ভূমিকা: পুবদেশি বনচালতা (বৈজ্ঞানিক নাম: Leea rubra) হচ্ছে বাংলাদেশের ভেষজ গুল্ম। এটি পূর্ব এশিয়ার দেশে পাওয়া যায়। তবে বনাঞ্চলের পরিবেশ এদের জন্য উপযুক্ত।
পুবদেশি বনচালতা-এর বিবরণ:
পুবদেশি বনচালতা একটি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। যার কাণ্ড কমবেশি কাঠের মতো হয়ে যায়; এটি ৩ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। ঔষধ হিসেবে স্থানীয় ব্যবহারের জন্য এই উদ্ভিদটি বন্য থেকে সংগ্রহ করা হয়। এটি প্রায়শই শোভাময় গাছ হিসেবে জন্মায়, একটি টবে ভালোভাবে জন্মায়।
আবাসস্থল:
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত শুষ্ক মৌসুমি বন, সাভানা এবং গৌণ গাছপালা। ৫০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত গৌণ পুনরুত্পাদন এবং ঝোপঝাড়ে। চুনাপাথরেও পাওয়া যায়। পূর্ণ বা আংশিক রোদৌজ্জ্বল পরিবেশে হয়। আর্দ্র, উর্বর, পানির সুনিষ্কাশিত মাটি পছন্দ করে।
বিস্তৃতি:
বাংলাদেশ, আসাম, মায়ানমার, লাওস, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, বোর্নিও, ফিলিপাইন, নিউ গিনি, উত্তরাঞ্চলীয় অঞ্চল এবং কুইন্সল্যান্ড।
পুবদেশি বনচালতা-এর ভেষজ চিকিৎসা:
ফিতাকৃমির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এর মূল জ্বরনাশক এবং ঘর্মবর্ধক। একটি ক্বাথ বা টিংচার পেটে ব্যথা, বাত এবং গাঁটের ব্যথার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। পাতাগুলো ক্ষতের উপর পুলটিস হিসেবে বাহ্যিকভাবে প্রয়োগ করা হয়। ফল আমাশয়ের প্রতিকার হিসেবে খাওয়া হয়। পাতায় ফেনোলিক উপাদান যেমন ফ্ল্যাভোনয়েড, লিউকোঅ্যান্থোসায়ানিডিন, p-হাইড্রোক্সিবেনজোয়িক অ্যাসিড, সিরিঞ্জিক অ্যাসিড এবং গ্যালিক অ্যাসিড প্রচুর পরিমাণে থাকে।
তথ্যসূত্র:
১. https://tropical.theferns.info/viewtropical.php?id=Leea+rubra
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিমিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Krzysztof Ziarnek, Kenraiz
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।