বাংলাদেশে বাংলাদেশে বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের কাউন্সিল সাম্রাজ্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ, আমলা–মুৎসুদ্দি পুঁজিবাদ ও সামন্তবাদবিরোধী নয়াগণতান্ত্রিক শিক্ষানীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে “নয়া গণতান্ত্রিক বিপ্লব বেগবান করুন” এবং “সমাজতন্ত্র–কমিউনিজমের লক্ষ্যে মার্কসবাদ–লেনিনবাদ–মাওবাদের আদর্শে সজ্জিত হোন” শ্লোগানকে ধারণ করে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ১৩ জুলাই ২০১৮ তারিখ শুক্রবার ঢাকাস্থ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের এই কাউন্সিল সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাউন্সিল উদ্বোধন করেন নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি কমরেড জাফর হোসেন এবং সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির সমন্বয়ক কমরেড বিপ্লব ভট্টাচার্য্য। কাউন্সিল কমরেড আহনাফ আতিফ অনিককে সভাপতি করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় কমিটি গঠন করে।
উদ্বোধনী সমাবেশের পূর্বে লাল পতকা এবং মার্কস–এঙ্গেলস–লেনিন–স্তালিন–মাও সে–তুঙ—এর ছবি সংবলিত একটি মিছিল প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে সম্মেলন স্থলে হাজির হয়। সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ– কমরেড মাসুদ খান, কমরেড ব্রিগেডিয়ার (অব.) জাহাঙ্গীর হোসাইন, কমরেড হাসান ফকরী প্রমুখ।
বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী জ্বালানী গবেষক কমরেড বিডি রহমত উল্লাহ, লেখক কমরেড সৈয়দ আবুল কালাম, বিপ্লবী ছাত্র–যুব আন্দোলনের প্রাক্তন নেতৃবৃন্দের মধ্যে কমরেড শাহজাহান সরকার, কমরেড সাইফুজ্জামান বুলবুল এবং ছাত্র–যুব আন্দোলনের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন বিপ্লবী শ্রমিক আন্দোলনের কমরেড ফয়সাল আহমেদ, কৃষক মুক্তি সংগ্রামের নেতা কমরেড আমিনুল হক, বিপ্লবী নারী মুক্তির কমরেড নাসিমা নাজনীন, আদিবাসী মুক্তিমোর্চার কমরেড রেমিন চাকমা এবং লিখিত বক্তব্য প্রেরণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। এছাড়াও বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ও বুদ্ধিজীবিগণ বক্তব্য রাখেন।