তাইরঙ্গল নদী বাংলাদেশ ও মেঘালয়ের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। নদীটি একটি সরু প্রকৃতির জলধারা। নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২৫ কিলোমিটার এবং প্রকৃতি সর্পিলাকার। নদীটিতে জোয়ারভাটার প্রভাব নেই এবং নদীটিতে সারা বছর পানির প্রবাহ থাকে না। নদীটি সারি গোয়াইন নদী প্রবাহের অংশ। তামাবিল সীমান্ত এই নদীর তীরে অবস্থিত।
নদীটির বাংলাদেশ অংশে প্রায় সব জায়গায় এখন ফসল চাষ করা হয় এবং নদীর পানি চাষের কাজে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে নদীটির কয়েকটি স্থানে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে এবং প্রাকৃতিক প্রবাহ ধ্বংস করে জীববৈচিত্র্য শেষ করে ফেলা হচ্ছে।
উৎপত্তি ও প্রবাহ: তাইরঙ্গল নদী বর্তমানে ভারতের মেঘালয়ের পশ্চিম জৈন্তিয়া পাহাড় জেলার দক্ষিণাংশ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। নদীটির প্রবাহ দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়ন দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। প্রবেশের পর প্রায় ৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূব দিকে প্রবাহিত হয়ে বামদিক থেকে আসা অপর আন্তঃসীমান্ত নদী রাঙপানিতে পতিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র:
১. ম ইনামুল হক, বাংলাদেশের নদনদী, অনুশীলন ঢাকা, জুলাই ২০১৭, পৃষ্ঠা ১৫৩।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।