদ উৎপাদন ও সম্পদ আহরণ করতে পারেন। শিক্ষার মাধ্যমে জনগণ সমাজ-প্রকৃতির বিবর্তন জানতে পারেন। অন্ধবিশ্বাস, গোঁড়ামি ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারেন। শিক্ষা অন্ধকার দূর করে মানুষকে নিয়ে আসে আলো ঝলমল পৃথিবীতে। শিক্ষাকে হতে হয় ভবিষ্যত সমাজ নির্মাণের লক্ষ্যে বর্তমান অসাম্য ও অন্যায়ভিত্তিক সমাজকে ভেঙে ফেলার সুদৃঢ় হাতিয়ার। শিক্ষা জনগণকে শক্তি দেয় বর্তমানকে বদলে দিয়ে সুন্দর আগামি নির্মাণের।
শিক্ষা বলতে আমরা সমাজকে পরিবর্তনের প্রয়োজনে অর্জিত মানুষের অতীত অভিজ্ঞতার সমন্বয়কে বুঝে থাকি। তাই একমাত্র শিক্ষাই জনগণকে সাম্য, মৈত্রি, স্বাধীনতা ও মুক্তির পথে চালিত করে। স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে শিখলে মানুষ পুরোনো আচার ও ঐতিহ্যের শৃঙ্খলে বন্দি হতে পারে না। পুরোনো আচার ও প্রাচীন শাস্ত্রের নির্দেশের চেয়ে মানুষ তখন বিবেকের স্বাধীনতাকে অধিক মূল্য দেয়। বিবেক যখন স্বাধীনভাবে নতুন পরিস্থিতিতে কাজ করে তখন মানুষের জীবন মুক্তির পথে এগিয়ে যায়। আর মুক্তি বলতে আমরা বুঝি জড়তা থেকে মুক্তি, দুর করার মতো সম্ভাব্য সব রকম সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্তি। যেসব আচার ও প্রথা মানুষের স্বাধীন, সৃষ্টিশীল ও বিকাশশীল জীবনের পক্ষে দাঁড়ায় না সেসব আচার ও প্রথা থেকে মুক্তি।
গরিব মানুষ দুর্বল। সেই দুর্বলের দুর্বলতাকে দুর করার উপায় সমাজ বদলের শিক্ষা। শিক্ষা মানুষকে অনুপ্রেরণা দেয় সংখ্যাগরিষ্ঠ মেহনতি জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করবার। দুর্বল মানুষ যখন তাদের দুর্বলতা কাটিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে তখনই একজন শিক্ষিত কর্মীর জীবনের স্বার্থকতা। শুধু নিজের জন্য উদ্যমি হলে চলে না; শ্রমিক, কৃষক, প্রলেতারিয়েতের জীবন পরিবর্তনের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে সে অনুযায়ী কাজ করে অভাবি, নিপীড়িত, নির্যাতিত জনগণের জীবনে সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, স্বস্তি আনতে পারাই একজন শিক্ষিত কর্মীর লক্ষ্য।
আমরা এতক্ষণ যে শিক্ষার কথা আলোচনা করলাম তা প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় পাওয়া সম্ভব নয়। বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে বিদেশিদের হাতে চলে গেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে আমলা ও বুদ্ধিজীবিরা যে শিক্ষা আমাদের দেশের শিশু-কিশোর তরুণ-তরুণীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে তা বিদেশি আধিপত্যবাদি দেশসমূহের দ্বারা নির্দেশিত পথে এসেছে। আমাদের দেশের আত্মশক্তিনির্ভর দেশপ্রেমমূলক সামাজিক শিক্ষার বিকাশ ঘটাতে হলে আমাদেরকে প্রথমেই দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে বিদেশিদের কবল হতে উদ্ধার করতে হবে। দেশের প্রাথমিকসহ সকল স্তরে বিদেশি অর্থের ঋণ বা অনুদান বন্ধ করতে হবে। স্বদেশের দেশপ্রেমিক চিন্তাশীল স্বাধীনতাকামি জনগণের দ্বারা শিক্ষা পুনর্গঠন করতে হবে। বহুবিচিত্র ধরণের শিক্ষা কাঠামোর পরিবর্তে একই পদ্ধতির বিজ্ঞানভিত্তিক ধর্মনিরপেক্ষ সমাজতন্ত্র অভিমুখী গণতান্ত্রিক শিক্ষা চালু করতে হবে। তথ্য ও ঘটনা জানার জন্য পত্রিকা ও টিভিনির্ভর শিক্ষা নয়, ধ্রুপদি ও মূল্যবান পুস্তক ও পাঠাগারনির্ভর শিক্ষা প্রণয়ন করতে হবে।[৪]
তথ্যসূত্র:
১. ভি. আই. লেনিন, জনশিক্ষা; প্রগতি প্রকাশন, মস্কো; তারিখহীন; পৃষ্ঠা- ৭৬।
২. দেখুন, মাও সেতুং; মানুষের নির্ভুল চিন্তাধারা কোথা থেকে আসে, পাঁচটি দার্শনিক প্রবন্ধ, বিদেশি ভাষা প্রকাশনালয়, পিকিং, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৯৭৭, পৃষ্ঠা-৩০৪-৮।
৩. ভি. আই. লেনিন; ১৯০৫ সালের বিপ্লবের উপর বক্তৃতা, সংগৃহীত রচনাবলী, ২৩ খণ্ড, ১৯৭৭, পৃষ্ঠা ২৪১।
৪ প্রবন্ধটি আমার [অনুপ সাদি] রচিত ভাষাপ্রকাশ, ঢাকা থেকে ২০১৫ সালে প্রকাশিত সমাজতন্ত্র গ্রন্থের ১৩১-১৩৬ পৃষ্ঠা থেকে নেয়া হয়েছে এবং রোদ্দুরেতে প্রকাশ করা হলো। প্রবন্ধটির রচনাকাল ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৪।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।