সাদা রঙ্গন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পুর্ব এশিয়ার আলংকারিক গুল্ম

গুল্ম

সাদা রঙ্গন

বৈজ্ঞানিক নাম: Ixora finlaysoniana Wall. ex G. Don, Gen. Syst. 3: 572 (1834). সমনাম: Ixora finlaysoniana Wall. (1828) ined., Ixora capituliflora Bremek. (1937). ইংরেজি নাম: জানা নেই। স্থানীয় নাম: সাদা রঙ্গন।
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae বিভাগ: Angiosperms অবিন্যাসিত: Edicots বর্গ: Gentianales পরিবার: Rubiaceae গণ: Ixora প্রজাতি: Ixora finlaysoniana

ভূমিকা: সাদা রঙ্গন (বৈজ্ঞানিক নাম: Ixora finlaysoniana) হচ্ছে রুবিয়াসি পরিবারের আইক্সোরা গণের  একটি সপুষ্পক গুল্ম। এটিকে বাংলাদেশে আলংকারিক উদ্ভিদ হিসেবে বাগানে বা গৃহে চাষাবাদ করা হয়। এই গুল্মটি বাড়ির টব বা বাগানের শোভাবর্ধন করে।

বর্ণনা: সাদা গুল্ম ছোট বৃক্ষ বা গুল্ম। পত্র উপপত্রযুক্ত, উপপত্র আবরণে আবৃত, সূক্ষ্মাগ্র, পত্রবৃন্ত খাটো, পত্রফলক মসৃণ, চর্মবৎ, উপবৃত্তাকার-বিডিম্বাকার, গোড়া সূক্ষ্মাগ্রকীলকাকার, শীর্ষ সূক্ষ্মাগ্র, গোড়া হৃৎপিন্ডাকার, ৬-৯ জোড়া গৌণ শিরাবিশিষ্ট। পুষ্পবিন্যাস শীর্ষক করিম্ব, শাখাপ্রশাখা । ১ সেমি পর্যন্ত লম্বা। ফুল সাদা। বৃতি খন্ডক খাটো, ৩.৫ মিমি পর্যন্ত লম্বা। পাপড়ি খন্ডক ৩.৫ মিমি পর্যন্ত লম্বা, সরু উপবৃত্তাকার থেকে বিবল্লমাকার। ক্রোমোসোম সংখ্যা: 2n = ২২ (Fedorov, 1969).

আবাসস্থল ও চাষাবাদ: সমভূমিতে অর্থাৎ বাগানে চাষ করা হয় সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য।  বীজ এবং কান্ডের শাখা কলম দ্বারা নতুন চারা জন্মায়।  ফুল ও ফল ধারণ সারা বর্ষব্যাপী এই গাছে ফুল ধরে।

বিস্তৃতি: ভারত এবং মালয়েশিয়া। বাংলাদেশের সর্বত্র আবাদ করা হয়।

অন্যান্য তথ্য: বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ১০ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০)  সাদা রঙ্গন প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের সংকটের কারণ উচ্চ প্রজাতি দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এবং বাংলাদেশে এটি আশঙ্কামুক্ত হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে সাদা রঙ্গন সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে বাগানে অধিক আবাদের উৎসাহ করা যেতে পারে এর সৌন্দর্যের কারণে।[১]

তথ্যসূত্র:                             

১. এম আতিকুর রহমান এবং এস সি দাস (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস”  আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ ১০ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৮৪ । আইএসবিএন 984-30000-0286-0

আরো পড়ুন:  লাল চন্দ্রপ্রভা বা টেকোমা নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের আলংকারিক উদ্ভিদ

বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিপিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Halavar

Leave a Comment

error: Content is protected !!