ব্রণ হলো মানুষের ত্বকের একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগবিশেষ। এটা সাধারণত ভীতি, দুশ্চিন্তা ও বিষণ্ণতা, পেট পরিষ্কার না থাকা ইত্যাদি সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। মেলানিন নামক এক ধরণের উপাদান মানুষের ত্বকে বিদ্যমান থাকে, যার কারণে মানুষের ত্বক ফর্সা কি কালো হবে তা নির্ভর করে। বয়সের সাথে সাথে মানুষের ত্বকের মেলানিনের ভারসাম্যতা নষ্ট হতে থাকে এবং ত্বকের কোনো কোনো অংশে মেলানিনের পরিমাণ বেড়ে যায় সেই কারণে ত্বক বেশি কালো দেখায়। মেছতা মেলানিনের ভারসাম্যহীতার তেমনি একধরনের একটি বিশেষ ধরণের (Pigmentation) বহিঃপ্রকাশ। যদিও মেছতা ত্বকের কোনো ক্ষতি করে না কিন্তু এটার কারণে ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়। ব্রণ ও মেছতা থেকে ত্বককে বাঁচাতে ভেষজ কিছু চিকিৎসা বা যত্ন নিলে রক্ষা করা যাবে নিজের ত্বকে।
ব্যবহার:
১. ব্রণ ও মেসতায় ছোলা ভিজিয়ে তাকে বেটে সেটা মুখে মেখে দেখুন, ওটা কমে যাবে।
২. দারু হরিদ্রা কাঠ ঘষে চন্দনের মতো করে ব্রণ বা মেচেতায় লাগালে বিশেষ উপকারী পাওয়া যায়।
৩.দ্যুষিত ও দুষ্ট ব্রণের ক্ষত শীঘ্র দূর করতে ৪ গুণ দূর্বার রস পাক করা ঘৃত লাগালে সেরে যাবে। একথা চরকের।
৪. মেচতায় মুখ প্রায় বদ্বীপ সৃষ্টি হয়েছে; মুখের জন্য লোকসমাজে বেরতে কুণ্ঠা বোধ হয়; এই ক্ষেত্রে এক টুকরো লাউ ঝলসে নিয়ে ঐ জায়গায় ঘষতে হয় রোজ একবার করে। এর দ্বারা কয়েকদিনের মধ্যে ঐ মেচেতার দাগটা আর থাকে । এ ভিন্ন ছোট ছোট কালো দাগ থাকলেও সেটাও উঠে যায়।
৫. মেশতায় অর্জুন ছালের মিহি গুঁড়ো মধুর সঙ্গে মিশিয়ে লাগালে ও দাগগুলি চলে যায়।
৬. ব্রণ ফাটাতে আকান্দের পাতা দিয়ে ব্রণ চেপে বেধে রাখার উপদেশ, এ কথাটার উল্লেখ কিন্তু আয়ুর্বেদেই আছে।
৭. যে ব্রণের ক্ষত কিছুতেই ভালো হয়ে উঠতে চায় না, সেক্ষেত্রে ছাতিমের আঠা (ক্ষীর) শুকিয়ে গুড়ো করে ক্ষতের উপর ছিটিয়ে দিলে ঠিক হয়ে উঠবে!
৮. মেস্তায় রূপ থাকতেও রূপের বড়াই করা যায় না, আবার লুকোবারও উপায় নেই, অথচ ঘষে মেজেও যায় না, এ সমস্যা সমাধানের উপায় বটের শুঙ্গ, অর্থাৎ ফল বেরোবার আগে এটা হয়, আর মসুরির ডাল একসঙ্গে বেঁটে মুখে লেপে দিতে হবে; তবে দাস্ত পরিষ্কার যেন হয় সেটাও লক্ষ্য রাখতে হবে।
সতর্কীকরণ: ঘরে প্রস্তুতকৃত যে কোনো ভেষজ ওষুধ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করুন।
তথ্যসূত্রঃ
১ আয়ূর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্রচার্য, চিরঞ্জীব বনৌষধি‘ খন্ড ১ ও ২, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা।
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।