নৈরাজ্যবাদ অথবা সমাজতন্ত্র

ডিসেম্বর ১৯০৬ – জানুয়ারি ১৯০৭; আমরা সেই ধরনের লোক নই, যারা নৈরাজ্যবাদ শব্দটার উল্লেখ হলেই অবজ্ঞাভরে মুখ ফিরিয়ে এবং উন্নাসিকভাবে হাত নেড়ে বলে, ‘ও সম্পর্কে সময় নষ্ট করে কি হবে? ওটা তো আলোচনারই যোগ্য নয়!’ আমরা মনে করি এ রকম সস্তা সমালোচনা মর্যাদাহানিকর ও নিরর্থক। আমরা আবার সে ধরনের লোকও নই, যারা এই চিন্তা করে নিজেদের সান্তনা দেই যে নৈরাজ্যবাদীদের ‘পেছনে কোনো ব্যাপক জনসাধারণ নেই এবং সেজন্য তারা ততটা বিপজ্জনক নয়।’ আরো পড়ুন

ফয়েরবাখ সম্বন্ধে থিসিসসমূহ

ফয়েরবাখের বস্তুবাদ সমেত পূর্ববর্তী সমস্ত বস্তুবাদের প্রধান দোষ এই যে, তাতে বস্তুকে [Gegenstand]. বাস্তবতাকে, সংবেদ্যতাকে কেবল বিষয় [Objekt] রূপে বা ধ্যান রূপে ধরা হয়েছে, মানবিক সংবেদনগত ক্রিয়া হিসেবে, ব্যবহারিক কর্ম হিসেবে দেখা হয় নি, আত্মগতভাবে [subjectively] দেখা হয় নি। আরো পড়ুন

মার্কসবাদের তিনটি উৎস ও তিনটি উপাদান

সভ্য দুনিয়ার সর্বত্র বুর্জোয়াবিজ্ঞানের (সরকারি এবং উদারনীতিক উভয় প্রকার) পক্ষ থেকে মার্কসের মতবাদের প্রতি চূড়ান্ত শত্রুতা ও আক্রোশ দেখা যায়। মার্কসবাদকে তা দেখে একধরনের ‘বিষাক্ত গোষ্ঠী’ হিসেবে। অবশ্যই অন্য মনোভাব আশা করা বৃথা, কেননা, শ্রেণিসংগ্রামের ওপর গড়ে ওঠা সমাজে ‘নিরপেক্ষ’ সমাজবিজ্ঞানের অস্তিত্ব অসম্ভব। আরো পড়ুন

error: Content is protected !!