দেওনাই চাড়ালকাটা যমুনেশ্বরী নদী বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী

দেওনাই-চাড়ালকাটা-যমুনেশ্বরী নদী (ইংরেজি: Jamuneshwari River) বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। নদীটির মোট দৈর্ঘ্য ১১৬ কিলোমিটার, গড় প্রশস্ততা ৫০ মিটার এবং প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা পাউবো কর্তৃক যমুনেশ্বরী নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর হচ্ছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ৫৮।[১]

যমুনেশ্বরী নদীর প্রবাহপথ

প্রবাহ: দেওনাই-চাড়ালকাটা-যমুনেশ্বরী নদীটির উৎপত্তি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মেখলীগঞ্জ মহকুমার হলদিবাড়ি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের হেমকুমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ভারতের সীমান্ত সড়কের বিলাঞ্চল থেকে। নদীটি সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার গোমনাতি ইউনিয়ন দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। একই ইউনিয়নে পশ্চিম দিক থেকে নদীটির একটি শাখা এসে মিশেছে এবং এই শাখাটির উৎপত্তিস্থলকেই পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীটির উৎপত্তিস্থল বলে উল্লেখ করে। ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মতানুসারে বর্তমানে যমুনেশ্বরী নদীর উৎপত্তি হয়েছে নীলফামারী জেলার কেটকিবাড়ি ইউনিয়নের বিলাঞ্চল থেকে। নদীটি পরে নীলফামারী জেলার ডোমার, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ এবং রংপুর জেলার বদরগঞ্জ, মিঠাপুকুর ও তারাগঞ্জ উপজেলা অতিক্রম করে দিনাজপুর জেলাধীন নবাবগঞ্জ উপজেলার মিলানপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে করতোয়া (নীলফামারী) নদীতে নিপতিত হয়েছে। যমুনেশ্বরী নদীর প্রবাহ বারোমাসি হলেও শুষ্ক মৌসুমে এই প্রবাহ আশংকাজনকভাবে হ্রাস পায়। তবে বর্ষাকালে পর্যাপ্ত পরিসরে পানি প্রবাহিত হয়। এই সময় তীরবর্তী এলাকা যেমন বন্যায় প্লাবিত হয় তেমনি ভাটির দিকে ভাঙনপ্রবণতা পরিলক্ষিত হয়।

অন্যান্য তথ্য: বারোমাসি প্রকৃতির এই নদী বন্যাপ্রবণ এবং এই নদীর অববাহিকায় তিস্তা প্রকল্প চালু আছে। বাংলাদেশে এই নদীতে কোনো ব্যারাজ বা রেগুলেটর নেই তবে ডানতীরে ০.৪৯ এবং বামতীরে ০.৭০৭ কিলোমিটার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ আছে। এই নদীটিতে জোয়ারভাটার প্রভাব নেই। এই নদীর তীরে বাংলাদেশের ডোমার পৌরসভা ও বদরগঞ্জ পৌরসভা অবস্থিত।

তথ্যসূত্র:  

১. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি, কথাপ্রকাশ, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, পৃষ্ঠা ১২৬-১২৭, ISBN 984-70120-0436-4.

1 thought on “দেওনাই চাড়ালকাটা যমুনেশ্বরী নদী বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী”

  1. গগল ম্যাপ এ তো এরকম দেখায় যে, যমুনেশ্বরী নদী টি ঘোড়াঘাটের (গাইবান্ধা) পর বাঙ্গালী নদী নাম ধারণ করেছে এবং সিরাজগঞ্জে তা ঘুমনি নদীতে পতিত হয়েছে। আপনি বলছেন করতোয়া তে পতিত হয়েছে। কোনটা সঠিক?

    Reply

Leave a Comment

error: Content is protected !!